Amazon Forest: সে কী! যত না শুষে নিচ্ছে, তার চেয়ে ঢের বেশি কার্বন বাতাসে ছড়াচ্ছে আমাজন!

Last Updated:

বিগত দুই দশক ধরে আমাজন অরণ্য যতটা না কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করেছে, নিঃসরণ করেছে তার চেয়ে অন্তত ২০ শতাংশ বেশি!

চিন্ত বাড়াচ্ছে আমাজন
চিন্ত বাড়াচ্ছে আমাজন
#প্যারিস: ছোটবেলায় অনেকেই বাড়ির বড়দের কাছ থেকে শুনেছেন যে রাতের বেলায় গাছের কাছে যেতে নেই। এর নেপথ্যে একটা কারণ যদি থাকে নিশাচর কীটপতঙ্গের উপদ্রব, অন্যটি তাহলে হল কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ। আমাদের যেমন প্রাণ আছে, গাছও তেমনই সজীব। আমরা যেমন অক্সিজেন গ্রহণ করি এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে থাকি, গাছও ঠিক তাই করে। পরিমাণে অল্প হলেও গাছ যে কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে, সেটা পরীক্ষিত সত্য। পাশাপাশি, শোষণও করে নেয় সালোকসংশ্লেষের জন্য। এই সব তথ্য মাথায় রেখে যখনই পরিবেশবিদরা ব্রাজিলের আমাজন অরণ্যের দিকে দৃষ্টিপাত করেছেন, তাঁদের মনে কাজ করেছে এক আশা। গাছ যেহেতু নিঃসরণের তুলনায় কার্বন ডাই অক্সাইড পরিমাণে বেশি শোষণ করে নেয়, তাই তাঁরা ছিলেন আশাবাদী। তাঁদের ধারণা ছিল এই যে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রান্তীয় অরণ্য পরিবেশে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা তাঁদের সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছে। দেখা গিয়েছে যে বিগত দুই দশক ধরে আমাজন অরণ্য যতটা না কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করেছে, নিঃসরণ করেছে তার চেয়ে অন্তত ২০ শতাংশ বেশি!
ওকলাহামা ইউনিভার্সিটির স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত এই তথ্য চমকে দিয়েছে একদল ফরাসি বিজ্ঞানীকে। গবেষক দলের মুখপাত্র, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর আর্গোনমিক রিসার্চের অধ্যাপক জঁ পিয়ের উইনেরন এই প্রসঙ্গে একটা পরিসংখ্যান পেশ করেছেন, যা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালে। তিনি বলছেন যে বিগত দুই দশকে, বিশেষ ভাবে বললে ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে আমাজন অরণ্য কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করেছে ১৬.৬ বিলিয়ন টন। সেই তুলনায় কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে উঠতে পেরেছে এই অরণ্য মাত্র ১৩.৯ বিলিয়ন টন। বিশ্বের বৃহত্তম ক্রান্তীয় অরণ্যের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা কমানোর কোনও সুষ্ঠু প্রাকৃতিক উপায় যে নেই, সেটা উপলব্ধি করেই চরম আতঙ্ক বোধ করছেন ফরাসি এই পরিবেশবিদরা। তাঁরা স্পষ্ট বলছেন যে প্রকৃতির খারাপ দিন ঘনিয়ে এসেছে!
advertisement
এই জায়গায় এসে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন ওঠে যে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রান্তীয় অরণ্য এরকম দুর্দশার মুখে পড়ল কী ভাবে? এই দিক থেকে সবার প্রথমে সরকারকে দোষ দিয়েছেন পরিবেশবিদরা, জানিয়েছেন যে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি জেয়ার বলসোনারো (Jair Bolsonaro) ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার পর থেকে আমাজন অরণ্যের দশা আরও বেশি বেহাল হয়ে উঠেছে। আগুন লাগিয়ে দিয়ে, কেটে ফেলে নির্বিচারে অরণ্য সম্পদের ধ্বংসসাধন চলছে। এর মধ্যেই যে পরিমাণ বনভূমি সাফ হয়ে গিয়েছে, তা প্রায় নেদারল্যান্ডের সমান, বলছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, আমাজন অরণ্যকে রক্ষা করা যাচ্ছে না বলেই প্রতিদানে সেও আমাদের রক্ষার স্বার্থে ব্যর্থ হয়ে পড়ছে।
advertisement
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
Amazon Forest: সে কী! যত না শুষে নিচ্ছে, তার চেয়ে ঢের বেশি কার্বন বাতাসে ছড়াচ্ছে আমাজন!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement