Narayan Debnath in Pelling: উত্তরের সঙ্গেও ছিল নিবিড় সম্পর্ক 'নন্টে-ফন্টে'-র স্রষ্টার! পাহাড়ে সময় কাটাতে ভালোবাসতেন নারায়ণবাবু।

Last Updated:

বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা, সকলেই যেন অভিভাবকহীন হয়ে পড়ল। নারায়ণবাবুর শিল্প দিয়েই বাঙালি-অবাঙালি সকলেই এখন মনে রাখবেন বিখ্যাত এই শিল্পীকে।

#শিলিগুড়ি: শিল্পী চলে গেলেও তাঁর শিল্প কিন্তু রয়েই যায়। এই কথাটা কতটা বাস্তব, তা প্রমাণ করে দিয়েছে নারায়ণভক্তরা। ছেলেবেলার স্মৃতিকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল নন্টে-ফন্টে, হাঁদা-ভোঁদা, বাঁটুলের মতো চরিত্রগুলি। এই চরিত্রগুলোকে রীতিমত জীবন্ত করে ফুটিয়ে তুলেছিলেন শিল্পী নারায়ণ দেবনাথ (Narayan Debnath in Pelling)।
তবে বাংলা, দেশ বা বিশ্বজুড়ে নারায়ণবাবুর পরিচয় থাকলেও, উত্তরের পাহাড়েও কিন্তু তাঁর বিচরণ ছিল। জানা গিয়েছে এমনই এক তথ্য। তখন ছিল ১৯৯৪ সাল। নভেম্বর মাস। শীত ছুঁতে শুরু করেছে সবাইকে। সিকিমের পেলিংয়ে সিকিম ট্যুরিস্ট সেন্টারের (sikkim tourist centre) এক বিল (bill)-এ ওঁর সাক্ষর। যা ভাগ্যের বিষয়। অনেকেই প্রিয় শিল্পীকে নিজের চোখে দেখেননি (Narayan Debnath in Pelling)। তাঁরা বাঁটুল দি গ্রেট (bantul the great), হাঁদা-ভোঁদার চরিত্র দিয়েই উপভোগ করেছেন শিল্পীর শিল্পকে।
advertisement
উত্তরকেও তিনি ভালোবাসতেন। বেশ কয়েকবার এসেও ছিলেন। প্রায় ২৮ বছর আগে এসেছিলেন সিকিমে। সেখানে থেকেছিলেন বেশ কিছুদিন। পেলিংয়ের অন্যতম প্রথম ট্যুরিস্ট (first ever tourist in pelling) বলা যেতে পারে তাঁকে। সেখানে তিনি ছিলেন দিন চারেক। যে সময় তিনি এসেছিলেন, সেই সময়ে অনেকেই পেলিংয়ের নাম জানতেন না। ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে ধীরে ধীরে নামটা সবাইকে জানাতে চাইছিল পেলিং। একজন আগাগোড়াই ভ্রমণপিপাসু না হলে পেলিংয়ের মতো জায়গার খোঁজ পেতে পারেন না (Narayan Debnath in Pelling)। তিনি অনেক প্রশ্ন করেন সেখানকার দায়িত্বে থাকা মানুষকে।
advertisement
advertisement
অ্যাসোসিয়েশন ফর কনসার্ভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের (Association for Conservation and Tourism- ACT) আহ্বায়ক রাজ বসু নিউজ ১৮ লোকালকে বলেন, "আমরা সাধারণত শুকতারা পড়েই বড় হয়েছি। ওঁর কমিকস (comics) আমাদের ভালো লাগত। উনি যখন এলেন, তখন আমরা বললাম, আপনি এলেন। একটু ফিডব্যাক (feedback) দিয়ে যান। তিনি অনেকক্ষণ আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। তারপর বললেন, দাও কলমটা। এরপর তিনি সেই ফর্মে সই করলেন। এই ফর্ম (form) সযত্নে রেখেছি। তিনি বলতেন, বিভিন্ন এলাকার বিভিন্নরকমের শিশুদের দেখতাম। সেখান থেকেই আইডিয়া (idea) আসত।"
advertisement
রাজবাবু বলেন, "তখন প্রথম পথচলা আমাদের সংস্থা হেল্প ট্যুরিজমের (help tourism)। ঠিক প্রথমদিকে এসেই নারায়ণবাবু ফিডব্যাক (feedback) দিয়ে অনেকটা সাহায্য করেছিলেন। নারায়ণবাবু সেই ফিডব্যাক ফর্মে (feedback form) সমস্ত চরিত্রের হাসিমুখ এঁকে দিয়েছিলেন। এর মানে আমরা পজিটিভ (positive) ধরেছিলাম। তখন আমাদের পরিষেবা যে বিশাল উন্নত, বা অনেকটা এগিয়ে আমরা, তা কিন্তু নয়। তখন সবেমাত্র শুরু। ভীষণ সাধারণ বাঙালি ছিলেন তিনি (Narayan Debnath in Pelling)। জনপ্রিয় মানুষ বলে বেশি বেশি করে চাহিদা, এমন কিন্তু কিছুই ছিল না তাঁর মধ্যে। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখছেন, চারিদিকে মোনাস্ট্রি (monastery) ঘুরে ঘুরে দেখছেন। খুব খুশিই ছিলেন তিনি এখানে এসে।"
advertisement
তবে, তাঁর ভক্তরা মোটেই খুশি নন। বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা, সকলেই যেন অভিভাবকহীন হয়ে পড়ল। নারায়ণবাবুর শিল্প দিয়েই বাঙালি-অবাঙালি সকলেই এখন মনে রাখবেন বিখ্যাত এই শিল্পীকে।
Vaskar Chakraborty
view comments
বাংলা খবর/ খবর/জলপাইগুড়ি/
Narayan Debnath in Pelling: উত্তরের সঙ্গেও ছিল নিবিড় সম্পর্ক 'নন্টে-ফন্টে'-র স্রষ্টার! পাহাড়ে সময় কাটাতে ভালোবাসতেন নারায়ণবাবু।
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement