#কলকাতা: সংস্কারের পর চাঙর খসে পরল ঐতিহাসিক টাউনহলের (Kolkata Historical Buidling)। কোটি কোটি টাকা খরচে সংস্কারের পর এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ। আজ টাউন হল (Kolkata Town Hall) পরিদর্শনে যাবেন কলকাতা পৌরসভার প্রশাসনিক মন্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম এবং জরুরি বৈঠক করবেন বেলা দুটোয়।
২০১৭ সালে সংস্কারের কাজ শুরু হয় রুড়কি আইআইটি র (IIT Roorkie) পরামর্শে। রাজ্যের পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা সংস্কারের কাজ করেন। প্রথম পর্যায়ে ২৮ কোটি টাকা ও পরে আরও তিন কোটি টাকা খরচ করা হয়।বিকাশ ভট্টাচার্য্য মেয়র থাকাকালীন টাউনহলের বেসমেন্টের ৪ফুট খুঁড়ে তৈরি হয় বেসমেন্ট হল। রুড়কি আইআইটির পরামর্শে সেই বেসমেন্টের অংশের সাদা বালি ও কংক্রিটে পুরনো চেহারা ফেরানো হয়। চার ফুট গর্ত বুজিয়ে পুরনো চেহারা নকশায় ফিরিয়ে আনেন ইঞ্জিনিয়াররা।
দোতালার মেঝেতে কাঠের পাটাতনের বদলে ইস্পাতের পাত, তার ওপরে কংক্রিট এবং সবার ওপরে কাঠের পুরনো চেহারা ফেরানো হয়। দোতালায় ওঠার ঐতিহ্যের সিঁড়ি কাঠেরই থাকছে। লম্বা থাম সহ বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছিল। সেখানে স্টিল ওয়ার এবং রাসায়নিক দেওয়ার পর ফাইবার রেপিং করা হয়েছে যাতে ভূমিকম্পেও অটুট থাকে এই ইমারত।
১৮১৩ সালের টাউন হলের নির্মাণকাজ শেষ হয় ৭ লক্ষ টাকায়। ডোরিক স্থাপত্যরীতিতে চুন সুরকির এই ইমারত তৈরি হয়েছে। বেসমেন্টে ৫ ফুট ব্রিক আর্চের উপর রয়েছে মূল ভবনের ভিত্তি। মোট বারোশো বর্গমিটার এলাকা। হল ঘরগুলির আয়তন ১৬৫ ফুট লম্বা ও ৬৫ ফুট চওড়া।
বিকাশ ভট্টাচার্যের আমলে বেসমেন্ট বদলে তৈরি হয় বেসমেন্ট হল। ২০১২ সালের ১৪ই এপ্রিল শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়র থাকাকালীন বেসমেন্ট হল এর উদ্বোধন হয়, নাম কন্দর। জানুয়ারি মাসে সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ার পর বেশ কয়েক জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়তে থাকে। টাউন হলের সামনের একাংশ খসে পড়েছে পলেস্তারা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের পর কী ভাবে এই বিপর্যয় তা খতিয়ে দেখতে আর জরুরি বৈঠক।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।