কমিশন প্রথার জন্যই কি কমছে না বাসের রেষারেষি ?
Last Updated:
কিছুতেই হুঁশ ফিরছে না। কাজ হচ্ছে না কোনও দাওয়াইতেই। গতকালই একই রুটের ২টি বাসের রেষারেষির বলি হয়েছেন দুই স্কুটার আরোহী। আজও কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় যাত্রী তুলতে রেষারেষি। কখনও একচিলতে জায়গায় বাস ঢুকিয়ে দিলেন চালক।
#কলকাতা: কিছুতেই হুঁশ ফিরছে না। কাজ হচ্ছে না কোনও দাওয়াইতেই। গত সোমবারও একই রুটের ২টি বাসের রেষারেষির বলি হয়েছেন দুই স্কুটার আরোহী। মঙ্গলবারও কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় যাত্রী তুলতে গিয়ে ধরা পড়ল রেষারেষির চিত্র। কখনও একচিলতে জায়গায় বাস ঢুকিয়ে দিলেন চালক। কখনও স্ট্যান্ডের আগেই যাত্রী তুলতে বাস থামালেন চালক। ভাড়া বাড়ার পরও কেন এই ছবি? প্রশ্ন ক্ষুব্ধ যাত্রীদের।
ভাড়া বাড়লেও যাত্রী নিরাপত্তার বালাই নেই। এভাবেই কী প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করতে হবে যাত্রীদের? পুরনো প্রসঙ্গে উঠতেই ফের আঙুল উঠছে কমিশন প্রথার দিকে।
advertisement
দিনে বাসে ৫ হাজার টাকা আয় হলে তা তিনভাগ হয় ৷ ড্রাইভার ৬০০ টাকা ও দুই কন্ডাক্টর ৩০০ টাকা করে পান ৷ বাকি ৩৮০০ টাকা মালিকের ৷ ডিজেল, মেরামতি সহ বাকি খরচ মালিকের ৷ যত বেশি যাত্রী, সেই অনুপাতে আয় বাড়ে তিনজনেরই ৷ বেশি যাত্রী তোলার চাপ যে আছেই, মানছেন চালকরাও।
advertisement
কলকাতা ও জেলায় অধিকাংশ বাসই চলে রিসোল টায়ারে। অর্থাৎ পুরনো টায়ার জোড়াতালি দিয়ে চালানো। যে কোনও সময়ে তাই দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়েই গাড়ি চালান চালক।
কমিশন প্রথার বদলে অন্য বিকল্প খুঁজতে ১৯৯০ সালে কমিটি তৈরি করেছিল তৎকালীন বাম সরকার। সিটু নেতা কালি ঘোষের নেতৃত্বে সেই কমিটির রিপোর্ট জমাই পড়েনি। সেখানেই ধাপাচাপা পড়ে গোটা বিষয়।
view commentsLocation :
First Published :
June 27, 2018 8:37 AM IST