শর্মিলা মাইতি
#মুম্বই: মা হওয়া কি মুখের কথা? শুধু তাই নয়, মেয়েরা মা হওয়ার মুহূর্তটা উপভোগ করার বদলে অনেক সময়েই অতিরিক্ত নিয়মকানুনের বেড়াজালে নাজেহাল হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে যাঁরা ওয়র্কিং উওম্যান অর্থাৎ কর্মরতা, তাঁদের কাছে গর্ভধারণ অনেক সময়েই ঝক্কি সামলানোর দায় হয়ে ওঠে। করিনা কাপুর দ্বিতীয়বার মা হতে চলেছেন। ইনস্টাগ্রামে তাঁর সুন্দর যোগাসনের ভিডিও অ্যালবাম দেখে রীতিমতো মুগ্ধ সকলে। কেউ বা ভাবছেন, পূর্ণ গর্ভবতী অবস্থায় এত বড় ঝুঁকি নিলেন কেন করিনা? তাও আবার মহামারীর সময়ে!এক সাক্ষাতকারে সব প্রশ্নের সমাধান সূত্র বাতলেছেন করিনা কপূর। "দ্বিতীয়বার মা হব, সেটা সইফ আর আমি আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম। কিন্তু মহামারীর সময়ে, ঘরবন্দি অবস্থায় আমার এই সুন্দর সময়টা কাটবে ভাবতেও পারিনি। ইমিউনিটি বাড়ানো, মুড সুইং কনট্রোল করা তো সত্যিই বেশ বড় একটা দায়িত্ব ছিল। এই লম্বা সময়টা যোগাসন ছিল আমার শ্রেষ্ঠ সময়। "
প্রেগন্যান্সিতে যোগাসন করতে অনেকেই ভয়' পান। বেকায়দায় যদি গর্ভস্থ সন্তান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মধ্যবিত্ত বাড়িতে অনেক নিয়মকানুনও মানতে হয়। "কে বলেছে যোগাসন করলে সন্তানের ক্ষতি হয়? সম্পূর্ণ মিথ। এমনকি আমি তো এটাও কাউকে বলতে শুনেছি যে, ওয়র্ক আউট করতে নেই তাহলে গর্ভস্থ সন্তান দুর্বল হয়ে পড়ে। ডাম্বেল তুলতে নেই, গর্ভস্থ সন্তান দুর্বল হয়ে পড়ে। বিশ্বাস করুন, এই সব ধারণা ভিত্তিহীন। নান অফ দিস আর ট্রু। অন্তঃসত্ত্বা মা যত কাজের মধ্যে থাকবে, মনে ভাল থাকবে যেটা সবচেয়ে জরুরী। গর্ভধারণের সময়কাল জুড়ে বিশেষ পদ্ধতির যোগাসন খুব জরুরি শরীর ও মনের উন্নতির জন্য। আমি তো করেছেই। ডেলিভারির পরেও যোগাসন করে চলব। " বলেছেন করিনা।অতি সম্প্রতি স্পোর্টস ব্র্যান্ড পুমার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তিনি। "গর্ভবতী মায়েদের হাতে-পায়ে সচল থাকাটা খুব জরুরি। আরও একটা কথা, মা হচ্ছেন জানার পরেই অনেক সময়ে মেয়েদের খাওয়ার পরিমাণ খুব বেড়ে যায়। ওভারইটিংও সন্তানের জন্য ভাল নয়। অনেক সময় পারিপার্শ্বিক চাপেও খুব বেশি করে খেতে শুরু করেন অনিচ্ছাসত্ত্বেও। আমি প্রেগন্যান্সিতে পুরোপুরি বাড়িতে তৈরি খাবার খেয়েছি। পুষ্টি যাতে সঠিক মাত্রায় থাকে। আমি কখনও জাঙ্ক ফুডের ভক্ত নই। প্রচুর পরিমাণ জল খেয়েছি, যেটা একান্ত জরুরী। "আর তৈমুর এই গোটা সময়টা জুড়ে কীভাবে সঙ্গ দিয়েছে মাকে? "দেখলাম, তৈমুরের ঝোঁক বেড়েছে পেন্টিংয়ের উপর। খুব মন দিয়ে ছবি আঁকছে। রং করছে!" বলেছেন মা করিনা।