কেউই মেনে নিতে পারছেন না সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনা। কিন্তু তবু, মেনে নিতে হয়। সেলুলয়েডের পর্দায় বা পর্দার বাইরে তাঁর সঙ্গে কাজ করা অনেকেই বলছেন, এ মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। দিবাকর বন্দোপাধ্যায় পরিচালিত ডিটেকিভ ব্যোমকেশ বক্সীর লাইন প্রোডিউসরের দায়িত্বে ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, প্রযোজক অরিন্দম শীল। তিনি স্মৃতি হাতড়ে বললেন সুশান্তের সঙ্গে তাঁর কাটানো সময়ের কথা।
কাজের মধ্যে কেমন দেখেছেন সুশান্তকে? অরিন্দম বললেন, ‘ও কাজের ব্যপারে এতটা একাগ্র ছিল যে বলে বোঝাতে পারবো না। ভীষণ প্যাশানেট লাগত। শান্ত ছিল। কাজটা মন দিয়ে করত। সবসময় একদম ঠিক সময়ে ফ্লোরে আসত। মানে আমি যতটুকু ওকে দেখেছি, ততটুকুতে ওর একাগ্রতা আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
অরিন্দমের মনে পড়ে যায় ব্যোমকেশ তৈরির সময়ের কথা। তিনি বললেন, ‘দিবাকর যখন প্রথম আমাকে বলে যে সুশান্তকে ব্যোমকেশ করা হবে, তখন আমি ভাবলাম, ওকে দিয়ে কী করে হবে? ওর সেই উচ্চতা নেই, মুখটা ছোট, ওকে দিয়ে হবে কী করে? পরে ওকে সাজানোর পরে দেখলাম ওকে একটা লার্জার দ্যান লাইফ তৈরি করা হচ্ছে। যেটা পরে আমার ব্যোমকেশেও কাজে লেগেছিল। কিন্তু সুশান্তকে দেখেছিলাম, একেবারে নিজের অভিনয় ক্ষমতা দ্বারা ব্যোমকেশকে মূর্ত করে তুলেছিল সে। আর ওকে লোকে বিশ্বাস করেছিল ব্যোমকেশ হিসাবে।’
যতটুকু ব্যক্তিগত আলাপ হত, ততটুকু ঘেঁটেই অরিন্দম বললেন, ‘কেউ কেউ হয় ভীষণ শান্ত প্রকৃতির। সুশান্ত ছিল তেমন। নিজের মধ্যে থাকত। মন দিয়ে কাজ করত। দেখা হলে কুশল বিনিয়ম করত। কোনও অভিযোগ ছিল না ওর। কাজটাই মুখ্য। এমন একজন প্যাশানেট মানুষ, এভাবে যদি ডিপ্রেশানের কারণে আত্মহত্যা করে থাকে, তাহলে আমার কাছে সেটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা মানা ভীষণ কষ্টের। শুধু আমার কাছে নয়, সকলের কাছেই এটা মানা ভীষণই কষ্টের।’
‘একটার পর যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। ইরফানের চলে যাওয়াটা এখনও আমি মেনে নিতে পারিনি। ভূলতেই পারছি না আমি। তারপর হঠাৎ করে সুশান্ত। আমি শকড। কোথাও একটা গোলমাল হয়ে রয়েছে। বুঝতে পারছি না। আমি জানি না, এখন হয়ত সময় নিজেকে আরও শক্ত করে গড়ে তোলার’ বললেন অরিন্দম শীল।
ARUNIMA DEY
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।