C V Ananda Bose: ফুটপাথ থেকে রাজভবন... নবমীর সন্ধ্যায় হঠাৎ রাজ্যপালের সাক্ষাৎ! মুহূর্তে বদলে গেল জীবন

Last Updated:

C V Ananda Bose: অভিষেক চট্টোপাধ্যায় ওরফে হাওড়ার নন্দের জীবনের প্রায় ১০-১২ বছর কেটে গিয়েছে ধর্মতলার ফুটপাতে।

রাজভবনের ফুটপাথে রাজ্যপাল
রাজভবনের ফুটপাথে রাজ্যপাল
কলকাতা: ভাগ্যের চাকা যে কার কখন ঘোরে বলা যায় না। ঠিক একইভাবে পুজোর রোশনাই, আনন্দের ভিড়ে নিঃশব্দে বদলে গেল শহরের এক ফুটপাথবাসীর জীবন। একদিন নিজেরই পরিবারের লোকজনের মার খেয়ে হাওড়ার কদমতলার বাড়ি ছেড়ে কলকাতার ধর্মতলায় এসে ভরঘুরের জীবনযাপন শুরু করেছিলেন নন্দ। এ বার সেই গৃহহীনের স্থান হল কিনা খাস রাজভবন! শুনতে অবাক লাগলেও ঘটেছে এমনটাই।
অভিষেক চট্টোপাধ্যায় ওরফে হাওড়ার নন্দের জীবনের প্রায় ১০-১২ বছর কেটে গিয়েছে ধর্মতলার ফুটপাতে। কখনও এসপ্লানেড এলাকার দামী হোটেলের সামনের ফুটপাত, কখনও আবার মেট্রোর সিঁড়ি। কখনও আবার বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলের সামনের রাস্তায়। আবার রাজভবনের কোয়াটার্সের ছাদের তলার রাস্তাতেই কেটেছে মাসের পর মাস। এবার সেই রাজভবনের দরজা শারদোৎসবের নবমীর বিকেলে নন্দের জন্য খুলে গেল।
advertisement
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বর না অক্টোবর…? ২০২৪ -এ কবে হবে মহালয়া? দুর্গাপুজো কবে? জানুন দিনক্ষণ-তারিখ
advertisement
সোমবার বিকেলে রাজভবন থেকে বেরিয়ে চিকিৎসকদের কোয়াটার্সে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের স্থায়ী চিকিৎসকদের শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানাতেই সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। তার পরের কর্মসূচিও স্থির ছিল রাজ্যপালের। রাজভবনের পুজো প্যান্ডেলে এক বার দেবীদর্শন করে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস যেতে চেয়েছিলেন রাজভবনের কোয়াটার্সে। কিন্তু চিকিৎসকদের কোয়াটার্স থেকে নেমে রাজভবনের পুজো মণ্ডপের দিকে যেতেই ফুটপাতে এক ভবঘুরেকে শুয়ে থাকতে দেখেন রাজ্যপাল। দাঁড়িয়ে পড়েন দেখেই।
advertisement
পরনে ফ্যাকাসে রং ওঠা জামা, আর হাফ প্যান্ট। মাঝবয়েসি ব্যক্তিকে দেখেই রাজ্যপাল তাঁর সঙ্গে থাকা আধিকারিকের কাছে জানতে চান বিশদে। প্রায় আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দোভাষী মারফৎ কথা চালিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানতে পারেন, ওই ভবঘুরের নাম অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। ডাক নাম নন্দ। হাওড়ার কদমতলার বাসিন্দা। বেশ খানিক্ষণ কথা বলে যাবতীয় তথ্য জানতে চান বোস।
advertisement
আরও পড়ুন: সুখবর! দিওয়ালিতে ভারতীয় রেলের বাম্পার গিফট! উৎসবের মরশুমে ছুটবে ২৮৩ স্পেশাল ট্রেন, রইল তালিকা…
সব শুনে তাঁকে রাজভবনের কোয়াটার্সে থাকার প্রস্তাব দেন রাজ্যপাল। প্রথমে রাজি না হলেও, কয়েক বারের অনুরোধে সেখানে থাকতে রাজি হন নন্দ। রাজ্যপাল দোভাষীদের মারফত তাঁকে দিনে তিন-চার বার খাবার দেওয়ার প্রস্তাব দেন। শুনে নন্দ জবাব দেন, ‘‘এখন আর অত বার খেতে পারি না। বিকেলের দিকে এক বার খাই। হুজুর এক বার খাওয়ার বন্দোবস্ত করে দিলেই হবে।’’
advertisement
রাজ্যপাল দোভাষী মারফত নন্দকে জানান, কোয়াটার্সে থাকলে ঠিক মতো খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা তিনিই করে দেবেন। এ বিষয়ে তাঁকে ভাবতে হবে না। রাজ্যপাল জানতে চান, নন্দ কি কোনও কাজ করতে পারবেন? নন্দ রাজভবনের আধিকারিকদের জানান, আগে হাওড়ার একটি কারখানায় সাফাইকর্মী হিসাবে কাজ করতেন তিনি। তাই যদি সাফাইকর্মী হিসাবে তাঁকে কোনও কাজ দেওয়া হয়, তবে সেই কাজ করতে তিনি রাজি। দোভাষী মারফত একথা শুনে রাজ্যপাল নির্দেশ দেন, নন্দকে যাতে আর কোনও দিন রাস্তায় শুয়ে থাকতে না হয়। রাজ্যপালের নির্দেশে কিছুদিনেই রাজভবনের বাগানে সাফাইকর্মী হিসাবে সম্ভবত কাজ করবেন নন্দ।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
C V Ananda Bose: ফুটপাথ থেকে রাজভবন... নবমীর সন্ধ্যায় হঠাৎ রাজ্যপালের সাক্ষাৎ! মুহূর্তে বদলে গেল জীবন
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement