করোনা আক্রান্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দ্রুত আরোগ্য কামনা করলেন 'অভিমানী' তসলিমা

Last Updated:

খবর পেয়েই ট্যুইটারে আরোগ্যবার্তা দিলেন তসলিমা নাসরিন, পাশাপাশি মনে করিয়ে দিলেন তিক্ততার অতীতও।

#কলকাতা: রোগশয্যায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি বাড়িতেই চিকিৎসাধীন। আর তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য করোনা আক্রান্ত হয়েই উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি। খবর পেয়েই ট্যুইটারে আরোগ্যবার্তা দিলেন তসলিমা নাসরিন, পাশাপাশি মনে করিয়ে দিলেন তিক্ততার অতীতও। আরোগ্যের প্রার্থনা মোড়া রইল অভিমানে।
তসলিমা এদিন ট্যুইটারে লিখেছেন, "বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য করোনা পজিটিভ হয়েছেন। উনি যদিও আমাকে বাংলা থেকে তাড়িয়েছিলেন, কিন্তু আমি তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।"
advertisement
advertisement
সময়টা ২০০৭ সাল। দ্বিতীয় বারের জন্য় মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন হয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে তসলিমা পাকাপাকি ভাবে কলকাতায় বসবাস শুরু করেছিলেন অনেকটা আগেই। অবশ্য বাম সরকারের সঙ্গে বনিবানা তাঁর প্রথম থেকেই হয়নি। তাঁর লেখা দিখণ্ডিত বাম সরকার নিষিদ্ধ করার পরে সেটি পুনঃপ্রকাশ করার অনুমতি তসলিমা জোগাড় করেন হাইকোর্ট থেকে। কিন্তু বিবাদ-তিক্ততা চরমে পৌঁছয় হায়দরাবাদের একটি মৌলবাদী সংগঠন তাঁর উপর আঘাত হানলে। ২০০৭ সালের নভেম্বরে তাঁকে কার্যত কলকাতা ছাড়তে বাধ্যই করে রাজ্য সরকার।
advertisement
তারপর হুগলি নদীতে বহু জল গড়িয়েছে। বহু বছর ভিনরাজ্যের বাসিন্দা তসলিমা। যদিও তাঁর মন পড়ে থাকে কলকাতায়। এদিকে বামেরা আজ বিধানসভায় অস্তিত্বটুকুও হারিয়ে ফেলেছেন। ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাসলিমার প্রতি সদয় হননি। ফলে তাসলিআর গলায় যে অভিযোগ অভিমানের মেঘ ভীড় করবে, তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও মীরা ভট্টাচার্য কোভিড আক্রান্ত হন। দুজনের অবস্থাই আপাতত স্থিতিশীল, কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু ক্রনিক সিওপিডির রোগী, তাই তাঁকে নিয়ে চিকিৎসকদের দুশ্চিন্তা রয়েছে। ডিসেম্বর মাসেই দিন ছয়েক তাঁকে হাসপাতালে কাটাতে হয়েছিল।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
করোনা আক্রান্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দ্রুত আরোগ্য কামনা করলেন 'অভিমানী' তসলিমা
Next Article
advertisement
২০২৭ সালে জনগণনা! সমীক্ষা শুরু '২৬ থেকেই! মোবাইল অ্যাপ দিয়ে কী ভাবে করবেন? জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
২০২৭ সালে জনগণনা! সমীক্ষা শুরু '২৬ থেকেই! মোবাইল অ্যাপ দিয়ে কী ভাবে করবেন?
  • ২০২৭ সালের জনগণনা দুই দফায় হবে, মোবাইল অ্যাপ ও স্ব-অন্তর্ভুক্তিকরণ পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে.

  • প্রথম ধাপ হাউস লিস্টিং ও হাউসিং সেনসাস, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৬-এর মধ্যে সম্পন্ন হবে.

  • দ্বিতীয় ধাপ পপুলেশন এনুমারেশন, ফেব্রুয়ারি ২০২৭-এ অনুষ্ঠিত হবে, জাতি ভিত্তিক গণনাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement