Mega Space Migration Programme: ট্রেনে চেপেই যেতে পারবেন চাঁদ, মঙ্গল গ্রহে, মেগা স্পেস মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ঘোষণা করল জাপান
Last Updated:
কাচের তৈরি বাসযোগ্য ওই পরিকাঠামোটি দেখতে হুবহু আমাদের পৃথিবীর মতোই হবে। এ-ছাড়াও সেখানে পৃথিবীর মতোই মাধ্যাকর্ষণ, ভূ-খণ্ড এবং বায়ুমণ্ডল বানানো হবে।
পৃথিবী ছাড়িয়ে অন্য গ্রহে কিংবা চাঁদে মানুষের বসতি গড়ে তুলতে বোধহয় আর বেশি দেরি নেই। কারণ গত সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত একটি সাংবাদিক বৈঠকে জাপানের (Japan) বৈজ্ঞানিক দল স্পেস স্টেশনে ‘গ্লাস’ হ্যাবিটেট পরিকাঠামো বানানোর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বিজ্ঞানীদের ওই দলটির তরফে জানানো হয়েছে যে, কাচের তৈরি বাসযোগ্য ওই পরিকাঠামোটি দেখতে হুবহু আমাদের পৃথিবীর মতোই হবে। এ-ছাড়াও সেখানে পৃথিবীর মতোই মাধ্যাকর্ষণ, ভূ-খণ্ড এবং বায়ুমণ্ডল বানানো হবে। আসলে পৃথিবীর বাইরে বেরিয়ে মাধ্যাকর্ষণ শূন্য স্থানে কিংবা কম মাধ্যাকর্ষণযুক্ত স্থানে মানুষের দেহের মাস্কুলোস্কেলিটাল সিস্টেম দুর্বল না-হয়ে যায়, তার জন্যই কাচের ওই পরিকাঠামো বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আসলে পৃথিবীর জলবায়ু বা শারীরিক ও বায়বীয় পরিকাঠামোতে মানুষের শরীর যে ভাবে বহু বছরের বিবর্তনের মাধ্যমে মানিয়ে নিয়েছে, খোলা মহাকাশে সেই পরিকাঠামো নানান ভাবে বিগড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে এই কাচের তৈরি এই বাসযোগ্য স্থান মানুষকে পৃথিবীর মতোই শারীরিক ও বায়বীয় পরিকাঠামো দেবে।
বিশেষ করে মহাকাশে শিশুদের বড় করে তোলা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। শুধু তা-ই নয়, মহাকাশে সফল ভাবে একটা শিশুর জন্ম হওয়া সম্ভব কি না, সেই বিষয়েও গবেষণা করা হয়নি এখনও। এমনকী যদি কোনও শিশু মহাকাশে জন্ম নিয়েও থাকে, তাহলে পৃথিবীতে ফিরে আসার পর নিজে নিজে সে দাঁড়াতে পারবে কি না, সেটা বলা মুশকিল। ওই গবেষক দলের ভবিষ্যদ্বাণী, পৃথিবীর মানব সমাজ একুশ শতকের শেষের দিক থেকেই চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহে স্থানান্তর শুরু করবে।
advertisement
advertisement
জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয় এবং কাজিমা কনস্ট্রাকশনের আগামী লক্ষ্য হবে মহাকাশে কৃত্রিম মাধ্যাকর্ষণ-সহ একদম হুবহু পৃথিবীর একটি প্রতিরূপ গড়ে তোলা। এ-দিনের সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা তাঁদের আগামী প্রজেক্টের একটি ডেমোও দেখিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন যে, মোটামুটি ১,৩০০ ফুট লম্বা এবং ৩২৮ ফুট ব্যাসার্ধের একটি মাধ্যাকর্ষণ বলয় তৈরি করবেন তাঁরা।
সে ক্ষেত্রে চাঁদে থাকা বাসস্থানকে 'লুনাগ্লাস' এবং মঙ্গলের বাসস্থানকে 'মার্সগ্লাস' বলা হবে।আগামী পাঁচ দশকে সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি নতুন শাখাও প্রতিস্থাপন করা হবে, যাতে মহাকাশের বিবর্তনগত পরিবেশে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। পৃথিবীর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য রকেট বুস্টার শট দ্বারা পরিচালিত ট্রেইলিং কারের ব্যবস্থাও থাকছে। প্রতিটি গ্রহের মহাকর্ষীয় টান থেকে বাঁচার উপায়ও থাকবে।
advertisement
এক গ্রহ থেকে আর এক গ্রহে ‘স্পেস এক্সপ্রেস’:
অনেকটা কল্পবিজ্ঞানের মতোই পরিকল্পনা নিয়েছে এই দলটি। তারা এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে যাতায়াতের ব্যবস্থার কল্পনাও ছকে রেখেছে। যার নাম হবে হেক্সাট্র্যাক (Hexatrack)। আবার মাঝখানে থাকবে হেক্সাক্যাপসুলও। এগুলো হচ্ছে ষড়ভুজের আকৃতির চলমান বা গতিশীল ডিভাইস। এছাড়া ছোট ছোট মিনি ক্যাপসুল থাকবে, যার ব্যাসার্ধ ১৫ মিটার হবে। এটি পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে যাতায়াত করবে। আর বড় ক্যাপসুল, যেগুলির ব্যাসার্ধ ৩০ মিটার, সেগুলি পৃথিবী ও মঙ্গল এবং চাঁদ ও মঙ্গলের মধ্যে যাতায়াত করবে। এই বড় ক্যাপসুলে থাকবে এমন স্ট্রাকচার, যাতে এর বাইরের ফ্রেমটা ভাসমান হবে। আর এর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক প্রযুক্তি। যা চিন এবং জার্মানির মাগলেভ ট্রেনের (Maglev trains) ক্ষেত্রে দেখা যায়। পৃথিবীতে এই ট্র্যাকের স্টেশনের নাম হচ্ছে টেরা স্টেশন। আর সাধারণ গেজ লাইনে ছয় কোচ বিশিষ্ট ট্রেনটির নাম হবে স্পেস এক্সপ্রেস।
advertisement
কিয়োটো ইউনিভার্সিটির এসআইসি ম্যানড কসমোলজি রিসার্চ সেন্টার এবং গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ অ্যাডভান্সড ইন্টিগ্রেটেড স্টাডিজের ডিরেক্টর ইয়োসুকে ইয়ামাশিকি (Yosuke Yamashiki) বলেছেন, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সক্রিয় ভাবে মঙ্গল গ্রহে মাইগ্রেশন করার উপায় বার করার চেষ্টা করে চলেছে, সেখানে তিনি চেয়েছিলেন, জাপান সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করুক।
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
July 15, 2022 6:07 PM IST