Hooghly News: অন্যকে আনন্দ দিতে ভিন রাজ্যে পাড়ি জমান ওঁরা, ঢাকি পরিবারের পুজো কাটে প্রতীক্ষায়
- Reported by:RAHI HALDAR
- news18 bangla
- Published by:kaustav bhowmick
Last Updated:
ভিন রাজ্যে ঢাক বাজাতে গেলে দুটো বেশি অর্থ পাওয়া যায়। সেই আশায় দুর্গাপুজোর সময় পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেন না ঢাকিরা
হুগলি: বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আর এই দুর্গাপুজো সম্পূর্ণ হয় না ঢাকের বাদ্যি ছাড়া। ঢাকের উপর কাঠি পড়লেই সেই আওয়াজ মনকে ব্যাকুল করে তোলে। পাড়ার পুজোয় ঢাকের তালে নাচ, কিংবা ঢাকের তালে ধুনুচি নাচ চলে। দুর্গাপুজোয় ঢাকের তাল কানে না আসলে পুজো বলে যেন মনেই হয় না। তবে এক্ষেত্রে প্রদীপের নিচের গাঢ় অন্ধকার ঢাকিদের জীবন।
পুজোর দিনগুলোতে সকলে যখন আনন্দে দিন কাটান ঠিক তখনই বিষাদের সুর বাজে পান্ডুয়ার সিমলাগড় ভিটামিন পঞ্চায়েতের কাঁটাগর গ্রামে। এই গ্রামে ১৪ টি পরিবারের বসবাস। তাঁরা প্রত্যেকেই ঢাক বাজিয়ে দিন গুজরান করেন। দুর্গাপুজো এলেই বাড়তি উপার্জনের আশায় ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয় বাংলার ঢাকিরা। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তারা ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে। বছরের অন্যান্য উৎসবের তুলনায় দুর্গাপুজোয় তাদের রোজগার একটু বেশি হয়। তবে এ রাজ্যের তুলনায় ভিন রাজ্যে পারিশ্রমিক পাওয়া যায় বেশি। তাই বাড়তি উপার্জনের আশায় পরিবার পরিজন ছেড়ে পুজোর কটা দিন বেরিয়ে পড়েন ভিন্ন রাজ্যে ঢাক বাজাতে।
advertisement
advertisement
শুধু পান্ডুয়া নয়, বলাগড়, আরামবাগ এলাকার কয়েকশো ঢাকি এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। বছরের অন্যান্য দিনগুলিতে চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পুজোর সময় ঢাক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। এবছর কেউ যাবেন উত্তরপ্রদেশ, কেউ বিহার, কেউ আবার সুরাট। পুজোর কটা দিন সেখানেই সকলকে আনন্দ দিয়ে তারপর ঘরে ফেরা। করোনা পরিস্থিতিতে কয়েকটা বছর ভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দিতে পারেননি। তবে এ বছর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। তাই পুজোর আগে ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে চলে আসা এই শিল্পকে এখনও আঁকড়ে ধরে রেখেছেন তাঁরা।
advertisement
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দুর্গাপুজোর সময় সুরাটে ঢাক বাজাতে যান দিলীপ রুইদাস। তিনি বলেন, একেবারে কালীপুজো মিটিয়ে বাড়ি ফিরব। অন্য রাজ্যে গেলে একটু বাড়তি পয়সা পাওয়া যায়। যদিও পরিবারের সঙ্গে পুজো কাটানো হয় না। বংশ পরম্পরা এই রীতি চলে আসছে পরিবারে। তবে আবেদন জানিয়েও রাজ্য সরকারের শিল্পী কার্ড না পাওয়ার আক্ষেপ ঝরে পড়ে তাঁর গলায়।
advertisement
আরেক ঢাকি সাধান রুইদাস বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ১৪ টি পরিবার ঢাক বাজাচ্ছি। পূর্বপুরুষ ধরে চলে আসছে এই পেশা, এখন আর ছাড়তে পারি না। প্রতিবছরই ঢাক বাজাতে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হয়। কেউ সুরাট, কেউ উত্তরপ্রদেশ কেউ আবার বিহার যাবে। অনেকেই আবার পাশের গ্রামেও বাজাতে যায়। তবে তাদের থেকে যারা ভিন রাজ্যে যায় তারা বেশি পয়সা উপার্জন করবে। পরিবারকে খুশি রাখায় আমাদের দায়িত্ব। ভিন রাজ্যে পাড়ি দিলেও মন পড়ে থাকে বাংলায়। কারণ সকলে যখন পরিবারের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরোয় তখন আমাদের পরিবারগুলি তাকিয়ে থাকে আমাদের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়।
advertisement
রাহী হালদার
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
Oct 05, 2023 3:58 PM IST









