#কলকাতা: বিধায়ককেই (MLA) চিনতে পারলেন না বিধানসভার (Assembly) নিরাপত্তারক্ষীরা! সপ্তদশ বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের দিন বিধানসভায় ঢুকতে গিয়ে বাধা পেলেন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) নির্মল মাজি (Nirmal Majhi)। শুক্রবার বিধানসভায় প্রবেশের ক্ষেত্রে হুইপ (TMC Whip) জারি করা হয়েছিল, যাতে দুপুর পৌনে দুটোর মধ্যে ২০৯ জন বিধায়ককে বিধানসভায় পৌঁছতেই হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফলে অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে একে একে বিধায়করা পৌঁছচ্ছিলেন। তেমনই পৌঁছে যান নির্মল মাজি। কিন্তু তাঁকে চিনতেই পারছিলেন না নিরাপত্তারক্ষীরা। কোনওভাবেই ঢুকতে দিচ্ছিলেন না। এমনকি সেই মুহূর্তে আইডেন্টিটি কার্ড (Identity Card) দেখিয়েও কাজ হয়নি, একটা সময় কার্যত বিরক্ত হয়ে হাল ছেড়ে দেন নির্মল মাজি।
এরপর তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন সাংবাদিকরা। সব সাংবাদিকরাই একজোট হয়ে নির্মল মাজিকে ঢুকতে দেওয়ার আবেদন জানালে শেষমেষ রণে ভঙ্গ দেন বিধানসভার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। ঘটনায় বিধানসভায় হাসিমস্করার পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রথমটায় ক্ষুব্ধ হলেও নির্মল মাজি পরে নিজেই গোটা বিষয়টায় হেসে ফেলেন।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের তরফ থেকে বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিনে হুইপ জারি করা হয়। অর্থাৎ, অধিবেশনে উপস্থিত থাকতেই হবে ২০৯ বিধায়ককে। কিছুদিন আগে প্রাণ গিয়েছে খড়দার বিধায়ক কাজল সিনহার। মৃত্যু হয়েছে গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের। তবে পদমর্যাদা বলে স্পিকার হুইপ-র আওতায় পড়বেন না।
সপ্তদশ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরুর আগের দিন সব বিধায়কদের কাছে নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছিল। কোনওভাবেই রাশ আলগা করতে চাইছে না শাসক দল। এমনকী উপস্থিতি নিয়ে হুইপ জারি করা হয়। এসএমএস পাঠিয়ে সব বিধায়কদের রাজ্যপালের ভাষণে অধিবেশন শুরুর অন্তত ১৫ মিনিট আগে নির্ধারিত আসনে পৌঁছে যাওয়ার কথা বলা হয়। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি বিষয়ে যেন তাঁরা অংশ নেন। এই হুইপ জারিকে একপ্রকার প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
রাজভবন নবান্ন সংঘাতের মধ্যে আজ বিধান সভার প্রথম অধিবেশন সেখানে বক্তব্য রাখবেন রাজ্যপাল। রীতি অনুযায়ী রাজ্যপাল সরকার পক্ষের দেওয়া বক্তব্যই রাখেন। কিন্তু গত কয়েক দিনে জৈন হাওয়ালা কাণ্ডে রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ছবি প্রকাশ করে দেখানো হয়েছে দেবাঞ্জনের নিরাপত্তারক্ষী অরবিন্দ বৈদ্য রাজ্যপালের কাছেও পৌঁছে গিয়েছে। এই আবহে তৃণমূলের আশঙ্কা রাজ্যপাল বক্তব্যে কাটছাঁট করতে পারেন বা সংযোজন করতে পারেন। বেনজির পরিস্থিতি তৈরি হলে যাতে বিধায়কেরা সকলে নিজেদের স্পষ্ট অবস্থান জানাতে পারে সেই কারণেই হুইপ জারি করেছে তৃণমূল।
এ দিকে, বিরোধী পক্ষ ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিধানসভায় গঠনমূলক সহযোগিতার বদলে সংঘাতের রাস্তায় হাঁটবেন তাঁরা। বিধানসভায় এ বার মুকুল রায় বিজেপির কাছে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। খাতায়–কলমে বিজেপির এই বিধায়কের নাম আবার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Assembly, Nirmal majhi