কলকাতা: গঙ্গার নীচে মেট্রোর মতোই এবার ছুটবে গাড়ি। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর শুরু করতে চলেছে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ। ডিপিআর-তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বেলজিয়ামের ধাঁচে এই সুড়ঙ্গ তৈরি হবে বলে খবর। নেতাজি সুভাষ ডক থেকে শালিমার বা বোটানিক্যাল গার্ডেন অবধি এই টানেল হবে।
লরি চলাচলের পাশাপাশি আগামী দিনে এখান দিয়ে চলতে পারে ট্রেন। শহরের যানজট কমাতে ও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ওপর চাপ কমাতে এই উদ্যোগ। বন্দরের পাশাপাশি, কেএমসি, কেএমডিএ, রেল, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এতে কাজ করবে। বেলজিয়ামের সুড়ঙ্গ এবার কলকাতায়। শীঘ্রই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর গঙ্গার নীচের সুড়ঙ্গের মতো ফের একটি টানেল হতে চলেছে কলকাতায়। কলকাতা বন্দর সূত্রে খবর, এবার গাড়ি বা বলা ভাল কন্টেনার যাতায়াত করার জন্যে সুড়ঙ্গ তৈরি হতে চলেছে।
গঙ্গার নীচ কলকাতায় সুড়ঙ্গ কোথায় হবে? সংযোগকারী রাস্তা কোথায় হবে, তা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে ডিপিআর নির্মাণকারী সংস্থা। এই সুড়ঙ্গ তৈরি হয়ে গেলে আর্থিক ভাবে কলকাতা বন্দর কতটা উপকৃত হবে বা যানজট কতটা কমবে তা নিয়ে একটা সমীক্ষা আগেই হয়েছে। একই সঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে ডিটেইলস প্রজেক্ট রিপোর্ট বা DPR।
সূত্রের খবর, একটি আন্তর্জাতিক মানের সংস্থা এই DPR তৈরি করছে। বন্দর ডেপুটি চেয়ারম্যান সম্রাট রাহি জানিয়েছেন, ‘‘বন্দর এলাকায় একাধিক জায়গা থেকে কন্টেনার আসে। রাস্তা দিয়ে কন্টেনার যাতায়াত করার জন্য ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। যানজট ঠেকাতে একাধিক ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি। তবে কলকাতা ও হাওড়া শহর এবং পাশ্ববর্তী এলাকা যানজটমুক্ত করতে এই টানেল কার্যকরী হবে। তবে টানেল কোথায় হবে ও কোন দুটি অংশকে যুক্ত করবে তা সমীক্ষা ও DPR-এ উঠে আসবে।’’
এই ধরণের টানেল অবশ্য নতুন নয়। বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প বন্দরের শেল্ড নদীর নীচে লিফকেনশোয়েক সুড়ঙ্গ আছে। এই সুড়ঙ্গ প্রায় ১.৩৭ কিমি লম্বা। এই সুড়ঙ্গ দুই লেনের। উচ্চতা এমনটাই করা আছে যেখানে ৫.১০ মিটার উচ্চতার কন্টেনার বা ট্রাক যাতায়াত করতে পারে। কলকাতায় সুড়ঙ্গ তৈরি হলেও এমনটাই করা হবে বলে আশাবাদী বন্দরের আধিকারিকরা।
খিদিরপুর ডক ও নেতাজী সুভাষ ডক দিয়ে প্রতিদিন বহু ট্রাক ও কন্টেনার যাতায়াত করে। এর অধিকাংশ ট্রাক আসে দ্বিতীয় হুগলি সেতু ধরে। যার জেরে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, সাঁতরাগাছি এবং অন্যদিকে ডানলপ, বিমানবন্দর-সহ একটা বড় অংশে যানজট তৈরি হয়। বিভিন্ন সময়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হলেও, যানজট নিয়ন্ত্রিত হয়নি।
আরও পড়ুন, কলকাতার মাটির নীচে একই জায়গায় তিন সুড়ঙ্গ! হতবাক করা কাণ্ড
আরও পড়ুন, মেট্রোর জন্য মোমিনপুর থেকে এসপ্ল্যানেড সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু হবে চলতি বছরেই
মাঝে চিন্তা করা হয়েছিল রো-রো পরিষেবা চালু করা হবে। যদিও রো-রো করে ট্রেলার নিয়ে যেতে জেটি প্রয়োজন তা টেকনিকালি করা এখন সম্ভব হচ্ছে না। তাই আগামী দিনে ভরসা হতে চলেছে সুড়ঙ্গ। ডেপুটি চেয়ারম্যান সম্রাট রাহি জানিয়েছেন, এই কাজের জন্য জমির সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ বন্দরের নিজস্ব জমি আছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kolkata metro, Tunnel