#ওসলো: কলকাতার ঠান্ডাতেই মানুষ কাবু। আর তার মধ্যে যদি বরফ পড়ে, তাহলে তো কোনও কথা হবে না। আচ্ছা ভাবুন, যদি আপনাকে বলা হয় বরফের মধ্যে খালি পায়ে হাঁটতে! কেমন হবে ব্যাপারটা? রোমাঞ্চকর নাকি ভয়ানক? ঠিক এমনই একটি কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন নরওয়ের একজন রানার, নাম জোনাস ফেলডে শেভালদ্রুড।
তিনি কেবল বরফের উপর দিয়ে হেঁটে যাননি, তিনি পাক্কা ১ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড খালি পায়ে বরফের উপর দিয়ে দৌড়ে গিয়েছেন। আর তাতেই মুগ্ধ হয়েছে নেটদুনিয়া। যেখানে বরফের উপর দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে চলা দায়, সেখানে তাঁর এই অতিরিক্ত প্রচেষ্টার সুনাম অর্জন করেছে নেটদুনিয়ায়। তিনি বিশ্ব জুড়ে সকল রানারদের মধ্যে অসাধারণ ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করেছেন, যা ভবিষ্যতে রানারদের নজির গড়তে উদ্বুদ্ধ করবে।
শেভালদ্রুডের এই প্রয়াসকে রেকর্ড করে ইউটিউবে সেই ভিডিও দেওয়া হয়েছে। এই ভিডিও বর্তমানে প্রচুর সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৮ হাজার মানুষ শেভালদ্রুডের চেষ্টা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।
দেখুন সেই ভিডিও---
ইউটিউবের ওই ভিডিও ক্লিপটিতে তাঁর প্রয়াসকে রেকর্ড করা হয়েছে, সেখানে শেভালদ্রুড বলেছেন, ক্রিস্টোফার ম্যাকডুগালের লেখা বই, ''বর্ন টু রান" বইটি তাঁকে খালি পায়ে দৌড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল। তার প্রথম দিকের প্রচেষ্টায় তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। পায়ে বরফের আঘাত পেয়ে খুবই খারাপ অবস্থা হয়েছিল। কিন্তু শেভালদ্রুডের অদম্য চেষ্টা তাঁকে অবাক করে দিয়েছিল যে বরফ এবং তুষারের উপরে খালি পায়ে এতটাও কঠিন ছিল না, যেমনটি তিনি কল্পনা করেছিলেন।
শেভালদ্রুড বলেছিলেন যে, তিনি ২০০৭ সালে ডাচ অ্যাথলিট উইম হাফের বিশ্ব রেকর্ডটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ওই বছর হাফ মাত্র ২ ঘন্টা, ১৬ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডে বরফ এবং তুষারের উপর দিয়ে হাফ ম্যারাথন দৌড়েছিলেন। যা গিনিস বুকে রেকর্ড গড়েছিল। তবে উল্লেখ্য, গিনিসে রেকর্ড গড়তে পারলেন কিনা শেভালদ্রুড, সেই বিষয় এখনও কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।