স্ট্যান্ডে বাস, যদিও যাত্রী নেই দুরপাল্লার রুটে
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
একাধিক সরকারি ও বেসরকারি অফিস সপ্তাহের প্রথম দিন থেকেই খুলে গেছে। যাত্রী হবে ধরে নিয়ে সোমবার থেকে তাই রাস্তায় নামতে শুরু করে বেসরকারি বাস। যার মধ্যে ছিল দুরপাল্লার বেসরকারি বাসও।
#কলকাতা: যাত্রী নেই। স্ট্যান্ডে দিনভর দাঁড়িয়ে থাকল দুরপাল্লার ভলভো বাস। জেলায় যেতে ভরসা দুরপাল্লার সরকারি বাস। যাত্রী কম তাই বাস কমাচ্ছে শ্যামলী, গ্রিন লাইনের মতো বাসগুলি। তবে সরকারি দূরপাল্লার বাসের সংখ্যা মঙ্গলবার থেকে বাড়ানো হয়েছে।
একাধিক সরকারি ও বেসরকারি অফিস সপ্তাহের প্রথম দিন থেকেই খুলে গেছে। যাত্রী হবে ধরে নিয়ে সোমবার থেকে তাই রাস্তায় নামতে শুরু করে বেসরকারি বাস। যার মধ্যে ছিল দুরপাল্লার বেসরকারি বাসও। শহীদ মিনার বাস স্ট্যান্ড থেকে দিঘা, পুরুলিয়া, মুকুটমণিপুর, মালদহ, বহরমপুর, আসানসোল, শিলিগুড়ি, কোচবিহার, বালুরঘাট, রায়গঞ্জ রুটে বাস চলাচল শুরু হয়ে গিয়েছে।
advertisement
সকাল থেকেই একাধিক বেসরকারি বাস সংস্থা কাউন্টার খুলে হাঁকডাক শুরু করেছে যাত্রী পেতে৷ কিন্তু বেলা যত গড়িয়েছে বাসে যাত্রী ততই কমেছে। শ্যামলী ও গ্রীনলাইন এর মতো ভলভো বাস চালানো সংস্থা দাবি করছে, তাদের আসানসোল রুটের বাসে আসন সংখ্যা ৪৫। সেখানে যাত্রী হয়েছে সবচেয়ে বেশি, মাত্র ১৫ জন। যদিও একই ভাড়ায় তাদের বাস চালাতে হচ্ছে। আসা যাওয়ার জন্য শুধু তেলের খরচ তাদের ১৫ হাজার টাকা। সেখানে টিকিট বেচে তারা পাচ্ছেন ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। যে কারণে প্রতিদিন যেখানে ১৫ বাস চালানো হত। সেখানে এখন বাস চালানো হচ্ছে দিনে ৫টি করে।
advertisement
advertisement
শ্যামলী সংস্থা জানাচ্ছে তারা শিলিগুড়ি রুটে বাসে টিকিটের যা দাম তার থেকে ৫০ টাকা করে ছাড় দিচ্ছে। কারণ, যাত্রী হচ্ছে না। তাই কম ভাড়া নিয়ে যাত্রী টানার কৌশল তারা নিচ্ছে। যাত্রীরা অবশ্য ভাড়া ছাড়ের বিষয়ে মানছেন না। সুমিত দে নামে এক যাত্রী জানাচ্ছেন, "সাধারণত ১০০০ টাকা ভাড়া নেয়। এখন ১২০০ টাকা ভাড়া নিল।" আরেক যাত্রী তরুণ সামন্ত জানাচ্ছেন, "ট্রেনের টিকিট পাচ্ছি না। কাজে যেতেই হবে। অগত্যা তাই ২০০ টাকা ভাড়া বেশি দিয়েই যাচ্ছি।" যাত্রীদের বক্তব্য অবশ্য অস্বীকার করছে বাস সংস্থা। তবে যাত্রীরা টাকা দিতে প্রস্তুত। অন্যদিকে শিলিগুড়ি রুটে যাত্রী একেবারে নেই বললেই চলে। তাই তিনদিন অন্তর বাস চলছে কলকাতা-শিলিগুড়ি রুটে।
advertisement
অপরদিকে ঠিক বিপরীত চিত্র সরকারি বাসে। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি, কোচবিহার, রায়গঞ্জ রুটে প্রতিদিন তারা ২ বাস চালাচ্ছে। বালুরঘাট রুটে ৪ বাস চালাচ্ছে। বহরমপুর ১০, জয়পুর ও নগর রুটে ২ টি করে বাস। এন বি এস টি সি-সূত্রে খবর, প্রতি রুটে যাত্রী ভর্তি না হলেও তাদের খুব একটা ক্ষতি হচ্ছে না বাস চালাতে। এন বি এস টি সি'র চিফ ইন্সপেক্টর অনিল অধিকারী জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার থেকে সুবিধার জন্য তারা চালু করে দিচ্ছেন অনলাইন বুকিং। আশা তাদের যাত্রী আরও বাড়বে।
advertisement
আবীর ঘোষাল
view commentsLocation :
First Published :
June 09, 2020 6:51 PM IST