#কলকাতা: উপনির্বাচন চায় না রাজ্য বিজেপি। এমন কথা নেতারা বলছিলেন প্রকাশ্যেই। এমনকী এই মর্মে ২৩ অগাস্ট কেন্দ্রকে বার্তাও দিয়ে দিয়েছিল দল। কিন্তু তৃণমূল এই সাত আসনে ভোট লড়তে মরিয়া হয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থও হয়েছে। শেষমেশ বল কমিশনের কোর্টে এ কথা বুঝেই দলীয় কর্মীদের প্রস্তুতির কথাই বলা হল সাংগঠনিক বৈঠকে। পুরভোটের পাশাপাশি উপনির্বাচনের প্রস্তুতিও নিতে হবে সমানতালে, আজ হেস্টিংসের বৈঠকে এমন মতই দিয়েছেন বিজেপির রাজ্যনেতারা।
উপনির্বাচনের পরিস্থিতি নেই রাজ্যে, আট দফা কারণ তুলে ধরে রাজ্য বিজেপি সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। বিজেপির যুক্তি রাজ্যে এখন পরিস্থিতি চলছে। লোকাল ট্রেন বন্ধ। বাস চলছে কম লোক নিয়ে।. সেপ্টেম্বর- অক্টোবর মাসের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা রয়েছে। অক্টোবর মাস হল পুজো এবং উৎসবের মাস। পশ্চিমবঙ্গ সরকারই এখানে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ লাগু করে রেখেছে, বিজেপিকে যে কোনও কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, দেবশ্রী চৌধুরী সহ শীর্ষ বিজেপি নেতাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছিল মহামারী আইন প্রয়োগ করেই। পাশাপাশি কোভিডকে সামনে রেখেই মনে করাতে চায়, রাজ্যে যে সরকার চলছে তার পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ৭ টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন না হলেও সরকারের কোনও সংকট নেই, সুতরাং উপনির্বাচন এখন অপরিহার্য নয়।
উল্লেখ্য সব দলের থেকেই উপনির্বাচন নিয়ে মত জানতে চেয়েছে কমিশন। সেক্ষেত্রে রাজ্যের দেওয়া এই রিপোর্টই হয়তো কেন্দ্রীয় বিজেপি দেবে কমিশনে। কিন্তু এইসব যুক্তিতে কি কমিশনের চিড়ে ভিজবে? পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিজেপি মুখে যাই বলুক, তৃতীয় ঢেউ ধাক্কা না দিলে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি অন্তত মার্চের থেকে অনেক ভালো। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করবে তা তো জানা কথাই। তাই দলের তরফে ব্যাক আপ প্ল্যান রাখা হচ্ছে।
রাজ্য বিজেপি আরও বলছে, করোনার দোহাই দিয়ে রাজ্য সরকার নিজেই ১২২টি পুরসভার নির্বাচন আটকে রেখেছে। বিজেপি চায়, হলে এই নির্বাচনই আগে হোক। কারণ তাতে অন্তত উত্তরে কিছুটা হলেও ঠাঁই বাড়ানো যেতে পারে। তবে কমিশনের সিদ্ধান্তের উপর দলের হাত নেই, তাই ওয়ার্ম আপের কথাও বলছেন নেতার। দলের নীচুতলার কাছে বার্তা দেওয়া হচ্ছে, উপনির্বাচন হোক বা পুরনির্বাচন, প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই।
রাজনৈতিক মহলের মত, বিজেপি আসলে যেনতেনপ্রকারেণ এই উপনির্বাচন পিছিয়ে দিতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেকায়দায় ফেলতে। মেয়াদ ফুরোলে একদিনের জন্যে হলেও পদত্যাগ করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। এই অভীপ্সাকে বাস্তবায়িত করতেই বিজেপির এই সক্রিয়তা। কিন্তু মনোবাঞ্ছা মানেই তা পূর্ণ হবে তা তো নয়। বুমেরাংও হতে পারে, ইতিহাস সাক্ষী। কাজেই রাজ্য নেতারা বলছেন সাবধানের মার নেই। আড় ভেঙে মাঠে নামার ডাক দিচ্ছেন নেতারাইয
দিন কয়েকের মধ্যেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কমিশনে যাবেন মতামত জানাতে। রাজ্যের চিঠি কমিশনের মন গলালে শাপে বর, অগত্যা রাজ্যে আবার হল্লা চলেছে যুদ্ধ পরিস্থিতি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bengal By Election, BJP