আশার আলো! চাঙ্গা হচ্ছে অর্থনীতি, অতিমারীর রেশ কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে বাণিজ্য, পূর্বাভাস বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার
- Published by:Shubhagata Dey
- news18 bangla
Last Updated:
বিশ্ব জুড়ে মার্চেন্ডাইজ ট্রেড পড়েছে ৯.২ শতাংশ। তবে দুনিয়া জুড়ে অতিমারীর প্রভাব বিশ্ব বাণিজ্যকে যতটা ধসিয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তেমনটা হবে না বলেই জানিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ।
#জেনেভা: বিশ্ব জুড়ে মার্চেন্ডাইজ ট্রেড পড়েছে ৯.২ শতাংশ। তবে দুনিয়া জুড়ে অতিমারীর প্রভাব বিশ্ব বাণিজ্যকে যতটা ধসিয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তেমনটা হবে না বলেই জানিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন)। তবে সংক্রমণের সংখ্যা সারা পৃথিবীতে বাড়তে শুরু করলে ফের অবনতি ঘটতে পারে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার তরফে এমন উল্লেখও করা হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের জেনিভার এক সংস্থা এর আগে আশঙ্কা করেছিল কোভিড ১৯-এর প্রভাবে মার্চেন্ডাইজ ট্রেড পড়বে ১২.৯ শতাংশ। চলতি বছরের এপ্রিলেই এই পরিসংখ্যান আঁচ করেছিল সংশ্লিষ্ট সংস্থা। সেই সময় ইওরোপিয়ান ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রথম বিশ্বের দেশগুলো রীতিমতো কাঁপছিল করোনাজ্বরে। জুন, জুলাই মাস থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির চাহিদা বিপুল ভাবে বাড়ার পর থেকে অর্থনীতি ফের একটু চাঙ্গা হতে শুরু করে।
advertisement
এখন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাও পূর্বাভাস দিয়েছে যে আগামী বছর ট্রেড বাড়তে পারে ৭.২ শতাংশ। তবে করোনা-আবহে সারা বিশ্বেই চাকরি খুইয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। ফের কর্মসংস্থান না হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের হাল ফেরানো মুশকিল হবে, আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা।
advertisement
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চ মাস থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে করোনা ভাইরাস। করোনা সংক্রমণ রুখতে সারা দুনিয়ার অধিকাংশ দেশে দফায় দফায় চলে লকডাউন। তার ফলেই মাসের পর মাস রীতিমতো থমকে থেকেছে জনজীবন। বন্ধ থেকেছে উড়ান। স্বাভাবিক ভাবেই একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য। এর উপরে সমস্যা বাড়িয়ে দেয় বিপুল কর্মহীনতা। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া সব সামগ্রীর চাহিদা পড়তে শুরু করে সারা বিশ্বে। আপাতত সেই সঙ্কট কিছুটা কাটছে বলেই জানিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা।
advertisement
প্রসঙ্গত, ভারতের অবস্থাও শোচনীয়। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপির হার নেমে দাঁড়িয়েছে মাইনাস ২৩.৯ শতাংশে। স্ট্যাটিসটিক্স অ্যান্ড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন মন্ত্রকের তরফে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। গত অর্থবর্ষে এই সময় জিডিপির হার ছিল ৫.২ শতাংশ। মূলত করোনাভাইরাসের ধাক্কায় লকডাউন পরিস্থিতির জেরেই দেশে আর্থিক বৃদ্ধির হারের এমন করুণ দশা বলে অনুমান করা হচ্ছে। ব্লমুবার্গ এক সমীক্ষায় জানিয়েছিল, জুনের শেষ ত্রৈমাসিকে জিডিপি নামতে পারে ১৮ শতাংশ। চলতি মাসের শুরুতে এসবিআই-এর এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি নামতে পারে ১৬.৫ শতাংশে।
view commentsLocation :
First Published :
October 07, 2020 6:46 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
আশার আলো! চাঙ্গা হচ্ছে অর্থনীতি, অতিমারীর রেশ কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে বাণিজ্য, পূর্বাভাস বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার