#মুম্বই: লন টেনিস, টেবিল টেনিস, স্কোয়াশের মত ব্যক্তিনির্ভর খেলা নয়। ক্রিকেট দলগত খেলা। টিম গেমের ওপর জেতা, হারা নির্ভর করে। কথায় বলে একটা দল তখনই সেরা যখন এক বা দুজনের ওপর নির্ভর না করে টিম গেম খেলে ম্যাচ বের করে। ফুটবলের মত ক্রিকেটেও যে টিম গেমকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত নৈপুণ্য এমন একটা জিনিস যা প্রচলিত ধারণা ভুল প্রমাণ করতে পারে। এমন কিছু ক্রিকেটার রয়েছে যাঁরা নিজেদের দিনে ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারে। কোনও কিছুতেই যাঁদের থামানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এঁরা 'এক্স ফ্যাক্টর' হিসেবে পরিচিত। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আইপিএলে কোন ক্রিকেটাররা এই তকমা পেতে পারেন।
আন্দ্রে রাসেল
গতবার একেবারেই ভাল খেলতে পারেনি। দশটি ইনিংস মিলিয়ে মোটে ১১৭ রান করেছিলেন। নাইট রাইডার্স এবারও দোলে রেখে দিয়েছে এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান তারকাকে। দু বছর আগের বিধ্বংসী মেজাজ দেখাতে পারবেন কিনা সময় বলবে। তবে বল হাতেও চার ওভার উতরে দিতে পারেন ড্রে রাস। উইকেট তুলে নিতে দক্ষ। যদি ব্যাট হাতে ফর্মে থাকেন দলের অর্ধেক চিন্তা কমে যাবে।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল
কিংস ইলেভেন পঞ্জাব দলের হয়ে গত বছর ব্যাট হাতে ছিলেন সুপার ফ্লপ। কেউ কেউ মজা করে তাঁকে চিয়ার লিডারদের সঙ্গে তুলনা করেন। প্রীতি জিন্টার দল রিলিজ করে দেয়। কিন্তু ম্যাক্সওয়েলকে দলে পেতে এবারও নিলামে ঝড় ওঠে। শেষপর্যন্ত ১৪.২৫ কোটিতে তাঁকে ছিনিয়ে নেয় আরসিবি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সম্প্রতি টি টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাট করেন। অফ স্পিনার হিসেবেও কাজ চালিয়ে দিতে পারেন। যেদিন তাঁর ব্যাট চলবে সেদিন বোলারদের দুঃস্বপ্ন দেখা ছাড়া কিছু করার থাকে না।
হার্দিক পান্ডিয়া
বড় শট খেলতে পারেন প্রমাণ দিয়েছিলেন প্রথম থেকে। কিন্তু মাথা গরম করে বড় শট খেলতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসতেন ক্রমাগত। গত দু'বছর হল অনেক ধীরস্থির হয়েছেন হার্দিক। ব্যাট হাতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং দেশের হয়ে অনেক বেশি দায়িত্বশীল তিনি। পরিস্থিতি বুঝে খেলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন। শুধু ভারতের নয়, এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা পাওয়ার হিটার তিনি। গতবার অস্ত্রপচার হয়েছিল বলে বল করতে পারেননি। এবার অবশ্য বল হাতেও দেখা যাবে পান্ডিয়ার কামাল।
ঋষভ পন্থ
এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। গতবার আইপিএলটা খুব একটা সুখকর ছিল না তাঁর কাছে। ফাইনালে রান পেলেও ধারাবাহিকতার অভাব ছিল গোটা টুর্ণামেন্টে। ফলে একদিনের এবং টি টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল। কিন্তু বাকিটা ইতিহাস। অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ জয়ের পেছনে তাঁর অবদান ভোলার নয়। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত মেজাজে রয়েছেন। যেভাবে তিনি ব্যাট হাতে বোলারদের শাসন করছেন আইপিএলে ভাল কিছুর আশা করতেই পারেন দিল্লির সর্মথকরা।
রশিদ খান
ক্রিকেট ব্যাটসম্যানদের খেলা। বোলাররা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। টি টোয়েন্টি হলে তো কথাই নেই! বোলারদের বদ্ধভূমি, ব্যাটসম্যানদের স্বর্গরাজ্য। কিন্তু রশিদ খান বল হাতে এলেই মারকাটারি ব্যাটসম্যানদের একটু দেখে খেলতে হয়। আফগান লেগ স্পিনার এতটাই ধারাবাহিক যে তাঁর চার ওভারে বড় শট খেলার খুব বেশি ঝুঁকি নিতে দেখা যায় না ব্যাটসম্যানদের। গুগলি, দুসরা, ফ্লিপার, রং ওয়ান, স্পিন বোলিংয়ের ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। ব্যাট হাতেও রান তোলার ক্ষমতা রাখেন।