#কলকাতা: এর আগে রাজ্যে সর্বোচ্চ লোকসভা আসন ছিল দুই। এবার একলাফে কুড়ি। রাজ্যের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে বিজেপি। তাক লাগানো উত্থান ভোট শতাংশেও। মেরুকরণ আর সরকার বিরোধিতার চোরাস্রোত। এই দুইয়ের যোগফলেই রাজ্যে রকেটগতিতে উত্থান গেরুয়া শিবিরের।
পরিসংখ্যান বলছে, বাংলায় এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের ভোট শতাংশ ৪৩.৬ শতাংশ, বিজেপির ভোট শেয়ার ৪০ শতাংশ ৷ বিজেপির ভোট বাড়লেও একই রয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের ভোট শেয়ার ৷ অন্যদিকে, বামেদের ভোট ব্যাঙ্ক কমে দাঁড়িয়েছে ৭ শতাংশে ৷ ভোট বাক্সে কংগ্রেসের পক্ষে ভোট পড়েছে মোটে পাঁচ শতাংশ ৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বামেদের ভোট ব্যাঙ্ক কেটেই ঘর ভরেছে বিজেপির ৷
তিন বছর আগের লোকসভা ভোটে বামফ্রন্ট পেয়েছিল প্রায় ২৬% ভোট। বিজেপির ভোট তখন ছিল ১০.১৬%।
রাজ্যে দুই থেকে দুই অঙ্কের ঘরে বিজেপির আসন। অথচ, বরাবর এরাজ্যে পিছনের সারিতেই ছিল বিজেপি। কিন্তু, ধর্মীয় মেরুকরণের অস্ত্রেই শেষপর্যন্ত কেল্লা ফতে। পথটা তৈরি হচ্ছিল গত লোকসভা ভোটের পর থেকেই।
দীর্ঘ ৩৪ বছর বাম শাসনে ঢাকা পড়ে ছিল হিন্দুত্বের রাজনীতি। রাজ্যে বাম সরকারের পতনের পর সেই বাম ভোটাররাই বিজেপির শক্তি বাড়ানোয় প্রধান ভূমিকা পালন করলেন। গেরুয়া শিবিরের প্রধানতম অস্ত্র ছিল ধর্মীয় মেরুকরণের কৌশল। সঙ্গে যোগ হয়েছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট না দিতে পারার ক্ষোভ। এর মধ্যে অবশ্য ব্যতিক্রম অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূম জেলা। গড় ধরে রাখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের তরফে দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের গড় মুর্শিদাবাদে জোড়াফুল ফোটালেন শুভেন্দু অধিকারী।