Indian Economy: ভারতের অর্থনীতিতে বিপুল প্রভাব! যুদ্ধের ফলে পাল্টে যাবে সব, বলছে পূর্বাভাস

Last Updated:

Indian Economy: খুচরো মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছে তারা।

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
#নয়াদিল্লি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, উর্ধ্বমুখী তেলের দাম এবং করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে পূর্বাভাস বদলাল মর্গান স্ট্যানলি। আর্থিক বৃদ্ধির হার আধ শতাংশ কমিয়ে ৭.৯ শতাংশের পূর্বাভাস দিয়েছে আমেরিকান ব্রোকারেজ কোম্পানি। এর পাশাপাশি খুচরো মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছে তারা।
এই প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মর্গান স্ট্যানলি। সেখানে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার কমানোর জন্য বিশ্ব জুড়ে চলা রাজনৈতিক উত্তেজনাকে দায়ী করা হয়েছে। তারা বলেছে, ‘আমরা আশা করি, ভারতের অর্থনীতি যেভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তা বজায় থাকবে। তবে বর্তমানে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার জেরে তা কিছুটা ধাক্কা খাবে। যা কিছুটা হলেও অর্থনীতিকে স্থবির মুদ্রাস্ফীতির দিকে ঠেলে দেবে’।
advertisement
বাহ্যিক ঝুঁকি বাড়বে: মুদ্রাস্ফীতি হলে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার হ্রাস পায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই মুহূর্তে ভারতের অর্থনীতি ৩টি জিনিসের দ্বারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হচ্ছে। সেগুলি হল অপরিশোধিত তেল, পণ্যের উচ্চ মূল্য এবং বাণিজ্য। এই ত্রিমুখী চাপে অর্থনীতির স্বাভাবিক গতি রুদ্ধ হচ্ছে। ব্যবসা এবং বিনিয়োগের প্রবণতাকে প্রভাবিত করছে’।
advertisement
advertisement
মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে: ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি কমানোর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক উত্তেজনার পাশাপাশি অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধিকেও দায়ী করেছে মর্গান স্ট্যানলি। মনে রাখা প্রয়োজন যে, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম খনিজ তেল আমদানিকারী দেশ। একই সঙ্গে তৃতীয় বৃহত্তম ব্যবহারকারীও। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে হু-হু করে বেড়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। মর্গান স্ট্যানলি বলছে, ‘অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার কারণেই ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হল। এছাড়া মূল্যস্ফীতিও ৬ শতাংশ বাড়তে পারে। চলতি হিসাবের ঘাটতি জিডিপির ৩ শতাংশে প্রসারিত হতে পারে, যা হবে ১০ বছরের সর্বোচ্চ।
advertisement
আরও পড়ুন - সর্বনাশ! ওমিক্রনের পর এসেছে করোনার নতুন স্ট্রেন, রূপ পাল্টে আরও ভয়ঙ্কর কোভিড
প্রসঙ্গত, ভারত তার চাহিদার ৮৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেলই বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম ১৪০ ডলারে পৌঁছে যায়। যা গত ১৪ বছরে সর্বোচ্চ। অবশ্য তারপর দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু সেটাও খুব বেশি নয়। এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সরবরাহে অনীহার মাধ্যমে চাহিদা সৃষ্টির অভিযোগ করছেন কেউ কেউ। কারণ যাই হোক অপরিশোধিত তেল কেনার জন্য ভারতকে বেশি দাম দিতে হচ্ছে। যার ফলে দেশের বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Indian Economy: ভারতের অর্থনীতিতে বিপুল প্রভাব! যুদ্ধের ফলে পাল্টে যাবে সব, বলছে পূর্বাভাস
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement