#ওয়াশিংটন: তাঁর উস্কানিমূলক মন্তব্যের পরেই বুধবার ওয়াশিংটন ক্যাপিটলে হামলা চালিয়েছেন ট্রাম্প ভক্তরা। ধুন্ধুমারে স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব। এমত অবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল ট্যুইটার। পাকাপাকিভাবে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ব্লক করল ট্যুইটার। শুক্রবার ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। সোশাল মিডিয়া সংস্থাটি জানিয়েছে যে, ট্রাম্প সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রে ফের হিংসার পন্থা নিতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে সেই কারণে তাঁর অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। একটি ব্লগ পোস্টে ট্যুইটারের পক্ষ থেকে বলা হয়, হিংসা প্ররোচিত করার ঝুঁকির কারণে আমরা অ্যাকাউন্টটিকে স্থায়ীভাবে সাসপেন্ড করেছি।
ট্রাম্পের একাধিক ট্যুইট থেকেই তা স্পষ্ট। আর এই কারণেই এর আগেও ১২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল যে ভবিষ্যতে কোনও উস্কানিমূলক ট্যুইট করলে পাকাপাকিভাবে তাঁর অ্যাকাউন্ট ব্লক কড়া হবে। আর সেটাই হল শুক্রবার। ১২ ঘণ্টা বন্ধের পর বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট খুলে দেয় ট্যুইটার।
Twitter permanently suspends outgoing US President Donald Trump's account "due to the risk of further incitement of violence". pic.twitter.com/zEC7STxQjs
— ANI (@ANI) January 8, 2021
ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে সাসপেন্ড করার সঙ্গে সঙ্গে টিম ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ডও সাসপেন্ড করেছে ট্যইটার। এছাড়াও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সরকারি 'POTUS' অ্যাকাউন্টের ট্যুইটগুলিকে মুছে দেয় ট্যুইটার। গত কয়েকদিনে ট্রাম্পের ট্যুইট হিংসায় ইন্ধন দিয়েছে বলেই দাবি ট্যুইটারের। নজিরবিহীন সংঘর্ষ হচ্ছে ওয়াশিংটন ডিসিতে।
After the suspension of US President Donald Trump's personal Twitter account and the tweets from his official account 'POTUS' were taken down. Team Trump tweets, "...We will not be SILENCED! Twitter is not about FREE SPEECH...." pic.twitter.com/HrzHaUzf9o
— ANI (@ANI) January 9, 2021
প্রসঙ্গত, বুধবার মার্কিন প্রশাসনে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে জো বাইডেনের নাম চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প সমর্থকদের ভয়াবহ হিংসা, রক্তক্ষয়ী আক্রমণের ছবি দেখেছে গোটা বিশ্ব। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে এমন হিংসার পরিস্থিতি এর আগে কখনও দেখা যায়নি। ট্রাম্পের উস্কানিমূলক মন্তব্যের পরেই ওয়াশিংটন ক্যাপিটলে ট্রাম্প ভক্তরা ওই হামলা চালিয়েছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত সকলে।
এ বারের মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের ভাগ্যে জুটছে ২৩২টি ভোট আর বাইডেন পেয়েছেন ৩০৬টি ভোট। অথচ যে দিন থেকে ভোটগণনা এবং নির্বাচনী ফলাফল সামনে এসেছে ট্রাম্প কারচুপির অভিযোগ তুলে এসেছেন। একাধিক মামলা করে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট খুব একটা কিছু করে উঠতে পারেননি। এর পরেই বুধবারের একটি জনসভায় ট্রাম্প জিগির তোলেন, আমরা পিছু হটব না। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলি বলছে, এরপরেই রাস্তায় নেমে পড়েন ট্রাম্প সমর্থকরা। পরে অবশ্য তাদের শান্ত হওয়ার কথা বলেছিলেন ট্রাম্প ট্যুইটারে। ছোট ভিডিও শেয়ার করে তিনি লেখেন, গো হোম। ভক্তরা তাঁর কথা শোনেনি। কিছুতেই আটকানো যায়নি তাদের। ক্যাপিটাল বিল্ডিং আক্রমণের পর পরিস্থিতি সামাল লেগে গিয়েছে ৪ ঘণ্টা। এই মুহূর্তে সেনেটাররা দাবি তুলছেন ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের। ওয়াশিংটনে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে।
বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল সুনিশ্চিত করা নিয়ে বৈঠক চলছিল ওয়াশিংটন ক্যাপিটালে। সে সময়ই বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের সমর্থনে স্লোগান দিতে দিতে ঢুকে পড়ে বিল্ডিংয়ের মধ্যে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে, নিরাপত্তারক্ষীদের ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে ভিতরে ঢুকে আসে তারা। বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে এক মহিলা-সহ চার বিক্ষোভকারী মারা গিয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Twitter, US Capitol