গ্যারাজে বইয়ের দোকান থেকে আজ মহাকাশে! Amazon-কর্তা বেজোসের উত্থান রকেটের মতোই
- Published by:Suman Majumder
Last Updated:
বেজোসের মহাকাশে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য ঘুরে দেখা। তবে এই যাত্রাটি আরও একটি বিশেষ কারণে উল্লেখযোগ্য।
#ওয়াশিংটন: এবার মহাকাশে যাচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি তথা Amazon-কর্তা জেফ বেজোস (Jeff Bezos)। নিজেরই সংস্থা ব্লু অরিজিন-এর (Blue Origin) তৈরি মহাকাশযানে চেপে তিনি মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দিলেন। মহাকাশচারী হিসেবে নিজের নাম তুললেন জেফ বোজেস। এর আগে রিচার্ড ব্র্যানসন (Richard Branson) মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। তিনি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠেছিলেন।
জেফ বোজেস কেন মহাকাশ যাচ্ছেন?
বেজোসের মহাকাশে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য ঘুরে দেখা। তবে এই যাত্রাটি আরও একটি বিশেষ কারণে উল্লেখযোগ্য। তা হল যে মহাকাশযানে করে বেজোস যাবেন তার নাম নিউ শেপার্ড (New Shepard) রকেট। সেটি বেজোসের সংস্থা ব্লু অরিজিনের তৈরি। ওই রকেটে বেজোসই হলেন প্রথম মানব ক্রু, যিনি মহাকাশে যাচ্ছেন।
advertisement
advertisement
ওই স্পেসক্রাফ্টে করে ১৫টি টেস্ট ফ্লাইট পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনও মানুষ তাতে চাপেননি। তিনি ওই স্পেসক্রাফ্টে করে মহাকাশ যাচ্ছেন। শুধু তিনি নন, ওই ক্রাফ্টে থাকবেন তাঁর ভাই মার্ক (Mark), ১৮ বছর বয়সী অলিভার ডাইমেন (Oliver Daemen) এবং ৮২ বছর বয়সী ওয়ালি ফাঙ্ক (Wally Funk)। ওয়ালি ফাঙ্ক স্পেস ট্রাভেল করার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
advertisement
কোন রকেটের সাহায্যে বোজেস মহাকাশে যাবেন?
যে নিউ শেফার্ড ক্রাফ্টে করে বোজেস মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দিলেন সেটি মূলত একটি রকেট এবং ক্যাপসুল কম্বো। যা ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উপরে নিজে থেকেই ৬ জন যাত্রী নিয়ে উড়তে পারবে।
ব্লু অরিজিনের কাছে আরও একটি রকেট রয়েছে। যার নাম নিউ গ্লেন (New Glenn)। অ্যামেরিকান অ্যাস্ট্রোনট জন গ্লেনের (John Glenn)-এর নাম অনুসারে তার নামকরণ করা হয়েছে। নিউ গ্লেন প্রায় ২৭০ ফুট লম্বা। এবং যাতে করে ভারী সামগ্রী মহাকাশে বহন করা সম্ভব।
advertisement
কতটা সুরক্ষিত?
ব্লু অরিজিনের তরফে জানানো হয়েছে ২০১২ সাল থেকে বার বার পরীক্ষা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার মহাকাশেও গিয়েছে সেটি। কিন্তু কোনও বার মানব পরিবহন করেনি। এবার প্রথম নিউ শেপার্ডে চড়ে মহাকাশে যাচ্ছে মানুষ। আর তাই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সমস্ত খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে সেফটি সিস্টেমের উপর বিশেষ করে নজর রাখা হচ্ছে।
advertisement
জানা গিয়েছে, নিউ শেফার্ডে ক্রু এসকেপ সিস্টেম থাকছে। যদি মহাকাশে কোনও অঘটন ঘটে যায় তাহলে ক্যাপসুল থেকে বুস্টারকে আলাদা করে দেবে ওই প্রযুক্তি। অর্থাৎ যাত্রী আসন থেকে রকেট আলাদা হয়ে যাবে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩ বার পরীক্ষা করে দেওয়া হয়েছে এস্কেপ সিস্টেম। পাশাপাশি ল্যান্ডিং সিস্টেমেও নজর রাখা হচ্ছে। ওই ক্যাপসুলের ল্যান্ডিং সিস্টেমে রাখা হয়েছে রেট্রো থার্স্ট সিস্টেম। যার মাধ্যমে পশ্চিম টেক্সাস মরুভূমিতে মাত্র ১.৬ কিলোমিটার গতিবেগে
advertisement
ওই ক্রাফ্টটি ল্যান্ড করবে।
রিচার্ড ব্র্যানসনের যানের থেকে কতটা আলাদা?
১২ জুলাই নিজের সংস্থার যানে চেপে মহাকাশের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছিলেন রিচার্ড ব্র্যানসন। তিনি ছাড়াও আরও ৫ জন গিয়েছিলেন। কিন্তু বেজোস ও রিচার্ড ব্র্যানসের মহাকাশযানের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু পার্থক্য। রিচার্ড ব্র্যানসনের মহাকাশযানের নাম ছিল ভার্জিন গ্যালাকটিক (Virgin Galactic)। ভার্জিন গ্যালাকটিকের মধ্যে কোনও রকেটের প্রযুক্তি ছিল না। পরিবর্তে ২টি প্লেন বসানো ছিল। যার মাধ্যমে সেটি মহাকাশে গিয়েছিল।
Location :
First Published :
July 20, 2021 5:13 PM IST