'নিউইয়র্কের বাতাসে এখন শুধুই লাশের ঝাঁঝাল গন্ধ', ধূলিকণাতে করোনার আতঙ্ক...

Last Updated:

যুক্তরাষ্টে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ৫৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে নিউইর্য়কে মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৫৬ জনের। নিউইর্য়কে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩১ জন। এমতাবস্থায় রাস্তায় নেমে কাজ করছেন জন জে কলেজ অব সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইর্য়কের সহকারী অধ্যাপক তথা কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশ অফিসার ড. রাজুব ভৌমিক। তাঁর কলমে...

#নিউইয়র্কঃ নিউইয়র্কের প্রতি ধূলিকণাতে এখন করোনার আতঙ্ক মিশে আছে। এই করোনা ভাইরাস দিনদিন নিউইয়র্কের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শহরের বাসিন্দারা তাঁদের নিজ নিজ বাসস্থানে অবরুদ্ধ জীবন-যাপন করছে। বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করা এই ভাইরাসের কড়াল গ্রাসে মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। যুক্তরাষ্টে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ৫৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে নিউইর্য়কে মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৫৬ জনের। নিউইর্য়কে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩১ জন। নিউইর্য়ক পুলিশের ডিপার্টমেন্টের (এনওয়াইপিডি) প্রায় ২ হাজার ৩৪৪ জন পুলিশ আধিকারিক এখন করোনা পজিটিভ এবং প্রায় সাত হাজার পুলিশ সদস্য করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে রয়েছে। করোনার হাতে এখনও পর্যন্ত এনওয়াইপিডি ২৩ জন সদস্য হারিয়েছে। নিউইর্য়কে এখন পর্যন্ত ১৩২ জন বাঙালী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন এবং হাজার হাজার বাঙালি  করোনায় আক্রান্ত হয়ে অনিশ্চত জীবনযাপন করেছেন। সবার মনের মধ্যে এক অজানা ভয় ও আশঙ্কা।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সারি এতই দীর্ঘ হচ্ছে যে নিউইর্য়কে মৃতদেহ কবর বা কফিনবন্দি করার মত জায়গা কমে আসছে। এখন পর্যন্ত করোনার আক্রান্ত মৃতের পরিবারের সদস্যরা ছ'দিনের মধ্যে গ্রহন না করলে হার্ট আইল্যান্ডের গনকবরে তাঁদের কবর দেওয়া হচ্ছে। নিউইর্য়কে প্রায় সব মর্গ-গুলো এখন মৃতদেহে পরিপূর্ণ। নিউইর্য়কের বিভিন্ন রাস্তার পাশে পার্ক করা সারি সারি ফ্রিজের ট্রাকগুলোতেও মৃতদেহ ভর্তি। করোনাতে মানুষ এত দ্রুত মারা যাচ্ছে যে নিউইর্য়ক শহরের আশেপাশের কবরস্থানগুলোতে মৃতদেহ কবর দেওয়ার জায়গা পর্যন্ত নেই। কোথাও দেহ রাখার কোন জায়গা নেই—তাই নিউইয়র্কের সরকার করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে, তাঁর দেহ পার্কে কবর দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।
advertisement
advertisement
নিউইর্য়ক সিটির কাউন্সিলম্যান মার্ক লেভিন জানিয়েছেন, তাঁদের সাময়িকভাবে মৃতদেহগুলি নিউইর্য়কের পার্কগুলোতেই কবর দিতে হবে।  নিউইর্য়কের সব রেস্তোরা, শপিং মল, সিনেমা হল, স্কুল-কলেজ, এবং সবধরনের খেলাধুলা বন্ধ। প্রায় সব বিমান বন্দর, রাস্তা-ঘাট, সাবওয়ে স্টেশন, এবং বাস টার্মিনালগুলো জনশূন্য। থমকে গিয়েছে আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক যোগাযোগ। একমাত্র কর্মস্থল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে বহু নিউইর্য়কবাসীরা নিজ নিজ বাড়িতে আশঙ্কার প্রহ গুনছেন। চাকরি-চ্যুত হয়ে নিউইর্য়কবাসীরাও অনিশ্চিত জীবন-যাপন করছে। প্রয়োজন-ব্যতীত কেউ এখন ঘর থেকে বাইরে যান না। নিউইর্য়কবাসীর এখন অ্যাম্বুলেন্স, দমকল, এবং পুলিশের গাড়ির আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গে। চারিদিকে হাহাকার। ঘরের জানালা খুললে আগের মত নির্মল বাতাস উপলব্ধি করা যায় না—ভেসে আসে যেন শুধু লাশের  ঝাঁঝাল গন্ধ।
advertisement
view comments
বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
'নিউইয়র্কের বাতাসে এখন শুধুই লাশের ঝাঁঝাল গন্ধ', ধূলিকণাতে করোনার আতঙ্ক...
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement