#কলকাতা: করোনাভাইরাসের জের এবার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করা শপিং মলগুলোতে। আতঙ্কে অনেক ক্রেতাই এক সঙ্গে বেশ কয়েক মাসের সামগ্রী মজুদ করছেন বাড়িতে।
করোনাভাইরাসের প্রভাব এখন সর্বত্র। ইতিমধ্যেই দেখা গেছে কলকাতা শহরের বিভিন্ন বাজারে লোকজন কম আসছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে রাজ্য জুড়ে। বহু সংস্থা কর্মীদের অফিসে না গিয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে বলছে। তার ফলে রাস্তাঘাটে যানবাহন এখন অনেক কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আগামী এক মাস আমাদের দেশে জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই রকম অবস্থায় সাধারণ মানুষ ভবিষ্যতের কথা ভেবে আগে থেকে চাল ডালের নুন তেলের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অনেক বেশি পরিমাণে মজুদ করছেন বাড়িতে। যদিও শহরের শপিং মল গুলোতে লোকজন স্বাভাবিকের থেকে অনেক কম আনাগোনা করছেন। কিন্তু যারা আসছেন তারা একসঙ্গে অনেক পরিমাণে সামগ্রী কিনে বাড়ি ফিরছেন। বুধবার সকালে বাগুইহাটির ভিআইপি রোডের ধারে একটি শপিংমলে দেখা গেল এই রকমের চিত্র। বাগুইহাটি অশ্বিনী নগরের বাসিন্দা রঞ্জিত পাল একসঙ্গে তিন বস্তা অর্থাৎ 75 কেজি চাল, দু কেজি মুগ ডাল, তিন কেজি মসুর ডাল, 4 পেটি তেল এবং রকম মশলা সহ অন্যান্য অনেক সামগ্রী নিয়ে বিলিং কাউন্টারে দাঁড়ান। কাউন্টারে যিনি বিল করছিলেন তিনি এত মালপত্র দেখে রঞ্জিতবাবুকে জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর দোকান কোথায়?
আশেপাশে উপস্থিত অনেকেই ভেবেছিলেন যে এই পরিমাণ মাল দোকানের জন্য কিনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু সকলকে অবাক করে রঞ্জিত পাল বলেন তার কোন দোকান নেই। করোনাভাইরাসের জন্য এই কেনা কাটা। তিনি বলেন, 'কাগজে পড়লাম রাজ্য সরকার করোনাভাইরাসের জন্য মহামারী আইন জারি করেছে। পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে ঠিক নেই। তাই আগে থেকে কিনে রাখলাম।' কিন্তু তাই বলে এত! তিনি বলেন, তাঁর নিজের পরিবারের জন্য নয়। অর্ধেক যাবে দিদির বাড়িতে। ওই শপিং মলের ম্যানেজার জানান, গত কয়েক দিন তারা এই রকম কেনাকাটা লক্ষ্য করছেন। তবে রঞ্জিত পালের বিষয়টি একটু বেশিই।
Soujan Mondal