ব্রিটিশরা চলে গেলেও ২৩৩ বছর ধরে রয়ে গিয়েছে এই ট্রাডিশন

Last Updated:

সেই কবে ছিলেন এক লাটসাহেব। হাতি-ঘোড়া নিয়ে নিজের প্রাসাদে ছিল তাঁর বিরাট সংসার। ব্রিটিশ বিদায়ের পর কেটে গিয়েছে ৬৯ বছর। লালমুখো লাটসাহেবরা ফিরে গেছেন নিজের দেশে। কিন্তু পদ ফাঁকা থাকেনি।

#কলকাতা: সেই কবে ছিলেন এক লাটসাহেব। হাতি-ঘোড়া নিয়ে নিজের প্রাসাদে ছিল তাঁর বিরাট সংসার। ব্রিটিশ বিদায়ের পর কেটে গিয়েছে ৬৯ বছর। লালমুখো লাটসাহেবরা ফিরে গেছেন নিজের দেশে। কিন্তু পদ ফাঁকা থাকেনি।
লাটসাহেবের জায়গায় এখন রাজ্যপাল ৷ যদিও  রাজ্যপাল এখন শুধুই সাংবিধানিক পদ। প্রশ্ন উঠছে, জনগণের টাকায় এই ঠাঁটবাটের পরম্পরা কতটা যুক্তিযুক্ত?
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। সরকারের নীতি নির্ধারণেও কোনও ভূমিকা নেই তাঁর। কাজ বলতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফাইলে সই করা। মাঝেসাঝে রাজ্যের রাজনীতিতে কিঞ্চিৎ হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টা আর গুরু গম্ভীর পরামর্শ দেওয়া ৷  সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই এই ট্র্যাডিশন চলে আসছে । রাজ্যপালের কাজ যাই হোক, রাজভবনের জাঁকজমক আর আড়ম্বর কিন্তু কোনও অংশে রাজার চেয়ে কম নয় ৷
advertisement
advertisement
১৭৯৯ সালে শুরু হয়ে ১৮০৩ পর্যন্ত চলে রাজভবনের নির্মাণকাজ ৷ কলকাতার মাঝে এই ‘রাজার বাড়ি’ তৈরিতে খরচ দাঁড়ায় ৬৩ হাজার পাউন্ড অর্থাৎ বর্তমানে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা ৷ ২৭ একর জমিতে ওপর তৈরি ভবনে রয়েছে ৬টি গেট ৷ ১৮৯২ সালে কলকাতা শহরে প্রথমবার যন্ত্রচালিত লিফট বসে এই রাজভবনেই ৷ ৮৪ হাজার স্কোয়ার ফিট বাসযোগ্য জায়গার মধ্যে ৪টি রেসিডেন্সিয়াল স্যুইট রয়েছে ৷
advertisement
এই বিপুল প্রাসাদে বাসিন্দা বলতে রাজ্যপাল ও তাঁর পরিবার। এছাড়াও থাকেন নিরাপত্তাকর্মী, রাজভবনের কর্মী সহ রাজ্যপালের দপ্তরের আধিকারিকরাও। রাজ্যপাল ও রাজভবনের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৫৮৮টি পদ। এর মধ্যে রয়েছেন আইএএস, আইপিএস সহ গ্রুপ ডি কর্মীরাও। জাঁকজকমের বহরটাও ততটাই চোখ ধাঁধানো।
Raj Bhavan(Government House)
advertisement
রাষ্ট্রপতি বা ভিভিআইপিদের জন্য বরাদ্দ প্রিন্স অফ ওয়েলস স্যুইট ৷ রাজভবনের ড্রয়িং ও ডাইনিং রুমে একসঙ্গে বসতে পারেন হাজারেরও বেশি অতিথি ৷ ব্লু ডাইনিং রুমে অতিথিদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল ৷  সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ ব্যাঙ্কোয়েট হল ৷ সেন্ট্রাল কিচেন সহ মোট ৩টি কিচেন রয়েছে এই ভবনে ৷দু’বেলা দেশি-বিদেশি রান্নার জন্য রয়েছে বিশেষজ্ঞ শেফ ৷  এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে জেনে আশ্চর্য হতে হয়, রাজভবনের বাজার খরচে কোনও ঊর্দ্ধসীমা নেই  ৷
advertisement
১০০ বছর আগে যা ছিল এখনও তাই। রাজ্যপাল এখনও লর্ড, তাঁর স্ত্রী ফার্স্ট লেডি। রকম-সকম দেখেই বোধহয় প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধি একবার বলে ফেলেছিলেন, এটা যেন ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া মুখবন্ধ এক কৌটো। যার ভিতরে দমবন্ধ হয়ে যায়।
সরকারি পয়সায় এমন খাতির পেতে কে না চায়? রাজ্যপাল হতে লাইনে দাঁড়ান রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবি থেকে প্রাক্তন বিচারপতিরাও। প্রশ্ন ওঠে, এটা কি রাজনীতিকদের পুর্নবাসন কেন্দ্র? নাকি পাইয়ে দেওয়ার জায়গা?
advertisement
কলকাতায় চাই এমন একটা বাড়ি, যা মনে করিয়ে দেবে ব্রিটিশ সূর্য কখনও অস্ত যায় না। এর কাছে যেন সবকিছুই ছোট লাগে। লর্ড ওয়েলেসলির চিঠিতে এমন নির্দেশই পেয়েছিলেন রাজভবনের স্থপতি চার্লেট ওয়েলেট। পরিকল্পনার দিন থেকে পরের ২২৩ বছরেও মানসিকতাটা বদলায়নি।
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
ব্রিটিশরা চলে গেলেও ২৩৩ বছর ধরে রয়ে গিয়েছে এই ট্রাডিশন
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement