#মুম্বই: কারও তাঁবেদারি না-করে নিজেই নিজের মালিক হবেন ভাবছেন? তা হলে একমাত্র উপায় স্টার্ট-আপ৷ চিন্তা নেই, আপনার পাশে রয়েছেন শিল্পপতি তথা টাটা সনস-এর চেয়ারম্যান এমিরেতাস রতন টাটা৷ সম্প্রতি তিনি ইনস্টাগ্রাম একটি পোল চালু করেছিলেন, তাতে নব্য উদ্যোগপতিদের তাঁদের স্টার্ট-আপ যাত্রার পরিকল্পনা শেয়ার করতে বলেছিলেন৷
কয়েক মিনিটের মধ্যে ৮১ বছরের রতন টাটা একটি ১৬ পাতার নথি আপলোড করেন৷ তাতে এ, বি, সি, ডি করে বলে দিয়েছেন, সফল ভাবে স্টার্ট-আপ দাঁড় করাতে গেলে কী কী করতে হবে৷ ৯৭ শতাংশ মানুষই চেয়েছেন, স্টার্ট-আপ দাঁড় করাতে রতন টাটাই টিপস দিন৷
রইল রতন টাটার দেওয়া সেই মূল্যবান টিপস-গুলি৷ মেনে চললে ব্যবসা সফল হবেই৷
১. সমস্যা
আগে সমস্যাটা চিহ্নিত করতে হবে৷ কোন সমস্যার সমাধান করতে হবে? নিজের জীবনের বাস্তব দিয়ে সেটা ভাবুন৷ ঠিক কোন সমস্যার সমাধান করতে চাইছেন?
২. সমাধান
এ বার ভাবতে হবে, সমস্যাটির সমাধান কী৷
৩. ইউনিক সেলিং প্রোপোজিশন
এমন একটা সমাধান ভাবতে হবে, যা আগে হয়নি৷ অর্থাত্ ওই সমস্যার সমাধান একমাত্র আপনার আইডিয়া৷
৪. প্রতিযোগিতা
আপনার সমাধানের সঙ্গে বর্তমানে যে সমাধানগুলি বাজারে রয়েছে, সেগুলি তুলনা করুন৷ দেখুন, প্রতিযোগিতা কাদের সঙ্গে করবেন৷
৫. রেভিনিউ মডেল
এ বার ভাবুন, আপনার সমাধান থেকে কী ভাবে টাকা রোজগার করবেন৷ আগামী ৩-৫ বছরের পরিকল্পনা ছকে ফেলুন রোজগারের৷ কোথায় খরচ বেশি হতে পারে, সেগুলি চিহ্নিত করুন৷
৬. টার্গেট
এ বার ঠিক করুন, আপনার টার্গেট মার্কেট কী৷ বাজারের আয়তন, গ্রাহকদের বয়স, ক্রয়ের অভ্যাস, কোন চ্যানেল ব্যবহার করে ওই বাজারটি ধরবেন, সব ক্যালকুলেশন করে ফেলুন৷
৭. আপনার প্রডাক্ট বা সার্ভিস
আপনার পরিষেবা বা প্রডাক্ট কী ভাবে ভ্যালু অ্যাড করবে৷ সেটির একটি পিপিটি তৈরি করে ফেলুন৷ এমন ভাবে প্রেজেন্টেশন তৈরি করবেন, যাতে সকলে সহজ ভাবে বুঝতে পারে৷
৮. মাইলস্টোন
এখনও পর্যন্ত কী কী আপনার সাফল্য, যেমন প্রোটোটাইপ, পেটেন্ট, পাইলট ইত্যাদি, তার একটি তালিকা তৈরি করুন৷ এরপর আগামী ১, ৩ ও ৫ বছরের মাইলস্টোনগুলির তালিকা তৈরি করুন, যা আপনি ছুঁতে চান৷ অর্থাত্, স্টার্ট-আপের জন্য ফান্ডিং পেলে আপনি কী ভাবে মাইলস্টোনগুলি ছোঁবেন৷
৯. আর্থিক বিষয়
অন্যান্য লগ্নিকারীদের থেকে তহবিল জোগাড় করে থাকলে, বা অন্যান্য মহল থেকে ফান্ডিংয়ের প্রতিশ্রুতি পেলে, তা লিখুন৷ তাতে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা বিনিয়োগকারীর কাছে বাড়বে৷
১০. আপনার টিম
আপনার দলের সঙ্গে পরিচয় করান, যাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্টার্ট-আপটি তৈরি করছেন৷ কেন তাঁরা আপনার সঙ্গে আছেন, তা প্রেজেন্টেশনে লিখুন৷ এমন ভাবে প্রেজেন্টেশন তৈরি করবেন, যাতে মনে হয় একটি সাফল্যের গল্প বলছেন আপনি৷ কোনও ভাবেই যেন তা বোরিং না-হয়৷ প্রেজেন্টেশন প্রতিটি প্লেটে সব কভার করবে না, কিন্তু সব বোঝা যাবে, এমন ভাবে তৈরি করবেন৷
প্রসঙ্গত, রতন টাটা ওলা, পেটিএম, স্ন্যাপডিল, নেস্টআওয়ে, আর্বানল্যাডার, কার দেখো, লেন্সকার্টের মতো স্টার্ট-আপগুলিতে বিনিয়োগ করেছেন৷
রতন টাটার কথায়, 'হৃদয়ে যদি আগুন অনুভব করবেন, কিছু করে দেখানোর, ঠিক কোনও উপায় বেরিয়ে যাবেই৷'