দীপাবলিতে দূষণে কলকাতাকে টেক্কা দিল হাওড়ার ঘুসুড়ি !

Last Updated:

রিপোর্ট বলছে দীপাবলির দিন উত্তর শহরতলির কিছু জায়গায় দূষণ মাত্রা বেশি থাকলেও তা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়নি। তবে দূষণের লড়াইয়ে কলকাতাকে টেক্কা দিয়েছে হাওড়া।

#কলকাতা: চলতি বছরে কালীপুজো ও দীপাবলিতে বায়ু দূষণের মাত্রা অনেকটাই কম বলে মত পরিবেশবিদদের। একই সাথে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট বলছে দীপাবলির দিন উত্তর শহরতলির কিছু জায়গায় দূষণের মাত্রা বেশি থাকলেও তা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়নি। তবে দূষণের লড়াইয়ে কলকাতাকে টেক্কা দিয়েছে হাওড়া।
রাজ্য পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বক্তব্য, কিছু মানুষ নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন তার জেরেই বেড়েছে সমস্যা। রিপোর্ট কার্ড বলছে, চলতি বছরে কালীপুজো ও দীপাবলিতে বায়ু দূষণ অনেক নিয়ন্ত্রিত কলকাতায়। তবে দূষণের অনেক মাত্রা বেশি হাওড়ায়। চলতি বছরে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে অভিযোগ এসেছে অনেক কম। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে অভিযোগ এসেছে ৪৪টি। সবুজ মঞ্চের কাছে অভিযোগ এসেছে ৭৮টি। গত বছর অভিযোগ এসেছিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে ১৪০টি। সবুজ মঞ্চে অভিযোগ এসেছিল ১১৪টি। কালী পুজোর দিন সকালে গড় মাত্রা কলকাতার তিন স্টেশনের সকাল ও রাতে -বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ২.৫ ছিল, সল্টলেক গড় ১১০ এমজি।
advertisement
যাদবপুর গড় ১২৫ এমজি।রবীন্দ্রভারতী গড় ২৮৮ এমজি। বাতাসে ভাসমান বড় ধূলিকণা বা পিএম ১০ ছিল- সল্টলেক ১২০ এমজি,যাদবপুর ১৪০ এমজি,রবীন্দ্রভারতী ১৭৬ এমজি ৷ দিওয়ালিতে অবশ্য এই মাত্রা সকাল-বিকেলে হেরফের হয়েছে। বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ২.৫ ছিল, সল্টলেক সকালে ১১০ এমজি/বিকেলে ২৭৪ এমজি।যাদবপুর সকালে ১২৫ এমজি/বিকেলে ৩০৮ এমজি। রবীন্দ্রভারতী সকালে ২৮৮ এমজি/বিকেলে ৪০১ এমজি।বাতাসে ভাসমান বড় ধূলিকণা বা পিএম ১০ ছিল, সল্টলেক সকালে ১২০ এমজি/বিকেলে ১৬৫ এমজি।যাদবপুর সকালে ১৪০ এমজি/বিকেলে ১৯৯ এমজি।রবীন্দ্রভারতী সকালে ১৭৬ এমজি/বিকেলে ২৯০ এমজি।দূষণের মাত্রা বেশি ছিল হাওড়ার ঘুসুড়িতে --কালীপুজোর দিন গড় বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ২.৫ ছিল ১৯৮ এমজি।বাতাসে ভাসমান বড় ধূলিকণা বা পিএম ১০ ছিল ১৭৯ এমজি। দিওয়ালির দিন। বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণা বা পিএম ২.৫ গড় মাত্রা ৪৯৮ এমজি। বাতাসে ভাসমান বড় ধূলিকণা বা পিএম ১০ গড় মাত্রা ৫০০ এমজি।
advertisement
advertisement
কলকাতার এই রিপোর্ট দেখে খুশি পরিবেশ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তিনি জানিয়েছেন, মানুষ নিয়ম মেনেছেন এটাই সবচেয়ে খুশির খবর। কিছু মানুষ অবশ্য আইন মানেননি। প্রশাসন সেই বিষয়ে নজর রাখবে। কালী পুজো ও দিওয়ালির মতো, ছট ও জগদ্ধাত্রী পুজোয় এই রিপোর্ট ধরে রাখতে চায় রাজ্য সরকার।
আবীর ঘোষাল
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
দীপাবলিতে দূষণে কলকাতাকে টেক্কা দিল হাওড়ার ঘুসুড়ি !
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement