আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ঘোর অমাবস্যা, সেই রাতেই আপনার গৃহে পা রাখবেন মা তারা !

Last Updated:
#কলকাতা: তারাপীঠ ৷ বীরভূমের এই মাতৃস্থান নিয়ে কতশত কাহিনি ৷ এই পীঠস্থান নিয়ে আধ্যাত্মিকতার ইতিহাস তো কম নয় ৷ পরতে পরতে মোড়া রোমাঞ্চ ৷ জানতে গেলে শিহরিত হতে হয় ৷ দেবী মাহাত্ম্যের কথা জানতে জানতে মাথা নত হয়ে আসে আপনা আপনিই ৷
মা তারা আর তাঁর স্নেনধন্য সাধক বামদেবের সমস্ত অলৌকিক কাহিনি তো কিংবদন্তি হয়ে গিয়েছে ৷ বাংলার আধ্যাত্মিকতার ইতিহাসে ‘বামাক্ষ্যাপা’ও এক কিংবদন্তি ৷ এই দেবীপীঠ কী করে ধীরে ধীরে জাগ্রত হয়ে উঠল, তা নিয়ে লোকমুখে বিভিন্ন কথকতা প্রচলিত ৷ কিন্তু তার পরেও তারা মায়ের দর্শনের উৎপত্তি ও তাঁর দেবীশক্তির অনেক কথাই অজানা রয়ে গিয়েছে।
advertisement
অনেক রহস্যও এবং বিতর্কও রয়েছে। যেমন অষ্টতারার নাম এবং রূপ নিয়েই মতান্তর রয়েছে পণ্ডিতদের মধ্যে। কারও মতে অষ্টতারা হলেন ধ্যানতারা, উগ্রতারা, নীলাসরস্বতী, একজঠা তারা, শ্মশান তারা, সর্পাসিন তারা, গুহ্য তারা ও কামেশ্বরী। আবার আর এক মত অনুযায়ী অষ্টতারা হলেন— তারা, উগ্রতারা, একজটা, নীল সরস্বতী, তারিণী, নিত্যা, বজ্রা ও কামেশ্বরী।
advertisement
Photo 5
advertisement
‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এ সব্যসাচী চৌধুরী এবং নবনীতা দাস ৷-নিজস্ব চিত্র ৷
তারা মায়ের দর্শন হাজার বছরেরও বেশি প্রাচীন এবং ঠিক ততটাই প্রাচীন তারাপীঠের ইতিহাস। কয়েকশো বছর ধরে বহু সাধকের সমাগমে সাধনার অন্যতম পীঠস্থান হয়ে উঠেছিল এই জনপদ। কিন্তু একথা অনস্বীকার্য যে সাধক বামদেবের মহিমায় আরও বেশি মহিমান্বিত হয়েছে তন্ত্রসাধনার এই কেন্দ্র।
advertisement
ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলার পটভূমিতে যখন তারাপীঠ তন্ত্রসাধনার পীঠস্থান হিসেবে তৈরি হল তখন মানুষ তা এড়িয়েই চলতেন। কিন্তু পরবর্তীকালে সেখানেই মানুষ ছুটে আসেন শ্রদ্ধায় ও ভক্তিতে। মা তারার আশীর্বাদ পেয়ে কীভাবে সাধক বামাক্ষ্যাপা নানা সামাজিক অবিচারের প্রতিকার করলেন, তাও গল্প। শুধুমাত্র সাধক বামাক্ষ্যাপাই নয়, উঠে আসবে বিভিন্ন তারা সাধকের কাহিনি ৷ মা তারার বিভিন্ন অলৌকিক কাহিনিও উঠে আসবে ধারাবাহিক ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এর হাত ধরে ৷ যেখানে বামদেবের চরিত্রে অভিনয় করছেন সব্যসাচী চোধুরী এবং মা তারা হয়ে ফের টেলিভিশনে ফিরছেন নবনীতা দাস ৷
advertisement
বেশ কিছু বছর আগে কালারস বাংলায় ‘বামাক্ষ্যাপা’ সম্প্রচারিত হত। তার রেশ এখনও বাংলার দর্শকের মনে রয়েছে। সে গল্পজালের বুনোট বেঁধেছিলেন গবেষক ও চিত্রনাট্যকার ঋতম ঘোষাল ৷ ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এর গবেষণা ও চিত্রনাট্যের গুরুদায়িত্ব তাঁরই হাতে ৷ তিনি জানালেন, এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে দর্শকরা অনুপুঙ্খভাবে মায়ের অলৌকিক মাহাত্ম্যে কথা জানতে পারবেন ৷ কেননা এই ধারাবাহিকটি দেখানো হবে তারামায়ের চোখ দিয়ে ৷ দেখানো হবে বামদেবের উত্থান ৷ এছাড়াও ভোগ, আরতির পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা থাকবে। তবে থাকবে না মহাস্নান। কারণ পুরাণমতে দেবীর মহাস্নান দেখা নিষিদ্ধ। এই সিরিয়ালের টাইটেল ট্র্যাক তৈরি করেছেন সংগীত পরিচালক জিৎ গাঙ্গুলি। গেয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ঠিক রাত ১০টায় ৷
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ঘোর অমাবস্যা, সেই রাতেই আপনার গৃহে পা রাখবেন মা তারা !
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement