Sikkim Tour: ধস-জলস্রোতে বার বার ক্ষতিগ্রস্ত বাংলা-সিকিম পর্যটনের লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক! সিকিম বেড়ানো কি সঙ্কটের মুখে? জানুন বিশেষজ্ঞের মত

Last Updated:

Sikkim Tour: পাহাড়ের পথ ধরে শিলিগুড়ি থেকে সোজা গ্যাংটক। এটাই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। বাংলা-সিকিম লাইফলাইন। মাঝে মধ্যেই এই রাস্তায় ধস নামে। বন্ধ হয়ে যায় যাতায়াত। ভারী বৃষ্টিতে দশ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস। এটা চেনা ছবি।

তিস্তার জলস্রোতেও এই রাস্তার ক্ষতি হয়েছে
তিস্তার জলস্রোতেও এই রাস্তার ক্ষতি হয়েছে
কলকাতা : মাঝেমধ্যেই ধস ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। বন্ধ হয়ে যায় বাংলা-সিকিম লাইফলাইন। কিন্তু, কেন এমন হচ্ছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? পাহাড়ের পথ ধরে শিলিগুড়ি থেকে সোজা গ্যাংটক। এটাই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। বাংলা-সিকিম লাইফলাইন। মাঝে মধ্যেই এই রাস্তায় ধস নামে। বন্ধ হয়ে যায় যাতায়াত। ভারী বৃষ্টিতে দশ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস। এটা চেনা ছবি। অনেক জায়গায় তিস্তার পাড় দিয়ে গিয়েছে এই জাতীয় সড়ক। তিস্তার জলস্রোতেও এই রাস্তার ক্ষতি হয়েছে।  বিশ্বজিৎ সোম, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার, জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমের হিমালয় এখনও অনেকটাই নরম তথা নবীন ভঙ্গিল পাথরের। এখানে হিমালয়ের ইয়াং মাউন্টেন। যেখানে হার্ড রকের থেকে সফট রক বেশি। মাটি খুব নরম। সয়েল টেস্ট করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, ২৫-৩০ মিটার নীচে গিয়েও নদীর পাড়ে বা রাস্তার উপরেও ভঙ্গুর পাথর পাওয়া যায়। সফট রক থাকার ফলে রাস্তাও খুব ভঙ্গুর। তাড়াতাড়ি ভেঙে যায়। নদীর পাড়ে রাস্তা তো থাকেই না। ফলে নতুন করে ভাবতে হবে তিস্তার পাশ দিয়ে রাস্তা করা যাবে কিনা। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছে পাহড়ের মাথার উপর দিয়ে রাস্তা নিয়ে যেতে হবে। না হলে চিরকালই এই সমস্যা চলতে থাকবে বলে মনে হচ্ছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামলে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিপাকে পড়েন পর্যটকরা।’’
সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে ৫ মাসে ১৩ বার বন্ধ করা হয়েছে বাংলা-সিকিম লাইফলাইন। সম্প্রতি সিকিমে অতিবৃষ্টির জেরেও অনেক জায়গায় ধস নামে। সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। শিলিগুড়ি থেকে সিকিমের মধ্যে ১৭৪ কিলোমিটার পাহাড়ি রাস্তার মধ্যে কালীঝোরা থেকে মেল্লি পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল। এই এলাকায় মাঝেমধ্যেই ধস নামে। তখন তড়িঘড়ি রাস্তা সারিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। এসবই অস্থায়ী সমাধান।
advertisement
কিন্তু বারবার কেন এমন হচ্ছে? প্রযুক্তিবিদদের মতে, পরিবেশের কথা না ভেবেই পাহাড়ের উপরে ব্যাপক নগরায়ণ হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে হোটেল-রেস্তোরাঁ। এছাড়া পাহাড়ে নানা পরিকাঠামোও তৈরি হচ্ছে। কোথাও রেললাইন তো কোথাও আবার পাহাড়ি নদীতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে তিস্তার উপরে একাধিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছে। এর জেরে পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে। ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এ সব কারণেই ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বার বার ধস নামে। পার্থপ্রতিম বিশ্বাস, অধ্যাপক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছেন, পাহাড়ের ঢালের ভারসাম্যের সঙ্গে নির্ভর করে রাস্তার ভাগ্য। অর্থাৎ রাস্তা কতটা টিকবে বা টিকবে না।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : সাগরে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত! বুধবার থেকেই বড় বদল বঙ্গের আবহাওয়ায়, ঝড়বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া…কেমন থাকবে কলকাতার আকাশ?
নগরায়ণের ফলে পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্রে কতটা নষ্ট হচ্ছে তার উপরে নির্ভর করে পাহাড়ের ভারসাম্য। পাহাড়ে নগরায়ণের ফলে সেখানকার স্টেবিলিটি নষ্ট করেছে। নদীর গতিপথে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হওয়া ভারসাম্য হারানোর একটা বড় কারণ। এতে নদীর স্বাভাবিক গতি প্রাভাবিত হয়েছে। ফলে বর্ষা এলে নদী মূল খাত ছেড়ে দু’পাশ দিয়ে জোড়ে বইছে। এতে ভাঙন হচ্ছে। ফলে পাহাড়ের উপরে রাস্তা ভারসাম্য হারাচ্ছে। রাস্তার চাপে নীচের শিলাস্তর ভঙ্গুর হচ্ছে। ধারণ ক্ষমতা হারাচ্ছে। ফলে স্থায়িত্ব এবং ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে বাধ্য। ঝোরার পাশে বেশি ধস নামে। এগুলো নদীর স্বাভাবিক জলপ্রবাহের রাস্তা। সেখানে চাপ বাড়লে ক্ষতি হতে বাধ্য। কিন্তু এই ধস রোখার উপায় কী? স্ট্রাকচারাল এঞ্জিনিয়ার  বিশ্বজিৎ সোমের মত, বিকল্প নতুন রাস্তা তৈরি না হলে এই সমস্যা থেকেই যাবে।
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Sikkim Tour: ধস-জলস্রোতে বার বার ক্ষতিগ্রস্ত বাংলা-সিকিম পর্যটনের লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক! সিকিম বেড়ানো কি সঙ্কটের মুখে? জানুন বিশেষজ্ঞের মত
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement