#কলকাতা: প্রভাবশালী হলেই সবকিছু সম্ভব। আর সাধারন মানুষ রাস্তায় সাইকেল কিংবা রিকশো রেখে যদি এক গ্লাস জল পান করতে যান কোথাও, তাহলে তার কপালে বড় দুঃখ । পুলিশের হয়রানি, কপাল জুড়ে থাকে। একদিকে লকডাউন, অন্যদিকে করোনা। দুটো মিলে নাজেহাল মানুষ।
কিন্তু প্রভাবশালীরা তাদের ইচ্ছেমত পুজো, অনুষ্ঠান, সবকিছুই করে যাচ্ছেন। তাতে মানুষের অসুবিধা হলেও, বলার কিছু নেই। কলকাতা কর্পোরেশনের ৭৬ নম্বর ওয়ার্ড। খিদিরপুরে এই ওয়ার্ডের রাম কমল স্ট্রিট। সেখানে কাউন্সিলারের অনুগামীরা গনেশ পূজা করছেন। এই গণেশ পুজো করছেন রাস্তা ঘিরে। সঙ্গে আলোর রোশনাই। তার জন্য বন্ধ করে দিয়েছে রাস্তার সরকারি আলো। চায়না মিনমিন লাইটে রাস্তা ঠিক মত দেখা যায়না। বয়স্ক মানুষ থেকে সাধারণ নাগরিকদের ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে বড় সমস্যা। সেটা শুনবে কে? কাউন্সিলরের অনুগত সিন্ডিকেটের মাথারা পুজোটি করছে। প্রতিবাদ করবে কার ঘাড়ে কটা মাথা আছে?
বিষয়টি নিয়ে ওই ওয়ার্ডের ,প্রাক্তন কাউন্সিলর ষষ্ঠী দাস এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,- 'ছেলেরা তিনটে মত স্ট্রীট লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। আর সব লাইট জ্বলছে '। গণেশ পুজো হচ্ছে।মানুষের সমস্যা হচ্ছে এসে কথা ওনাকে বললে উনি বলেন , 'ব্যাপারটা দেখছি '। গণেশ পূজোয় বেশ জমায়েত থেকে আরম্ভ করে সমস্ত কিছুই হয়েছে । মূল বক্তব্য স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব সেগুলো কি শিকেয়!
রাম কমল স্ট্রিটের গনেশ পূজা সমিতি নামে একটি সংগঠন রয়েছে। সেই সংগঠনের হর্তাকর্তা প্রচ্ছন্নভাবে এই ষষ্ঠী দাস।যেখানে স্বাস্থ্য দফতর থেকে বারবার ধরে বলা হচ্ছে পুজো জমায়েত এগুলো বন্ধ করতে ।সেখানে ষষ্ঠী বাবু কি করে রাস্তা ঘিরে সরকারি আলো নিভিয়ে পুজো করছেন ? সেটা বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তুলছে। স্থানীয় বেশ কিছু মানুষকে জিজ্ঞাসা করলে তারা সরাসরি কেউ মুখ খুলতে চান নি। তবে প্রত্যেকের কথা, রাস্তা অন্ধকার, বর্ষাকাল - চলাফেরা তে খুব সমস্যা হচ্ছে।
SHANKU SANTRA