#কলকাতা: জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ, রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনের দায়ের করা মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা খারিজ করে। ৮ দফায় বিধানসভা ভোটের কারণে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বহু শিশু প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, মৃত্যুও হয়েছে বহু শিশুর, মামলায় এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন।
বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন যে শিশুদের মৃত্যু হয়েছিল তার কারণ খুঁজে বার করতে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন কোনও মিটিং ডাকেননি, এমনটাই পর্যবেক্ষন হাইকোর্টের। রায়দানে হাইকোর্ট জানায়, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের গাফিলতির কারণে শিশুমৃত্যু হয়েছে কিনা, তা অনুসন্ধান করে দেখার সুযোগ রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের ছিল। আদালতের দরজা বন্ধ নয়। অনুসন্ধানের পর যদি শিশু সুরক্ষা কমিশন নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কারও গাফিলতি খুঁজে বের করতে পারত, তা হলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ তাদের ছিল।
হাইকোর্টে রায়দানে আরও জানায়, ২০০৫ সালের শিশু সুরক্ষা অধিকার আইনের জাতীয় ও রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের হাতে একাধিক ক্ষমতা দেওয়া আছে। শিশুদের অধিকার খর্ব হলে তারা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারেন। তদন্ত বা অনুসন্ধান করার ক্ষমতা কমিশনের আছে। এক্ষেত্রে রাজ্য কমিশন সেরকম কিছু করেছে বলে মনে হচ্ছে না। যখন রাজ্য কমিশনের হাতে ক্ষমতা আছে তখন আদালত প্রত্যাশা করে যে রাজ্য কমিশন প্রথমে শিশু মৃত্যুর তদন্ত করবে এবং তারপর তাদের সুপারিশ যদি রাজ্য মেনে না নেয় সেক্ষেত্রে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, যে কোনও মৃত্যুই অত্যন্ত দুঃখের। শিশুরা দেশের সম্পদ। যখনই কোন শিশুর অধিকার হরণ করা হবে তখনই বিন্দুমাত্র দেরি না করে কমিশনগুলির উচিত পদক্ষেপ করা এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া। আদালত এটা প্রত্যাশা করে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন আইন, নিজের ক্ষমতা এবং কর্তব্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকবেন। এবং নিজের ক্ষমতার প্রয়োগ করে নির্দিষ্ট সুপারিশ নিয়ে তারপর আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kolkata Highcourt