শিক্ষকতার চাকরি হারিয়ে মৃত্যুর মুখে সুশান্ত...! আয় নেই, ক্যানসারের সঙ্গে লড়তে লড়তে বললেন, 'কে বাঁচাবে আমায়?'

Last Updated:

SSC Scam Teacher: ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষক সুশান্ত দত্ত চাকরি হারিয়ে চিকিৎসার খরচ চালাতে পারছেন না। আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিল হলেও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। সমাজ ও প্রশাসনের সহায়তা তাঁর একমাত্র ভরসা।

ত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দুর্গানগরের বাসিন্দা এই শিক্ষক শুধু চাকরি হারাননি, হারিয়েছেন জীবনের শেষ আশাটুকুও। ক্যানসার আক্রান্ত এই শিক্ষক এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, আর প্রতিটি নিঃশ্বাসে তাঁর আকুতি— “কে বাঁচাবে আমায়?”
ত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দুর্গানগরের বাসিন্দা এই শিক্ষক শুধু চাকরি হারাননি, হারিয়েছেন জীবনের শেষ আশাটুকুও। ক্যানসার আক্রান্ত এই শিক্ষক এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, আর প্রতিটি নিঃশ্বাসে তাঁর আকুতি— “কে বাঁচাবে আমায়?”
চঞ্চল মোদক, ইসলামপুর: বিচারের খাতায় হয়তো তিনি ‘অযোগ্য’— কিন্তু জীবনের লড়াইয়ে আজও হাল ছাড়েননি সুশান্ত দত্ত। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দুর্গানগরের বাসিন্দা এই শিক্ষক শুধু চাকরি হারাননি, হারিয়েছেন জীবনের শেষ আশাটুকুও। ক্যানসার আক্রান্ত এই শিক্ষক এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, আর প্রতিটি নিঃশ্বাসে তাঁর আকুতি— “কে বাঁচাবে আমায়?”
২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন সুশান্ত। যোগ দিয়েছিলেন চোপড়ার মাঝিয়ালি হাই স্কুলে। ছোট্ট এক ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী ও তিন বছরের ছেলেকে নিয়ে ছিল শান্ত এক সংসার। কিন্তু ২০২২ সালে ধরা পড়ে ব্লাড ক্যানসার, লিউকোমিয়া। তারপর থেকে প্রতি চার মাস অন্তর মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল ক্যানসার হাসপাতালে যেতে হচ্ছে চিকিৎসার জন্য, যার প্রতিবারের খরচ প্রায় ৭০ হাজার টাকা।
advertisement
advertisement
এই পরিস্থিতিতেই আদালতের নির্দেশে বাতিল হয় তাঁর চাকরি। যদিও সুশান্ত জানান, তাঁর নাম কোনও দুর্নীতির তালিকায় ছিল না। তবুও চাকরি চলে যায়—আর বন্ধ হয়ে যায় আয়ের সমস্ত পথ। সামনে ১৯ মে ফের যেতে হবে মুম্বই, কিন্তু হাতে নেই এক টাকাও।
advertisement
চোখের সামনে নিজের সন্তানের মুখ, আর অন্য পাশে মৃত্যুর ছায়া। এই পরিস্থিতিতে সুশান্তের প্রশ্ন— “আমি কি আর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারব? আমি কি আমার সন্তানকে বড় হতে দেখতে পাব?” স্ত্রী একজন সাধারণ গৃহবধূ, তাঁর নিজেরও উপার্জনের কোনও পথ নেই। একমাত্র রোজগেরে সুশান্ত এখন বেকার।
advertisement
প্রতিবেশীরা পাশে থাকার চেষ্টা করছেন, কিন্তু আর্থিক দিক থেকে কেউই এগিয়ে আসতে পারছেন না। সমাজ, প্রশাসন বা কোনও সহৃদয় মানুষ—কেউ কি এগিয়ে আসবেন তাঁর পাশে দাঁড়াতে?
চাকরি হারানো হাজার হাজার শিক্ষকের ভিড়ে সুশান্ত দত্ত এক ব্যতিক্রম। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে নেই কোনও তদন্ত, অভিযোগ বা দুর্নীতির ছায়া। তবুও ভাগ্যদেবী মুখ ফিরিয়েছেন। তাঁর মতো আরও অনেকে রয়েছেন নিশ্চয়ই, তবে মারণরোগে আক্রান্ত হয়ে যাঁদের প্রতিটি দিন মৃত্যুর কাছাকাছি এগিয়ে যাওয়া—তাঁদের অবস্থাটা আরও ভয়ঙ্কর, আরও হৃদয়বিদারক।
advertisement
সুশান্ত দত্তর জীবনের শেষ ভরসা এখন এই সমাজ, এই রাষ্ট্র। কিছু সংগঠন, কিছু সহৃদয় মানুষ, বা প্রশাসনিক সহানুভূতি—এই মুহূর্তে তাঁর কাছে সেটুকুই বেঁচে থাকার অবলম্বন। তাঁর প্রশ্ন, “শুধু একটা চাকরি নয়, সেটা ছিল আমার জীবন। সেটা কেড়ে নেওয়া কি ঠিক?”
view comments
বাংলা খবর/ খবর/শিক্ষা/
শিক্ষকতার চাকরি হারিয়ে মৃত্যুর মুখে সুশান্ত...! আয় নেই, ক্যানসারের সঙ্গে লড়তে লড়তে বললেন, 'কে বাঁচাবে আমায়?'
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement