#খণ্ডঘোষ: জল বাড়ছে দামোদরে। রায়না খণ্ডঘোষ জামালপুরের অনেক জায়গাতেই দামোদরের জলস্তর বেড়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় বালির চর ডুবেছে। জল বাড়ায় বেশ কয়েকটি অস্থায়ী বাঁশের সেতু খুলে ফেলতে হয়েছে। এখন অনেকের কাছেই নৌকোই যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। করোনা পরিস্থিতিতে সেই নৌকোয় চলছে ঝুঁকির যাতায়াত। লাইফ জ্যাকেট নেই। তার ওপর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সচেতনতা শিকেয় তুলে চলছে পারাপার।
প্রতিদিনই ভারি বর্ষণ হচ্ছে দামোদর উপকূলবর্তী এলাকায়। জল বাড়ছে। ফুঁসছে দামোদর। কোথাও কোথাও কানায় কানায় ভরে উঠেছে নদী। পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের অমরপুরে চলাচলের জন্য অস্থায়ী কাঠের সেতু তৈরি করা হয়েছিল। জল বাড়ায় সেই সেতু এখন খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে জেলার মূল অংশের সঙ্গে এখন পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে জামালপুর ব্লকের জ্যোৎশ্রীরাম অঞ্চলের সাতটি গ্রাম। এখন নৌকাই হল এই সাতটি গ্রামের বেশ কয়েক হাজার বাসিন্দার পারাপারের প্রধান ভরসা।
বাসিন্দারা বলছেন, এই ভরা দামোদরে নৌকোয় পারাপারে প্রতি মুহূর্তে প্রাণের ঝুঁকি থাকছে। যাত্রী সুরক্ষার জন্য কোনও লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করা হচ্ছে না অমরপুর ফেরিঘাটে। বাসিন্দারা বলছেন, অনেকেই সাঁতার জানেন না। আবার তা জানা থাকলেও ভরা দামোদর সাঁতার কেটে তীরে ওঠা সম্ভব নয়। তাছাড়া নৌকার মধ্যে অসুস্থ বৃদ্ধ থেকে শুরু করে মহিলা, শিশু সকলেই থাকছেন। তাই বাড়তি যাত্রী ওঠার ফলে যেকোনও সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে। কারণ, যাত্রীর সঙ্গে পার হচ্ছে মোটর সাইকেল, গোরু, ছাগল, আলুর বস্তা সব কিছুই। তাই প্রশাসনিক নজরদারিতে খেয়া-পারাপার হোক। লাইফ জ্যাকেটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হোক। বিধি মেনে যাতে নৌ চলাচল হয় তা নিশ্চিত করুক জেলা প্রশাসন।
কোনও কোনও সময়ে আবার নৌকাও ঠিকঠাক ভাবে চলছে না। তখন বাধ্য হয়েই দুই থেকে তিন কিলোমিটার পথ হেঁটে ওই এলাকার মানুষজনকে কাঁড়ারিয়া অথবা পুরশুড়া সেতু পার হয়ে ঘুর পথে বর্ধমানে যেতে হচ্ছে। ফলে অমরপুর ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দাদের পঁচিশ কিলোমিটার পথ বাড়তি অতিক্রম করতে হচ্ছে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardwan, Damodar river