হোম /খবর /কলকাতা /
DA-র দাবিতে বনধ ব্যর্থ করতে স্কুলে স্কুলে নোটিস তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের

DA Protest in West Bengal: উচ্চ মাধ্যমিকের আগে ডিএ-র দাবিতে বনধ ব্যর্থ করতে স্কুলে স্কুলে নোটিস তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের

ডিএ-র দাবিতে বনধের ডাক

ডিএ-র দাবিতে বনধের ডাক

DA Protest in West Bengal: ১০ তারিখ কর্মনাশা বনধ ব্যর্থ করে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পঠন-পাঠন চালু রাখার আবেদনে প্রত্যেকটি স্কুলে এই নোটিস পাঠাতে শুরু করেছে তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি।

  • Share this:

কলকাতা: ডিএ-র দাবিতে আগামী ১০ মার্চ বনধ ডেকেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছেন বামেরাও। যদিও নবান্ন সূত্রে খবর, ১০ মার্চের সরকারি কর্মচারীদের এই কর্মসূচিকে ঘিরে ফের কড়া নির্দেশিকা জারি হতে পারে। কিন্তু তার মাঝেই প্রত্যেকটি স্কুলে স্কুলে নোটিস পাঠাতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি।

নোটিস পাঠিয়ে স্কুলে স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের আবেদন জানানো হচ্ছে, দাবি আদায়ের জন্য বিচারাধীন বিষয় অনৈতিক ধর্মঘটের নামে ছাত্র-ছাত্রী স্বার্থ বিঘ্নিত করা চলবে না। ১০ তারিখ কর্মনাশা বনধ ব্যর্থ করে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পঠন-পাঠন চালু রাখার আবেদনে প্রত্যেকটি স্কুলে এই নোটিস পাঠাতে শুরু করেছে তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি।

আরও পড়ুন: রাজ্যে সরকারি চাকরির বিরাট সুযোগ, মন্ত্রিসভায় ঘোষণা মমতার! পাহাড় থেকে সমতল, সুযোগ সর্বত্রই

এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষা সমিতি রাজ্য সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমরা এই বনধের বিরোধিতা করছি। তার জন্যই আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে আবেদন জানিয়েছি যাতে ওই দিন পঠন-পাঠন স্বাভাবিক রাখা হয় স্কুলগুলিতে।" প্রসঙ্গত মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরু হচ্ছে আগামী ১৪ মার্চ থেকে। সেক্ষেত্রে শুক্রবার অর্থাৎ ১০ মার্চ দিনটি রাজ্যের স্কুলগুলির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। বিশেষত যে স্কুলগুলি পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। পাশাপাশি, পরীক্ষা সংক্রান্ত একাধিক কাজ পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে হবে। তার জন্য বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকারও প্রয়োজন রয়েছে।

আরও পড়ুন: 'ওর কাছে টাকার পাহাড় আছে', অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য দারুণ 'বুদ্ধি' দিলেন সেলিম!

যদিও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ দাবি করেছে, এর প্রভাব পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কোনও রকম পড়বে না। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নাম না করে সরকারি কর্মচারীদের একাংশের এই আন্দোলনকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিন শতাংশ ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মার্চ মাস থেকে তা কার্যকর হতে চলেছে। যদিও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে অনড়। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে আগামী ১০ মার্চ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে সদস্যদের তরফে ডাকা এই বনধকে কেন্দ্র করে প্রভাব পড়তে পারে বিভিন্ন সরকারি দফতরে। এর প্রভাব পড়তে পারে বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলগুলিতেও।

যদিও সম্প্রতি সরকারি কর্মচারীদের তরফে দু'দিন যে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছিল, তাকে কেন্দ্র করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য কড়া নির্দেশিকা দিয়েছিল। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয় স্কুলগুলিতে। সেক্ষেত্রে আগামী ১০ মার্চের ক্ষেত্রেও এই ধরনের কোনও নির্দেশিকা পর্ষদের তরফে জারি করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তার আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক সংগঠনের তরফে স্কুলে স্কুলে এই চিঠিকেও রাজনৈতিকভাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক সময় দু'দিন কর্মবিরতির ডাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক সংগঠনের সে অর্থে তৎপরতা নজরে না এলেও ১০ মার্চকে কেন্দ্র করে কেন এই চিঠি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

Published by:Raima Chakraborty
First published:

Tags: CM of West Bengal, DA case, DA Hike