হোম /খবর /কলকাতা /
সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরা, বাড়ি থেকে কাজ! দশ দফা নির্দেশ জারি করল রাজ্য

Coronavirus: সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরা, বাড়ি থেকে কাজ! দশ দফা নির্দেশ জারি করল রাজ্য

রাজ্যের মধ্যে বাস, অটো, ট্যাক্সি, ক্যাব, ট্রাম এবং জলপরিবহন চালু থাকবে। সর্বাধিক ৫০ শতাংশ যাত্রী উঠতে পারবেন। চালক এবং কর্মীদের টিকা নিতে হবে। তবে এবারও মিলল না লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি। বুধবার নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত রাজ্য লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলবে। প্রতীকী ছবি৷

রাজ্যের মধ্যে বাস, অটো, ট্যাক্সি, ক্যাব, ট্রাম এবং জলপরিবহন চালু থাকবে। সর্বাধিক ৫০ শতাংশ যাত্রী উঠতে পারবেন। চালক এবং কর্মীদের টিকা নিতে হবে। তবে এবারও মিলল না লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি। বুধবার নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত রাজ্য লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলবে। প্রতীকী ছবি৷

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রামিত হয়েছেন ৭৭১৩ জন৷ চিন্তা বাড়িয়ে এ দিন মৃতের সংখ্যাও বেড়ে হয়েছে ৩৪৷

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: মহারাষ্ট্রে জারি হয়েছে লকডাউন (Lockdown), করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ধাক্কা সামাল দিতে নাইট কারফিউয়ের পথে হেঁটেছে অন্যান্য বেশ কয়েকটি রাজ্য৷ এখনই অতটা কঠোর পদক্ষেপ না করলেও করোনা সংক্রমণের হার কমাতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার৷ গত বছর করোনা অতিমারির সময় এই নির্দেশগুিলর অধিকাংশই বলবৎ ছিল রাজ্যে৷ ফের সেই নির্দেশিকাগুলিই জারি করতে বাধ্য হল প্রশাসন৷

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রামিত হয়েছেন ৭৭১৩ জন৷ চিন্তা বাড়িয়ে এ দিন মৃতের সংখ্যাও বেড়ে হয়েছে ৩৪৷ সবথেকে খারাপ অবস্থা কলকাতার৷ রাজ্যের রাজধানীতে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় দু' হাজার৷এই পরিস্থিতিতে এ দিন এগারো দফা নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য সরকার৷ মূলত মানুষের সমাগম হয় যেখানে, সেখানে যাতে স্বাস্থ্য বিধি মানা হয়, সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা হল এই নতুন গাইডলাইনের মাধ্যমে৷ এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্য সরকারের জারি করা সেই নির্দেশিকাগুলি-

১. সাধারম মানুষের সমাগম হয় এমন সমস্ত জায়গায়, গণপরিবহণে মাস্ক পরা, স্যানিটাইজারের ব্যবহার, শারীরিত দূরত্ব বজায় রাখার মতো বিধিগুলি যাতে মানা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে৷

২. সরকারি, বেসরকারি সমস্ত অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিল্প এবং বাণিজ্য কমপ্লেক্সে সপ্তাহে অন্তত একবার সম্পূর্ণ জীবাণুনাশের কাজ করতে হবে৷

৩. ব্যবসায়িক সংগঠনগুলির সাহায্যে গত বছরের মতো সমস্ত বাজারগুলিতে স্যানিটাইজেশনের কাজ করতে হবে৷

৪. দৈনিক বা সাপ্তাহিক বাজার, গণপরিবহণে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতেই হবে৷

৫. দোকান, বাজার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কাজের সময় ভাগ করে দিতে হবে যাতে একসঙ্গে বেশি মানুষের ভিড় না হয়৷

৬. রাজ্য সরকারি অফিসগুলিতে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে প্রতিদিন কাজ চালাতে হবে৷ কর্মীদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অফিসে আনতে হবে৷

৭. বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতেও যত বেশি সম্ভব কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার ব্যবস্থা ফের শুরু করতে হবে৷

৮. কর্মস্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে নিশ্চিত করতে হবে যাতে কর্মীরা মাস্ক পরেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন৷

৯. শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, হোটেল, রেস্তোরাঁতে আগের মতোই প্রবেশ এবং বাইরে যাওয়ার পথে স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ, থার্মাল স্ক্যানিং-এর ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক৷

১০. স্টেডিয়াম এবং সুইমিং পুলগুলিতে আগের গাইডলাইনের মতো সমস্ত বিধিনিষেধ মানতে হবে৷

নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, এই সমস্ত গাইডলাইন না মানলে আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ করা হবে৷ করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে তৈরি রাখার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে নিয়মে বাঁধতে না পারলে যে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে,তা বুঝেই ফের কড়া পদক্ষেপের দিকে এগোতে বাধ্য হল প্রশাসন৷

Published by:Debamoy Ghosh
First published:

Tags: Corona News, Coronavirus, Coronavirus in Bengal