Mamata Banerjee: নারদ মামলায় হলফনামা দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী, সিবিআই-এর অভিযোগ খারিজে কী যুক্তি থাকছে তাতে?   

Last Updated:

গত ১৭ মে নারদ কাণ্ডে (Narada Case) চার হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারির পর নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷

#কলকাতা: বুধবার হাইকোর্ট বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ মামলার শুনানি চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের হলফনামা দাখিল করতে চাওয়া নিয়ে তরজা শুরু হয়ে যায় কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে।
সিনিয়র আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর হয়ে হলফনামা দিতে গেলে তার তীব্র বিরোধিতা করেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি জানান ,সিবিআই সওয়াল শেষ করার পর তার ফাঁকফোকর খুঁজে এখন হলফনামা দিতে চাইছে মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী। পাল্টা সওয়ালে রাকেশ দ্বিবেদী জানান,'যদি আমাদের হলফনামা গ্রহণ না করা হয় তাহলে সুবিচার হবে না। মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী  সম্পর্কে গুরুতর অভিযোগ করেছে সিবিআই। আমাদের এড়ানো মানে আসল ঘটনা না জানা, সিবিআই সেটাই চাইছে।'
advertisement
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল জানিয়ে দেন, 'আমরা হলফনামা গ্রহণের অনুমোদন দিচ্ছি না। একপক্ষের সওয়াল ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। শুনানির মাঝপথে তাই আমরা এই হলফনামা গ্রহণ করছি না।' সলিসিটর জেনারেলও সওয়াল তীব্র করে জানান, আদালত পরিচালনার একটা নিয়ম আছে, মর্যাদা আছে।  যা হচ্ছে তা অভূতপূর্ব। তিনি দাবি করেন, আদালত অবিলম্বে পদক্ষেপ করে একটা উদাহরণ তৈরি করুক। পাল্টা সওয়ালে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, 'হ্যাঁ, সত্যিই অভূতপূর্ব। সিবিআই একটা চিঠি দিয়ে মামলা স্থানান্তরের আবেদন করছে!' শেষ পর্যন্ত অবশ্য এ দিন হলফনামা দাখিল করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী।
advertisement
advertisement
গত ১৭ মে নারদ কাণ্ডে  চার হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারির পর নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷  পরে সিবিআই আদালতে অভিযোগ করে, তাদের অফিসে হাজির হয়ে আধিকারিকদের উপরে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একই ভাবে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে অনুগামীদের নিয়ে হাজির হয়ে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ তুলেছিল সিবিআই৷
advertisement
মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামায় কী ছিল? সূত্রের খবর, হলফনামায় বলা হয়েছে জানিয়েছেন, ১৭ মে  মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিজাম প্লেসে উপস্থিত ছিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি গিয়েছিলেন একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এবং ধৃতদের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে, বিশেষত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, যাঁর সঙ্গে তিনি ছাত্রাবস্থা থেকে যুক্ত আছেন। কোনওরকম বল প্রয়োগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআইয়ের অফিসে প্রবেশ করেননি। তিনি অন্যান্য সবার মতোই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার তিনটি বলয় পেরিয়ে নিজাম প্যালেস এর যে ভবনে  সিবিআই- এর অফিস রয়েছে তার ১৩ এবং ১৫ তলায় পৌঁছন। তিনি যতক্ষণ সিবিআইয়ের অফিসে ছিলেন ততক্ষণ সিবিআই আধিকারিকদের পরামর্শ মতো সমস্ত নিয়ম মেনে চলেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা কল্পনাপ্রসূত বলেও মুখ্যমন্ত্রী হলফনামায় দাবি করা হয়েছে।
advertisement
সেখানে আরও দাবি করা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতক্ষণ সিবিআই এর নিজাম প্যালেসের অফিসে ছিলেন তিনি কোনওরকম আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করেননি। অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কাউকে নিয়ে তিনি সিবিআইয়ের অফিসে প্রবেশ করেননি। নিজাম প্যালেসের গেটের বাইরে যে জমায়েত হয়েছিল সেখানে তিনি কোনও রকম ভাবেই অংশগ্রহণ করেননি বা জমায়েতকে উদ্দেশ করে কোনও কথাও বলেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সকাল সাড়ে দশটার সময় নিজাম প্যালেসে পৌঁছন তখন সেখানে কোনও রকম ভিড়বা  জমায়েত ছিল না বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজাম প্যালেসের বাইরে কোনও ধরনা, ঘেরাও বা জমায়েতে অংশগ্রহণ করেননি, সেকথাও বলা হয়েছে।রাজ্য সরকার এবং তার অধীনে থাকা কলকাতা পুলিশ সমস্ত রকম ভাবে সিবিআইয়ের আধিকারিকদের সহযোগিতা করেছে বলেও মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামায় দাবি করা হয়েছে৷
advertisement
Arnab Hazra
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Mamata Banerjee: নারদ মামলায় হলফনামা দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী, সিবিআই-এর অভিযোগ খারিজে কী যুক্তি থাকছে তাতে?   
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement