সকালবেলার খবরের কাগজ

Last Updated:

তাঁর দলের বিধায়ক সংখ্যা ৪৪। তবু দেখে মনে হল ৭৭! আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা হিসাবে সনিয়া গাঁধী এখনও কাউকে মনোনীত করেননি। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হিসাবেও কেউ দায়িত্ব পাননি। অথচ শনিবার দুপুরে বিধানসভায় আব্দুল মান্নানকে দেখে মনে হল তিনিই বুঝি অলিখিত বিরোধী দলনেতা! কেন?

১) শপথেও জোটে থাকার ইঙ্গিত মান্নান-সুজনের
তাঁর দলের বিধায়ক সংখ্যা ৪৪। তবু দেখে মনে হল ৭৭! আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা হিসাবে সনিয়া গাঁধী এখনও কাউকে মনোনীত করেননি। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হিসাবেও কেউ দায়িত্ব পাননি। অথচ শনিবার দুপুরে বিধানসভায় আব্দুল মান্নানকে দেখে মনে হল তিনিই বুঝি অলিখিত বিরোধী দলনেতা! কেন?
advertisement
advertisement
এ দিন থেকে বিধানসভায় নব নির্বাচিত বিধায়কদের শপথ শুরু হয়েছে। দেখা গেল, শুধু নিজের দলের বিধায়কদের শপথের ব্যবস্থা করে থেমে থাকলেন না মান্নান, যৌথ ভাবে শপথ নেওয়ার আগে বাম বিধায়কদেরও কংগ্রেস পরিষদীয় দলের ঘরে ডেকে নিলেন। এমনকী, আপাত দর্শনে ঠাহর করতে অসুবিধা হল, বাম-কংগ্রেস দু’টি পৃথক দল নাকি দুয়ে মিলে একটাই বিরোধী দল।
advertisement
মান্নান বলেন, ‘‘সনিয়া গাঁধী কাকে বিরোধী দলনেতা পদে মনোনীত করবেন, জানি না। যে হেতু জোট হিসাবে লড়েছি, তাই শপথের ক্ষেত্রেও কংগ্রেস-সিপিএম বিধায়কদের একসঙ্গে যাওয়ার উপরে জোর দিয়েছি। সিপিএম নেতৃত্বও আমার কথা মেনে নিয়েছেন।’’ বিধায়কদের শপথ গ্রহণ পর্বের প্রথম দিনে জোটের ১১ জন বিধায়ক একসঙ্গে শপথ নিয়েছেন। সূত্রের মতে, তার আগে পারস্পরিক সমন্বয় রেখে চলেন মান্নান এবং যাদবপুর থেকে জয়ী সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। কারণ, সুজনকে পরিষদীয় দলনেতা করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে সিপিএম।
advertisement
২) গড়বড়ে মিটারে গচ্চা গ্রাহকের, সংস্থা উদাসীন
বিদ্যুৎ সরবরাহ করে তারা। তারাই বসিয়ে যায় মিটার। অথচ সেই মিটারের ভাল-খারাপের দায়িত্ব নিতে রাজি নয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা! মিটার খারাপ হওয়ার জেরে গ্রাহককে যদি মাসের পর মাস বাড়তি বিলের খেসারত দিতে হয় বা ঘুরতে হয় কর্তাদের দোরে দোরে, তা হলেও বিদ্যুৎ সংস্থা দায় এড়িয়ে যাবে। যেমনটা হয়েছে বিরাটির বিশরপাড়ার দিলীপ রায়ের ক্ষেত্রে।
advertisement
বিশরপাড়ায় নতুন বাড়ি করেছেন দিলীপবাবু। ছাপোষা মধ্যবিত্ত পরিবার। দর্জির কাজ করে সংসার চালান। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে নতুন মিটার বসিয়ে গিয়েছে বণ্টন সংস্থা। কিন্তু প্রথম থেকেই খেল্‌ দেখাতে শুরু করে সেই মিটার! তিনি দেখেন, আগের তুলনায় কোনও মাসে দ্বিগুণ, কোনও মাসে চার গুণ পর্যন্ত ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। বণ্টন সংস্থায় অভিযোগ জানান দিলীপবাবু। ‘‘কিন্তু আমার অভিযোগকে আদৌ আমল দেননি অফিসারেরা। আমি শুধু এক অফিস থেকে অন্য অফিসে সমানে ছুটে বেড়িয়েছি,’’ ক্ষোভ ঝরে পড়ল ওই গ্রাহকের গলায়। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
advertisement
৩) ওয়ার্নার অতিমানবীয় তবু মন বলছে বছরটা বিরাটদের
মনে হচ্ছিল শুক্রবার যেন এবি ডে’ভিলিয়ার্সের অতিমানবীয় ইনিংসটার রি-রান দেখছি! খালি এ বার ব্যাট হাতে ডেভিড ওয়ার্নার। যে একার চেষ্টায় নিজের টিমকে এ বারের আইপিএল ফাইনালে পৌঁছে দিল।
কোটলায় একটা সময় মনে হচ্ছিল সানরাইজার্সের হার অবধারিত। ওয়ার্নার কিন্তু টিমকে জেতানোর প্রতিজ্ঞা নিয়ে নেমেছিল আর কাজটা শেষ না করে মাঠ ছাড়ল না। এমন নয় যে গুজরাতের বোলিং খারাপ হয়েছে। উল্টে সানরাইজার্স ব্যাটসম্যানদের এতটুকু জায়গা ছাড়েনি ওরা। শেষের দিকে কয়েকটা ওভার বাদ দিলে গোটা ম্যাচে যথেষ্ট আঁটোসাঁটো বোলিং করেছে। তবে ওয়ার্নার আর ওর পার্টনার ওই কয়েকটা খারাপ ওভারকেই দারুণ ভাবে কাজে লাগিয়ে ম্যাচ বের করে নিল।
advertisement
1451118637_logo
১)  ভোটে কমিশনের ‘অতি সক্রিয়তা’
আইনি লড়াই শুরুর পরিকল্পনা তৃণমূলের
এবার তামিলনাড়ু ও কেরলে বিধানসভা নির্বাচন ছিল একদিনে। অথচ পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন কমিশন সাতদিন ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে। তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৪৪ ধারা জারি করে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে যেভাবে ভোট করিয়েছে কমিশন, তাতে বেজায় চটে যান তিনি। তাঁর মতে, কমিশনের বাড়াবাড়ির জন্য বহু মানুষ ভোট দিতে পারেননি। কেন্দ্রীয় বাহিনী সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেছে। রাজ্যজুড়ে মস্তানি চালিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ‘অতিসক্রিয়তায়’ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার আইনি লড়াইয়ের কথা ভাবছেন।
২) পঞ্চম শ্রেণি থেকে পাশ-ফেলের সুপারিশ
আর অষ্টম শ্রেণি নয়, সম্ভবত চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্তই থাকতে চলেছে পাশ-ফেলে ছাড়। পঞ্চম শ্রেণি থেকেই দিতে হবে পরীক্ষা। বরং পাশ করার জন্য অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একাধিকবার পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। জাতীয় শিক্ষা নীতি তৈরির উদ্দেশে কেন্দ্রের গঠিত সুব্রহ্মণ্যম প্যানেল মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে শুক্রবার। তাতেই রয়েছে এই প্রস্তাব। সব রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এবং সচিবদের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে তৈরি এই রিপোর্ট জাতীয় শিক্ষানীতি গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নেবে বলেই বক্তব্য ওয়াকিবহাল মহলের। সেক্ষেত্রে এই নীতিও কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি।
৩) দায়িত্বভার নিয়েই টাইগার হিলকে নবসাজে সাজিয়ে তোলার কথা জানালেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব
মণীন্দ্রনারায়ণ সিংহ, শিলিগুড়ি, বিএনএ: নিজের দপ্তরের দায়িত্বভার নিয়েই শনিবার দার্জিলিংয়ের টাইগার হিলকে নবসাজে সাজিয়ে তোলার কথা জানালেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, পাহাড় থেকে সুন্দরবন, জঙ্গলমহল রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যে প্রকল্পগুলি এই রাজ্য সরকার নিয়েছে, তার দ্রুত রূপায়ণ করাই আমার মূল লক্ষ্য
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
সকালবেলার খবরের কাগজ
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement