অপরাধমূলক কাজের কারণেই আগুন লেগেছে উত্তরাখণ্ডের বনাঞ্চলে, মুখ খুললেন দিয়া মির্জা

Last Updated:

২০১৬ সালের পর এই প্রথম এভাবে জ্বলছে উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল। এই পরিস্থিতি নিয়েই এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা

#মুম্বই: দাউ-দাউ করে জ্বলছে উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল। হেক্টরের পর হেক্টর জমি পুড়ে ছাই। দাবানল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। বার বার আগুন লাগছে একাধিক জায়গায়। এই পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি উত্তরাখণ্ড সরকারও উদ্বিগ্ন। দাবানল নিয়ন্ত্রণে একাধিক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। মোতায়েন করা হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার চপারও। যার সাহায্যে উপর থেকে জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
২০১৬ সালের পর এই প্রথম এভাবে জ্বলছে উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল। এই পরিস্থিতি নিয়েই এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা (Dia Mirza)। একজন ফরেস্ট ইঞ্জিনিয়ারের মন্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি এই আগুন নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেন।
অভিনেত্রী বলেন, আমি এক সময়ে সেনেগালের একজন ফরেস্ট ইঞ্জিনিয়ার বাবা দিওমের সঙ্গে কথা বলেছিলাম তাঁর ব্লগের মাধ্যমে। তিনি আমায় কথায় কথায় বলেছিলেন, আমরা যাকে খুব ভালোবাসি তাকেই সংরক্ষণ করতে পারি। তার যত্ন নিতে পারি। উত্তরাখণ্ডের আগুনের পর আমার মনে বার বার একটা প্রশ্ন ঘুরছে, আমরা কি সত্যিই জঙ্গলকে এতটা ভালোবাসি যে তাকে রক্ষা করতে পারি? উত্তরাখণ্ড গঙ্গার জন্মভূমি, এর আশেপাশের বনভূমি গঙ্গার জল প্রবাহিত হতে সাহায্য করে, যে জল কোটি কোটি লোকের প্রাণ বাঁচায়, জীবন-জীবিকা নির্ধারণ করে।
advertisement
advertisement
তিনি বলেন, এই আগুনের ফল কী ভয়াবহ হতে পারে, তা সকলের জানা দরকার। তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব ও এড়িয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা অনেকাংশে এই ধরনের বিশাকার ক্ষয়ক্ষতির কারণ। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে অভিনেত্রী জানান, আমি উত্তরাখণ্ডের অনেকের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছি। যা বুঝেছি তা হল, অবাধে জঙ্গল সাফ করা, গাছ কাটা, জল দূষণ, অবৈধ বালি খাদান, অবৈধভাবে মাটি কাটা এই ধরনের ঘটনার জন্য দায়ী। আমাদের বোঝা উচিত পরিবেশের প্রত্যেকটি জিনিস কী ভাবে বাঁচানো দরকার। প্রত্যেকটি জিনিস কী ভাবে একে অপরের সঙ্গে জড়িত। আমাদের বেঁচে থাকতে গেলে এই জিনিসগুলোও প্রয়োজন। নদীর জল শুকিয়ে যাবে যদি গাছ না থাকে।
advertisement
প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের এই আগুনে এখনও পর্যন্ত ৩৭ লক্ষ টাকার সম্পত্তি ও ১৬৫ হেক্টর জমি আগুনের গ্রাসে। বায়ুসেনার চপারের মাধ্যমে উপর থেকে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু ওই এলাকার এমন পরিস্থিতি ও আবহাওয়া যে চপারকে ফিরে আসতে হচ্ছে। চেষ্টা চলছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার।
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
অপরাধমূলক কাজের কারণেই আগুন লেগেছে উত্তরাখণ্ডের বনাঞ্চলে, মুখ খুললেন দিয়া মির্জা
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement