#কলকাতা: শহরে আজ থেকে চালু হচ্ছে অক্সিজেন পার্লার। কোভিড পরিস্থিতিতে ক্রমাগত বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেন পেতে যাতে অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর রয়েছে রাজ্য সরকারের। এর পাশাপাশি এই অক্সিজেন পার্লার থেকে সুবিধা মতো অক্সিজেন গ্রহণ করার সুবিধা থাকবে। আলিপুরের উত্তীর্ণ সভাঘরে আজ থেকে এই ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, উত্তীর্ণ এখন সেফ হোমে পরিণত হয়েছে। সেখানে প্রচুর শয্যা রাখা হয়েছে। যা আগামিদিনে মেক শিফট কোভিড হাসপাতালে পরিণত হয়ে যাবে। সেখানেই এই অক্সিজেন পার্লার চালু করা হচ্ছে। গোটা দেশে জুড়েই অক্সিজেনের চাহিদা বিপুল। করোনা বিপর্যয়ে সমস্যায় প্রতিটি মানুষ। এই অবস্থায় রাজ্যে ঠিক কতটা অক্সিজেন মজুত আছে, কোথা থেকে তা আসছে তা পরিষ্কার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যের স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ অক্সিজেন উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
মমতার অভিযোগ, "আমাদের বাংলায় অক্সিজেন সাপ্লাই করত সেল। এখন সেই সংস্থার অক্সিজেন কেন্দ্র উত্তরপ্রদেশে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।" তিনি স্পষ্টই বলছেন, এতে বাংলার ক্ষতি হবে। কিন্তু কী ভাবে ক্ষতিপূরণ?মমতার যুক্তি, "আমরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেনটা তুলে নিয়েছি। আগে ১৫ হাজার সিলিন্ডার ছিল। আরও পাঁচ হাজার সিলিন্ডার নিয়েছি। এখন ২০ হাজার সিলিন্ডার রয়েছে। আরও যোগান বাড়াতে কথা বলেছি।" মমতার স্পষ্ট প্রশ্ন, "সেল ইউপিতে অক্সিজেন দিলে আমরা কোথায় পাব?"
গত কয়েক দিন ধরে অক্সিজেন সংকট নিয়ে মমতা কেন্দ্রকে বিঁধেছেন শুরু থেকেই। বলেছেন, ২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল অক্সিজেন মজুত রাখতে। প্রধানমন্ত্রী কোনও বৈঠকে এই নিয়ে কিছুই বলেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের।তাঁর অভিযোগ, করোনা হয়েছে কেন্দ্রের ব্যর্থতায়। নির্বাচন নিয়ে তাঁর বক্তব্য, "বাংলায় ক্ষমতা দখল করতে এসেছে। বাংলাকে কোভিড সংকটে ফেলে দিয়েছে।"মমতার অভিযোগ, ভারতের বাজারে প্রয়োজনীয় ওষুধ নেই কারণ কোভিড মেডিসিনের ৬৫ শতাংশ প্রধানমন্ত্রী পাঠিয়ে দিয়েছেন অন্যান্য দেশে।
প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন অভিযোগ করার পরেই, কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণকে একটি চিঠি দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই মুহূর্তে ২০০ মেট্রিক টন করে অক্সিজেন দেওয়া পাচ্ছে রাজ্য। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে চাহিদা বাড়ছে দ্রুত। লাগবে ৪৫০ মেট্রিক টন অক্সিজেন। এই অবস্থায় যেন রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতের অক্সিজেন কোথাও না সরানো হয়, তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID19