পূর্ণ হতে চলেছে ছোটবেলার স্বপ্ন, সকলকে নিয়ে মহাশূন্যে যাচ্ছেন Amazon-কর্তা জেফ বেজোস!
- Published by:Simli Raha
Last Updated:
সব কিছু যদি ঠিক থাকে, তাহলে বেজোসের সংস্থাই প্রথম পৃথিবী থেকে পর্যটক নিয়ে মহাশূন্য থেকে ঘুরে আসবে।
#ওয়াশিংটন: পাঁচ বছর বয়স থেকে মহাশূন্যে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন, সম্প্রতি এক Instagram পোস্ট মারফত একথা জানিয়েছেন Amazon-এর কর্তা জেফ বেজোস (Jeff Bezos)। সেই সঙ্গেই তিনি বিশদে জানিয়েছেন এই বিষয়ে নিজের পরিকল্পনা। তার অবশ্য দরকারও ছিল। কেন না, তাঁর আরেক সংস্থা ব্লু অরিজিন (Blue Origin) ২০ জুলাই মহাকাশ পর্যটনের লক্ষ্যে একটি নিলাম ডাকতে চলেছে। ব্লু অরিজিনের তরফ থেকে নিউ শেফার্ড প্রোজেক্টের এক রকেট বনাম ক্যাপসুল মহাকাশে যাত্রা করতে চলেছে, সেই যাত্রায় অংশ নেবেন খোদ বেজোস। আর তাঁর সঙ্গে, নিলাম মারফত জিতে নেওয়া নিউ শেফার্ডের এক আসনে যাত্রী হবেন কোনও এক সৌভাগ্যবান! জানা গিয়েছে যে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে প্রায় পাঁচ হাজারের কাছাকাছি উৎসাহী ব্যক্তিরা এই নিলামে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন। সেই মতো নিউ শেফার্ডের একটি আসনে বসার খরচ পড়তে চলেছে প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলার!
এই জায়গায় এসে একটা কথা বলে রাখা ভালো- নিউ শেফার্ড এর আগে ১৫ বার মহাশূন্যে গিয়েছে ঠিকই, তবে কোনও বারেই সে কোনও মানুষকে পৃথিবী থেকে নিয়ে যায়নি। সেই কারণেই এই ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল এই যে মহাকাশ পর্যটনের লক্ষ্যে নানা সংস্থা ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। তবে সব কিছু যদি ঠিক থাকে, তাহলে বেজোসের সংস্থাই প্রথম পৃথিবী থেকে পর্যটক নিয়ে মহাশূন্য থেকে ঘুরে আসবে। যে রকেট বনাম ক্যাপসুলটি বেজোস-সহ অন্যদের মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত, তাতে মোট ৬ জন যাত্রীর স্থান সঙ্কুলান হতে পারে। মহাশূন্যে ১০০ কিলোমিটার মতো পথে সে ঘোরাঘুরি করবে বলে জানা গিয়েছে। উচ্চতায় এই রকেটটি ৬০ ফুট, এর নাম রাখা হয়েছে অ্যালেন শেফার্ড (Alan Shepard)। এছাড়াও তৈরি আছে নিউ গ্লেন (New Glenn) নামের আরেকটি রকেট, যা মহাশূন্যে ভারি জিনিস বয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহার করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
advertisement
এর ঠিক পরেই যে প্রশ্নটা উঠে আসে, তা নিখাদ পর্যটন সম্পর্কিত। বলা তো হচ্ছে মহাকাশে পর্যটন, কিন্তু নিলামে টিকিট কেটে, রকেটে সওয়ার হয়ে যাত্রীরা ঠিক কী অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবেন? এর উত্তরও দিয়েছে ব্লু অরিজিন। জানিয়েছে যে মহাশূন্যে কক্ষপথে মোট ১১ মিনিট রকেটটি অবস্থান করবে। এই সময়ে মহাকাশ থেকে পৃথিবী দর্শন করতে পারবেন যাত্রীরা, সেই সঙ্গে অনুভব করতে পারবেন মাধ্যাকর্ষণহীনতা। আর এই মাধ্যাকর্ষণহীনতার সূত্রেই উঠে আসে আরেকটা প্রশ্ন- ব্যাপারটা কত দূর নিরাপদ হবে? কেন না, এই সংস্থার ট্রেনিং মাত্র ১ দিনের! মহাকাশে যাত্রার আগের দিন কেবিনের মধ্যে ঘোরাফেরা, মাধ্যাকর্ষণের টান কাটানো, সুরক্ষাবিধি এই সব সম্পর্কে মহাকাশচারীকে ট্রেনিং দিয়ে থাকে সংস্থা, তাদের মতে এই ১ দিনের ট্রেনিংই পর্যাপ্ত!
advertisement
advertisement
NASA এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে যে যাত্রীদের এক্ষেত্রে খুব একটা সুখকর কিছু প্রত্যাশা করা অন্যায় হবে। রকেট যাওয়া এবং আসার সময়ে প্রচণ্ড চাপ, রেডিয়েশন, সব রকম যোগাযোগ বহির্ভূত জীবন, একটা ছোট জায়গার মধ্যে বদ্ধ থাকা- NASA-র মতে এই ব্যাপারগুলো যাত্রীদের মনে প্রচণ্ড প্রভাব ফেলে। এর সঙ্গে রয়েছে শারীরিক ভাবে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও। এখনও পর্যন্ত মহাকাশ যাত্রার সঙ্গে যুক্ত কোনও রকমের বিমা তৈরি করা হয়নি। ফলে যাত্রীর প্রাণহানি হলে সেক্ষেত্রে বেজোস যে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য নন, সেটাও মাথায় রাখা ভালো!
Location :
First Published :
June 15, 2021 12:58 PM IST