কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিলেই মদন মিত্র ও কুণাল ঘোষকে ছেড়ে দেব, এমনটাই নাকি বলেছিল সিবিআই। শহিদ মিনারের সভা থেকে এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার শহিদ মিনারের সভায় বক্তৃতা করতে গিয়ে সিবিআই ও ইডি প্রসঙ্গ আনেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। বলেন, ''বিজেপি বিরোধিতায় রাজনৈতিক দল ইডি-সিবিআইয়ের জন্য বসে গেলেও তৃণমূল কংগ্রেস বসে যায়নি। এই মাটি লড়াই, সংগ্রামের মাটি। বিশুদ্ধ লোহার মত এই দল। বিজেপির নেতারা যারা সততা নিয়ে কথা বলছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলব, আমাদের কর্মীদের বলব, মাথা উঁচু করে যাবেন মানুষের কাছে। সিপিআইএম, বিজেপির থেকে শুনব না।''
অভিষেকের সংযোজন, ''সিপিএমের মনোরঞ্জন পাত্র আজও সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বামেতে আছে। বিশ্বজিৎ কুন্ডু ৬৩ জনকে চাকরি দিয়ে আজও বহাল আছেন বিজেপিতে। বিলকিস বানু গণধর্ষণ কান্ডের দোষীদের গুজরাতে সম্মান দেওয়া হচ্ছে। এদের থেকে সততার কথা শুনতে আমরা রাজি নই।''
একদিকে অভিষেক যখন সুর চড়াচ্ছেন, তখন ঢিল ছোড়া দূরত্বে ধরনায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ''আমি বসে বসে ভাবছিলাম, আজকের সমাবেশ, ধরনা বিরল ও বিস্ময়কর। কারণ মুখ্যমন্ত্রী ধরনায় বসে আছেন রাস্তায়, প্রতিকূলতা নেই। আমাদের সরকার সংবেদনশীল, মানবিক, দম্ভশীল নয়। বাংলার সঙ্গে ধারাবাহিক ভাবে বঞ্চনা কারণ ২১-এর ভোটে হেরে যাওয়া। অন্য রাজ্যের সঙ্গে হচ্ছে না এই আচরণ।
আরও পড়ুন: '২৪ ঘণ্টায় বহিষ্কার', বিরাট চ্যালেঞ্জ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের! কার উদ্দেশ্যে বার্তা? দলে কাঁপন শুরু
রাহুল গান্ধির নাম না করে এদিন তিনি বলেন, এক সাংসদকে কয়েকদিন আগে সংসদ থেকে ডিসকোয়ালিফাই করেছে। আমরা কোনও সম্প্রদায়কে আঘাত করতে চাই না। রাহুল গান্ধির যদি মোদিকে চোর বলায় শাস্তি হয়, তাহলে দিদি ও দিদি বলা মোদির কথা কি কটূক্তি নয়? দলবদলু মীরজাফর বীরবাহাকে বলেছিল পায়ের তলায় রাখি৷ বীরবাহাকে যারা এই কথা বলে, তাহলে শুভেন্দুর কেন শাস্তি হবে না। রাহুল গান্ধির জাজমেন্টকে হাতিয়ার করে আমরা আদালতে যাব। দেখতে চাই আইন হল নিরপেক্ষ৷''
আরও পড়ুন: জ্বর, বুকে কফ জমেছে? কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন? মালবেরি ফলেই হবে সব সমাধান! চেনেন ফলটি?
অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, দিল্লিতে আন্দোলন সংঘটিত করতে হবে। আপনি শুধু অনুমতি দিন। সিপিএম আমাদের শেখাবে, কীভাবে দল চালাতে হবে? আমরা বলেছি বদলা নয়, বদল চাই। আমরা কারও গায়ে হাত দিইনি। এরা ৮০-র দশকে মারকুটে। ২০০০ হিংসুটে, ২০১০ ব্যাকফুটে, এখন এরা চিরকুটে। ইডি-সিবিআই লাগিয়েছে লাগাক। তাও পারবেন না তৃণমূল কংগ্রেসকে ভাঙতে। ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি আটকে রাখার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথশ্রী চালু করেছে। কালিম্পং থেকে কুলপি অবধি রাস্তা হচ্ছে। যেখানে আমরা প্রত্যাশিত ফল করতে পারিনি, সেখানে উন্নয়নের কাজ করিনি এটা বলতে পারবেন না। কর্ণাটক বলছে লক্ষ্মীর ভান্ডার করব। তামিলনাড়ু শুরু করছে।''
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Abhishek Banerjee, Bengal BJP, Cpim