#কলকাতা : সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল । আমফান ঘূর্ণিঝড় বদলে দিল সব হিসেব নিকেশ । করোনা আতঙ্কের আবহে অফিস কর্মী থেকে স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা অনলাইন ক্লাস কিম্বা অফিস সামাল দিচ্ছিলেন বাড়িতে বসেই। তবে সাম্প্রতিক আমফান ঝড়ের ঝাপটায় বেসামাল হয়ে পড়ে বিভিন্ন মোবাইল সংস্থার টাওয়ারও। ব্যতিক্রম জিও।
নেটওয়ার্ক সমস্যায় জর্জরিত আজ অনেকেই । বিভিন্ন মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা এখনও গ্রাহকদের পুরোপুরি স্বাভাবিক পরিষেবা না দিতে পারলেও পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাস অথবা অনেক গ্রাহকেরই ভরসা এখন জিও। সবাই বলছেন, ' জিও আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। মুশকিল আসান'। আমফান ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে শহরের বিভিন্ন জনপদ। কোথাও গাছ উপড়ে আবার কোথাও বা বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে তছনছ। এখনও বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। ঝড়ের ভয়ঙ্কর ঝাপটায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে মোবাইল পরিষেবাতেও। শহরের প্রচুর মোবাইলের টাওয়ারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই যোগাযোগ ব্যবস্থাও থমকে। প্রত্যেকটি নাগরিকের কাছে মোবাইল এখন নিত্যসঙ্গী। হাতের মুঠোয় গোটা বিশ্বকে জানার মাধ্যমও ঝড়ের দাপটে কার্যত অকেজো হয়ে পড়েছে।
লক ডাউনের সময় work from home এর মাধ্যমে বর্তমানে কিছুটা সচল পড়াশোনা। স্কুলের পঠন পাঠনের প্রধান ভরসা এখন অনলাইন ক্লাস। ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে বসেই অনলাইনে ক্লাস করছে কিংবা প্রজেক্ট তৈরি করছে। অথবা স্কুল কর্তৃপক্ষের পাঠানো বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে সিলেবাস এগোচ্ছে। অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষ আবার অনলাইনের মাধ্যমেই পড়ুয়াদের ইউনিট টেস্ট নিচ্ছে । তবে একটা ঝড় বদলে দিয়েছে গোটা ছবিটাকে। আমফানে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাতেও। অনলাইন ক্লাস চলাকালীন নেট কানেকশন কেটে যাওয়া। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথাবার্তা ঠিকভাবে শুনতে না পাওয়া। একই পড়া বারবার করে পড়ানো । স্কুলের তরফে মোবাইলের নির্দিষ্ট অ্যাপে পাঠানো বিভিন্ন প্রজেক্ট- অ্যাসাইনমেন্ট । ইন্টারনেট কার্যত বিকল থাকায় ডাউনলোডও হচ্ছে না। এই অবস্থায় চূড়ান্ত নাকাল হচ্ছে অভিভাবক থেকে ছাত্র ছাত্রীরা। একই অবস্থা অন্যান্য গ্রাহকদেরও। অনলাইন ক্লাস ই এখন যেখানে ভরসা সেখানে ইন্টারনেটের যদি এই বেহাল দশা হয় তাহলে সিলেবাস শেষ হবে কী করে ? তা নিয়েই কপালের চিন্তার ভাঁজ মোটা হচ্ছে ছাত্র থেকে অভিভাবকদের। কলকাতা তথা রাজ্যের কিছু কিছু স্কুল তো আবার বেহাল ইন্টারনেট পরিষেবার কারণে অনলাইন ক্লাস সাময়িক বন্ধ রেখেছে। তবে যেখানে অন্যান্য মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারদের মোবাইলের নেটওয়ার্ক কানেকশন কিংবা ইন্টারনেট পরিষেবা কার্যত স্তব্ধ হয়ে রয়েছে সেখানে কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে JIO মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা। একদিকে যখন সমস্ত নেটওয়ার্ক ঝড়ের তাণ্ডবে বেসামাল হয়ে পড়েছে সেখানে JIO অফিসকর্মী ছাত্র-ছাত্রী কিংবা অন্যান্য মোবাইল গ্রাহকদের অনেকটাই সমস্যা মেটাচ্ছে। তবে যাদের জিও কানেকশন নেই তাদের রীতিমত মোবাইল পরিষেবা নিয়ে কালঘাম ছুটছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিভাবকদের আর্জি, নেট পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস বন্ধ রাখার। আজও কলকাতা তথা বিভিন্ন জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি সচল , স্বাভাবিক না হওয়ায় ঘোর সমস্যায় পড়ুয়ারা। সকাল থেকে ঠায় অপেক্ষা। কখন আসবে নেটওয়ার্ক। মোবাইলের স্ক্রিনে RETRY বাফারিং হয়েই চলেছে। আপনি যে নম্বরে ফোন করেছেন সেটি এখন ব্যাস্ত আছে। কিছুক্ষণ পর আবার চেষ্টা করুন। কিংবা মোবাইলে ভেসে আসছে আপনি যে নাম্বারটি ডায়াল করেছেন সেটি যাচাই করে নিন। নেটওয়ার্কের সমস্যা জনিত কারণে অনলাইন ক্লাস করতে বসা ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের পড়াশোনার বদলে এখন মোবাইলে এইসব কথাই বেশি শুনতে পাচ্ছেন। একই অভিজ্ঞতা সাধারণ গ্রাহকদেরও। এই অবস্থায় JIO র পরিষেবা নিয়ে সন্তুষ্ট প্রত্যেকেই।
VENKATESWAR LAHIRI
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cyclone Amphan, Jio, Online Classes, Work From Home