#সুইজারল্যান্ড: সারা বিশ্ব জুড়ে নিরলস প্রাণপাত করে চিকিৎসক তথা গবেষকরা কাজ করে চলেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোভিড ১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দেওয়ার মতো কোনও ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলা সম্ভব হয়নি। কিছু ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে বটে, কিন্তু সেগুলো প্রয়োগ করার পরে স্বেচ্ছাসেবকদের নানা শারীরিক অসুবিধার সম্মুখীন হওয়ার কথা উঠে আসছে খবরের শিরোনামে। এ হেন পরিস্থিতিতে কোভিড ১৯ ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ঢাল হল প্রাথমিক ব্যবহারিক স্বাস্থ্যবিদ। আর অস্ত্র হল ফেস মাস্ক, সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার আর শারীরিক দূরত্ববিধি।
এত দিন চিকিৎসক এবং অন্য স্বাস্থ্যবিদরা পরামর্শ দিয়ে এসেছেন যে মানুষের পরস্পরের মধ্যে অন্তত ৮ ফুট শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা উচিৎ। কেন না, সাম্প্রতিক গবেষণা দাবি তুলেছে যে ভাইরাস যার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, মানবশরীর থেকে হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে নির্গত হওয়া সেই ড্রপলেট হেসে-খেলে ৭ ফুট পর্যন্ত দূরত্ব বাতাসে ভেসে থাকা অবস্থায় অতিক্রম করতে পারে। কিন্তু সুইজারল্যান্ডের অ্যানিকুরা নামের এক পশুচিকিৎসাকেন্দ্রের ডাক্তার জোহানেস কাফম্যানের তরফে ভেসে এসেছে সতর্কবার্তা- পোষ্যদের ক্ষেত্রেও এই শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রেখে চলতে হবে। অর্থাৎ আপনার ঘরে যদি কুকুর, বিড়াল বা খরগোশজাতীয় কোনও প্রাণী থাকে, তা হলে অন্যের বাড়ির পোষ্যের থেকে তাকে রাখতে হবে তফাতে।
কাফম্যান এই দাবি তুলেছেন চিন এবং জাপানের পথে কোভিড ১৯ সংক্রামিত বিড়ালের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে। আমেরিকান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনও কাফম্যানের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছে। সুইজারল্যান্ডের এই পশুচিকিৎসক পরামর্শ দিচ্ছেন যে আপনি যদি আপনার কুকুরকে বাইরে হাঁটাতে নিয়ে যান, তা হলে অন্য বাড়ির কুকুর বা পথের কুকুরের চেয়ে তাকে ২ ফুট দূরত্বে রাখতেই হবে। না হলে কোভিড ১৯ সংক্রমণের ভয় আছে! অন্য দিকে বিড়াল এবং খরগোশজাতীয় প্রাণীকে বাড়ির বাইরে বের না করার-ই পরামর্শ দিচ্ছেন কাফম্যান।
এটা ঠিক যে মানুষ পশুর থেকে সংক্রামিত হয়েছে কোভিড ১৯-এ, এমন কোনও ঘটনা এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। কিন্তু পোষ্য তো পরিবারেরই একজন, সে যদি সংক্রামিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে, সেটা কি ভালো লাগার কথা?
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Pets