শুধু ফুসফুস নয়, কিডনিতেও ভয়াল সংক্রমণ ঘটায় করোনা, প্রমাণ দিল ব্রজ রায়ের অটোপসি রিপোর্ট

Last Updated:

করোনার ফলে ফুসফুস সংক্রমিত হয় তা এতদিন মোটামুটি স্পষ্টই ছিল, কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন কিডনির সংত্রমণের এই তথ্য আসলে করোনা সম্পর্কে বোঝাপড়ার একটা নতুন দিক উন্মোচন করছে।

#কলকাতা: মৃত্যুর পর দেশের মধ্যে প্রথম প্যাথলজিক্যাল অটোপসি হয়েছিল গণদর্পণ সংস্থার কর্ণধার তথা দেহদান আন্দোলনের পথিকৃত ব্রজ রায়ের। সেই অটোপসি রিপোর্ট জমা পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। সূত্রের খবর আজ তাঁর পরিবারের কাছেও এই রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, করোনার ফলে তাঁর ফুসফুসে এবং কিডনিতে সংক্রমণ ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। করোনার ফলে ফুসফুস সংক্রমিত হয়  তা এতদিন মোটামুটি স্পষ্টই ছিল, কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন কিডনির সংত্রমণের এই তথ্য আসলে করোনা সম্পর্কে বোঝাপড়ার একটা নতুন দিক উন্মোচন করছে।
গত মে মাসের ৮ তারিখ এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন ব্রজ রায়। কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এরপর করোনা ধরা পড়লে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে ১৩ তারিখ মৃত্যু হয় তাঁর। পরের দিনই  আরজিকর হাসপাতালে বিশেষ ময়না তদন্ত হয় তার শরীরের।আজ রিপোর্টই স্বাস্থ্য ভবনে জমা পড়ে, পাশাপাশি গণদর্পণ সংস্থার কাছে তুলে দেওয়া হয় এই রিপোর্ট।
advertisement
উল্লেখ্য খুন বা আত্মহত্যার ঘটনায় মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত  আকছার হয়। সেখান থেকেই মৃত্যুর কার্যকারণ বেরিয়ে আসে। কিন্তু সাধারণ ময়নাতদন্তের সঙ্গে ব্রজ রায়ের জন্য শরীরে করা এই প্যাথোলজিকাল অটোপসির ফারাক আছে। কোথায় তা আলাদা তা বুঝিয়ে বললেন আর.জি. কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান  চিকিৎসক সোমনাথ দাস। যে তিনজনের দল এই ময়নাতদন্ত করে তার নেতৃত্বে ছিলেন সোমনাথ দাস। তিনি  দিন বলেন, "করোনার মধ্যে এই ময়নাতদন্তের গুরুত্বই আলাদা। কারণ সাধারণ ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রধান কারণটি ধরা পড়ে বটে, কিন্তু প্যাথলজিকাল ময়নাতদন্তে খুঁটিয়ে দেখা যায় মৃত্যুর আগে ঠিক কী কী পরিবর্তন হয়েছিল মৃত ব্যক্তির শরীরে। পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিবর্তনগুলি ধরা পড়ে। আর করোনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে এই পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব অসীম।"  আজকের রিপোর্টই বুঝিয়ে দিচ্ছে এই ময়নাতদন্তের গুরুত্ব।  বলার অপেক্ষা রাখে না, ব্রজ রায় তাইই চেয়েছিলেন, চেয়েছিলেন মৃত্যুর পর দেহ ছাই হয়ে না গিয়ে, মাটির তলায় শায়িত না হয়ে বৃহত্তর কোনও কাজে লাগুক।
advertisement
advertisement
১৯৮০-র দশকের মাঝামাঝি দেহদানের গুরুত্ব বোঝাতে একটি আন্দোলন গড়ে তোলার প্রয়োজনীতা অনুভব করেন ব্রজ রায় ও তাঁর বন্ধুরা। ৫ জন মিলে শুরু করেন গণদর্পণ নামক একটি দল। ১৯৮৬ সালের ৫ নভেম্বর জে বি এস হলডেনের ৯৫ তম জন্মদিবসে ব্রজ রায় সুবর্ণ বণিক সমাজের সভাকক্ষে ৩৪ জন গণদর্পণ-এর সভায় উপস্থিত থেকে মরণোত্তর দেহদানের উদ্যোগের শরিক হন। এক গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক আন্দোলনের শুরুয়াত এভাবেই। ব্রজ রায় বলতেন, যুক্তির পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য জন্যই মরণোত্তর দেহদান আন্দোলন। ভারতে দ্বিতীয় এবং পূর্ব ভারতে প্রথম দেহদান সহায়ক সংগঠন ছিল গণদর্পণ।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
শুধু ফুসফুস নয়, কিডনিতেও ভয়াল সংক্রমণ ঘটায় করোনা, প্রমাণ দিল ব্রজ রায়ের অটোপসি রিপোর্ট
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement