#বর্ধমান: নতুন করে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমানে জেলায়। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের উক্তা অঞ্চলের গঙ্গারামপুরে এক যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই যুবকের সপ্তাহে দুদিন ডায়ালিসিসের প্রয়োজন হয়। গত ১২ মে তিনি ডায়ালিসিসের জন্য বোলপুর সিয়ান হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেদিনই ওই হাসপাতালে ডায়ালিসিসের পাশাপাশি করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শুক্রবার তিনি ফের ডায়ালিসিস করানোর জন্য ওই হাসপাতালে গিয়েছিলেন। শনিবার তাঁর নমুনা রিপোর্টে করোনা পজিটিভ মেলে। এখন পর্যন্ত এই জেলার দশ জন বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হলেন। আউশগ্রামের ওই এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে।
এই ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবকের দেহে তেমনভাবে করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না। বোলপুরের সিয়ান হাসপাতালে রুটিন মাফিক তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাতেই তার দেহে করোনার সংক্রমণ মেলে। তাই কীভাবে তাঁর দেহে করোনার সংক্রমণ এলো তা বুঝে উঠতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব কুমার রায় বলেন, ওই যুবকের সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারনে পরিবারের আটজনকে বর্ধমানের প্রি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও এলাকার আরও চৌত্রিশ জনকে চিহ্নিত করে কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা হবে।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে সিয়ান হাসপাতালের রোগী,চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে। হাসপাতালে ওই যুবকের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন তার তালিকা তৈরি হচ্ছে। তাদের কোয়ারান্টিনে পাঠানো হবে। ওই যুবক হাসপাতালের যেসব জায়গায় গিয়েছিলেন সেই সব এলাকা স্যানিটাইজ করা হবে। ওই যুবককে প্রথমে দুর্গাপুরের কোভিড থ্রি সনকা হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে করোনা আক্রান্তের ডায়ালিসিসের ব্যবস্থা না থাকায় তাঁকে কলকাতা পাঠানো হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
ঘটনার পর পরই এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। ওই এলাকা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় আগামী একুশ দিন লক ডাউন কড়াকড়ি করা হবে। এলাকার বাসিন্দারা কন্টেইনমেন্ট জোনের বাইরে আসতে পারবেন না। বাইরের বাসিন্দারাও ওই এলাকায় ঢুকতে পারবেন না। বাসিন্দাদের ওষুধ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রয়োজন হলে এলাকার পুলিশ কর্মীরা তা এনে দেবেন।
Saradindu Ghosh