#মুম্বই: করোনা ভাইরাস আবহে শব্দকোষে একাধিক শব্দ যোগ হয়েছে৷ করোনার দৌলতে খেলার দুনিয়ায় নতুন শব্দ এসেছে৷ ক্রিকেট-ফুটবল অভিধানে -র এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শব্দ বায়ো বাবল ( Bio Bubble) ৷
বোর্ড সূত্রে খবর এবারের আইপিএল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আয়োজন করা হলেও ২০২১ এ ভারতেই আইপিএল করার পক্ষপাতী ভারতীয় বোর্ড ৷ সেক্ষেত্রে মরুরাষ্ট্রে যেভাবে বায়ো বাবল পরিবেশ তৈরি করে তা কঠিনভাবে পালন করা হয়েছে ভারতেও সেই একই আবহ তৈরি করতে হবে৷
কী এই বায়ো বাবল সেটা সহজ করে বোঝানো যাক ৷ ক্রিকেটাররা যে ভ্যেনুতে খেলবেন সেই স্টেডিয়ামের ভিতরে এক বার ঢুকে গেলে আর বাইরে যাওয়া চলবে না। স্টেডিয়ামের ভিতরেই হোটেল। সেখানেই খাকবেন ক্রিকেটারেরা, ধারাভাষ্যকারের দল, কর্মরত প্রত্যেকে। বাইরে থেকেও কেউ আসতে পারবেন না ভিতরে। আবার এঁরা কেউ নিজের ইচ্ছামতো বেরোতেও পারবেন না৷
হোটেল জুড়ে বিভিন্ন চিহ্ন দিয়ে বোঝানো থাকে ক্রিকেটারেরা কোথায় কোথায় যেতে পারবেন, কোথায় যেতে পারবেন না। দু’দলের জন্য আলাদা ডাইনিং রুমের ব্যবস্থা করা হয়। ডিনার টেবল প্রত্যেকের আলাদা।
ব্রেকফাস্টের আগে প্রত্যেকের টেবলে দেওয়া হচ্ছে একটি করে ‘হেল্থ চার্ট’। সেখানে বিভিন্ন শারীরিক দুর্বলতার উল্লেখ করা আছে। ক্রিকেটারেরা যদি মনে করেন, তাঁর জ্বর-জ্বর লাগছে অথবা মাথা যন্ত্রণা করছে, সে ক্ষেত্রে সেই ‘হেল্থ চার্টে’ দাগ দিতে হবে। পাশেই থার্মাল চেক-আপ মেশিন। প্রত্যেককে নিজেদের তাপমাত্রা মেপে লিখে দিতে হবে।
ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার অথবা সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডে লাগানো রয়েছে ‘মাইক্রো চিপ’। তাতে জিপিএস বসানো থাকছে। ট্রেনিং ও ম্যাচ চলাকালীন অথবা রুমের মধ্যে থাকাকালীন সেই কার্ড খুলে রাখা যাবে। রুমের বাইরে পা দিলেই গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে কার্ড।
ধরুন কোনও ক্রিকেটারের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এল। সে ক্ষেত্রে জিপিএস ট্র্যাক করে দেখা যাবে, সেই ক্রিকেটারের সংস্পর্শে কারা এসেছিল। সেই অনুযায়ী তাদেরও পরীক্ষা করা হবে।
হোটেলের লিফট ব্যবহার করলে কনুই দিয়ে বোতাম টিপতে হবে। আঙুল ব্যবহার করলে সেন্সরই কাজ না করার ব্যবস্থা রাখা হয়। এমনকি লিফটের ভিতরে দু’জনে যদি একে অন্যের মুখোমুখি দাঁড়ায়, সে ক্ষেত্রেও অ্যালার্ম বেজে ওঠার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
রুমে চাবি ও হ্যান্ডেল কোনও কিছুই থাকছে না৷ হোটেলের নিজস্ব অ্যাপ থাকতে পারে। তার মাধ্যমেই দরজা খোলা ও বন্ধ করা যায়। ‘মাস্ক’ না পরে রুমের বাইরে পর্যন্ত যাওয়া নিষেধ।
পুরো দল টিম মিটিংয়ের সমস্যা কিভাবে কাটবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে ৷কারণ তিন জন বা চারজনের বেশি টিম বৈঠকে থাকতে পারবেন না৷ এদিকে বিরাট কোহলি থেকে রবিচন্দ্র অশ্বিন সকলেই জানিয়েছেন এই বায়ো বাবলে বাস করাটা খুবই ক্লান্তিকর৷ আইপিএল চলকালীন প্রায় তিনমাস এক বায়োবাবলে থাকতে হয়েছে৷ এরপর অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্যেও একইভাবে দীর্ঘ সময়ের বায়ো বাবলে থাকতে হবে , যা মানসিকভাবে খুবই ক্ষতি করছে ক্রিকেটারদের৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: IPL 2020, IPL 2021, Virat Kohli