হোম /খবর /কলকাতা /
ঘন ঘন লোডশেডিং, ভিলেন কে জানেন? পর্ষদ, সিইএসসি এলাকায় অতীষ্ঠ মানুষ

Load shedding in West Bengal: ঘন ঘন লোডশেডিং, ভিলেন কে জানেন? পর্ষদ, সিইএসসি এলাকায় অতীষ্ঠ মানুষ

প্রতীকী ছবি৷

প্রতীকী ছবি৷

সমস্যা সমাধানে তৎপর হয়েছে দুই সংস্থাই৷ কোথাও বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিলে দ্রুত মেরামতি কাজ শুরু করার জন্য ফিল্ড কর্মীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে৷

  • Share this:

কলকাতা: তীব্র দাবদাহে ঘরে বাইরে টেকা দায়৷ তারই মধ্যে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়েছে লোডশেডিং৷ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন এলাকায় তো বটেই, গত কয়েকদিন সিইএসসি এলাকাতেও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতীষ্ঠ মানুষ৷

সরকারি এবং বেসরকারি দুই সংস্থাই অবশ্য এই সমস্যার জন্য এয়ার কন্ডিশনার বা এসি-কেই দায়ী করছেন৷ দুই সংস্থার কর্তাদের কথায়, গরমের মধ্যে মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়ে লোডশেডিংয়ের কারণ 'আননোন লোড'৷ অভিযোগ, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাকে না জানিয়ে এসি-র সংযোগ নিয়ে নিচ্ছেন অনেকে৷ ফলে সংস্থার কাছে খাতায় কলমে বিদ্যুতের যে চাহিদা থাকছে, তার থেকে চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে৷ খাতায় কলমে এবং বাস্তব চাহিদার মধ্যে এই তফাতকেই 'আননোন লোড' বলছেন বিদ্যুৎ সরবরাহকারী দুই সংস্থার কর্তারা৷

আরও পড়ুন: অবশেষে এল স্বস্তির বার্তা! বাংলার কোথায়, কতটা বৃষ্টির আশা? জানালো আবহাওয়া দফতর

চাহিদা এবং জোগানের এই আচমকা অসামঞ্জস্যের জন্যই অধিকাংশ এলাকায় লোডশেডিংয়ের সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে দাবি দুই সংস্থার৷ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন এলাকায় ইতিমধ্যেই সর্বাধিক চাহিদা দৈনিক ৮ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ সিইএসসি-র এলাকা যেহেতু তুলনামূলক ভাবে ছোট, তাই তাদের চাহিদাও রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তুলনায় কম থাকে৷ কিন্তু গত কয়েক দিনের প্রবল গরমে সেই চাহিদাও অনেকটা বেড়ে গিয়েছে৷ সিইএসসি-র ইতিহাসে সর্বকালীন, সর্বাধিক চাহিদা তৈরি হয়েছিল সোমবার বেলা ৩:৪৫ মিনিটে। সংস্থা সূত্রে খবর, সেই সময় ২৩৬৬ মেগাওয়াট চাহিদা ছিল। দুই সংস্থার পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে, দুপুরের পাশাপাশি রাত সাড়ে এগারোটার পর বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই বাড়ছে৷ কারণ ওই সময়ই এসি চালানোর প্রবণতা বাড়ে৷

সমস্যা সমাধানে তৎপর হয়েছে দুই সংস্থাই৷ কোথাও বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিলে দ্রুত মেরামতি কাজ শুরু করার জন্য ফিল্ড কর্মীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে৷ কিন্তু লুকিয়ে এসি-র সংযোগ নেওয়ার প্রবণতা কীভাবে কমানো যাবে, তা নিয়েই এখন চিন্তায় দুই সংস্থার কর্তারা৷

গরম পড়লে প্রতিবছরই বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে৷ কিন্তু এ বারের এপ্রিলে বেনজির গরমে বিদ্যুতের চাহিদা অত্যাধিক হারে বেড়েছে৷ হু হু করে বিক্রি হচ্ছে এসি, কুলার৷ সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্তারা বলছেন, অধিকাংশ বাড়িতেই এসি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় লোড নেওয়া থাকে না৷ এসি বসানোর আগে সংস্থার স্থানীয় অফিসে লোড বাড়ানোর জন্য আবেদন পত্র এবং নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা দিতে হয়৷ কিন্তু খরচ এবং সময় বাঁচাতে অনেকেই সেই পথে হাঁটছেন না৷

Published by:Debamoy Ghosh
First published:

Tags: CESC, Heat Wave, WBSEDCL