Education Loan: এডুকেশন লোন পাওয়ার জন্য কী কী নথিপত্র লাগবে?

Last Updated:

সন্তানকে বাইরে পড়াতে গেলে চাই ভালো অর্থের জোগান। যা অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারেই থাকে না। ফলে সেই সব সময়েই দরকার পড়ে এডুকেশন লোনের।

#কলকাতা: প্রতিযোগিতার বাজার। প্রতি দিন বাড়ছে খরচও। ফলে পাল্লা দিয়ে এডুকেশন লোন (Education Loan) বা শিক্ষা ঋণের চাহিদাও বাড়ছে। একটা সময় ছিল যখন ঋণ বা লোন করার কথা বলেলেই মধ্যবিত্ত বাঙালির বুকে কাঁপুনি ধরে যেত। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। আজকাল মধ্যবিত্ত বাঙালি ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ইএমআই-সহ বিভিন্ন ঋণে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিক ভাবেই শিক্ষা ঋণ নিয়েও বাঙালির মনের বাধা দূর হয়েছে। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক অথবা গ্র্যাজুয়েশনের পর যে কোনও প্রোফেশনাল কোর্সে ভর্তি হতে অনেক সময়েই প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয়। সন্তানকে বাইরে পড়াতে গেলে চাই ভালো অর্থের জোগান। যা অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারেই থাকে না। ফলে সেই সব সময়েই দরকার পড়ে এডুকেশন লোনের। প্রযুক্তি বা কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি মূল ধারার পড়াশোনার ক্ষেত্রেও শিক্ষা ঋণ পাওয়া যায়। একটা নির্দিষ্ট অঙ্ক পর্যন্ত পারিবারিক আয়ের উপর ঋণ পাওয়া বা না-পাওয়ার বিষয়টি আর নির্ভর করে না। অর্থাৎ এডুকেশন লোন পাওয়া এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে।
তবে করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ বন্ধ। অনলাইনেই চলছে পড়াশোনা। ফলে শিক্ষা ঋণের ক্ষেত্রে আবেদনের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। এডুকেশন লোনে আবেদনের সংখ্যা সব চেয়ে কম তামিলনাড়ুতে। তবে করোনা আবহ ধীরে ধীরে কাটছে। ফের খুলছে স্কুল-কলেজ। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে পঠনপাঠন। এ বার ফের শিক্ষা-ঋণের ক্ষেত্রে জোয়ার আসবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই দেখে নেওয়া যাক, কারা পাবেন এডুকেশন লোন!
advertisement
advertisement
যে কোনও ভারতীয় নাগরিকই শিক্ষা ঋণ পেতে পারেন। প্রবাসী ভারতীয় অথবা ভারতে বসবাসরত বিদেশি নাগরিক, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি, বিদেশে জন্ম গ্রহণকারী ভারতীয় পিতা-মাতার সন্তান যে এ দেশে পড়াশোনা করতে আগ্রহী, এমন ব্যক্তিও ভারতীয় ব্যাঙ্ক থেকে শিক্ষা ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে যে পাঠ্যক্রমের জন্য ঋণের আবেদন করা হচ্ছে, তাতে সুযোগ পাওয়ার প্রমাণ হিসেবে এবং লোন পেতে কিছু প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত নথিপত্র (Documents) ব্যাঙ্কের কাছে জমা দিতে হবে। এখন দেখে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী।
advertisement
  • আবেদনকারী যে ইনস্টিটিউশনে পড়তে যাচ্ছেন, সেখানকার ইস্যু করা অ্যাডমিশন লেটারের ফোটোকপি এবং অরিজিনাল। এডুকেশন লোনের আবেদন করার সময় দু’টো নথিরই প্রয়োজন হবে।
  • প্রযুক্তি বা কারিগরি শিক্ষা হোক কিংবা স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা – যে ঋণের জন্যই আবেদন করা হোক না-কেন, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক থেকে শেষ যে পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে, সবকটি মার্কশিটের অ্যাটেস্টেড ফোটোকপি জমা দিতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে অরিজিনাল কপিও। জয়েন্ট এন্ট্রান্সে উত্তীর্ণ হয়ে থাকলে তার মেধাতালিকার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। অন্য প্রবেশিকা পরীক্ষার ক্ষেত্রে লাগবে বাছাই হওয়ার প্রমাণ।  
  • advertisement
  • ছাত্র বা ছাত্রীর ঠিকানার প্রনাণপত্র বা অ্যাড্রেস প্রুফ, বয়সের প্রমাণপত্র, নাগরিকত্বের প্রমাণ, স্বাক্ষরের প্রমাণ বা সিগনেচার প্রুফ এবং প্যান কার্ড। আবেদন করার সময় না-থাকলে পরে করিয়ে দিতে হবে।
  • ছাত্র বা ছাত্রীর পিতা-মাতার অথবা সহ-আবেদনকারীর স্যালারি স্লিপ। অর্থাৎ আবেদনকারীর পরিবার কত টাকা মাসিক রোজগার করে, চাকরি না-পেলে ঋণ শোধ করতে কোনও অসুবিধা হবে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখবে ব্যাঙ্ক। সাম্প্রতিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্টের কাগজপত্রও গুছিয়ে রাখতে হবে।
  • advertisement
  • এ ছাড়াও বার্ষিক লেনদেনের প্রত্যয়িত কপি। সার্ভিস ট্যাক্স রিটার্ন বা সেলস রিসিটের কপিও অনেক সময় দেখতে চায় ব্যাঙ্ক।
  • ছাত্র বা ছাত্রীর ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি। সহ-আবেদনকারী হিসেবে বাবা-মা থাকলে তাঁদেরও ফোটো লাগবে।
  • বিদেশে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে ঋণ পেতে এ সব তো লাগবেই, সঙ্গে দিতে হবে পাসপোর্টের প্রতিলিপিও। বৈধ পাসপোর্ট থাকলে ওই একটিই অনেক কিছুর প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। তা ছাড়া বিদেশে পড়ার ক্ষেত্রে আই-২০ ফর্মও প্রয়োজন হবে। থাকতে হবে ভিসাও। প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার নিশ্চয়তা সংক্রান্ত চিঠির সঙ্গে ঋণের বাইরে যে টাকা পকেট থেকে মেটাতে হবে অর্থাৎ মার্জিন মানি, তা দেওয়ার সঙ্গতি প্রমাণের নথিও জমা দিতে হবে।
  • advertisement
  • এই সব নথি-সহ আবেদনের ফর্ম পূরণ করে তা জমা দিতে হবে।
  • তবে প্রতিটা ব্যাঙ্কের নিয়মও ভিন্ন। তাই কিছু তারতম্য হতে পারে। কোন প্রকল্পে ঋণ নেওয়া হচ্ছে, সেই অনুযায়ী বাড়তি কিছু নথি প্রয়োজন হয়। ঋণের আবেদনের সময়ই সেটা সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কই গ্রাহককে বলে দেবে। সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে যে, প্রতিটি ব্যাঙ্কেই স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের তালিকা রয়েছে। সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ইউজিসি ও প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই) এবং ডাক্তারি পড়ার ক্ষেত্রে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)-এর স্বীকৃতি দরকার হয়। বিদেশের ক্ষেত্রেও সেই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র এবং আন্তর্জাতিক মান ও স্বীকৃতি সম্পর্কে বিশদে খোঁজখবর নেওয়া দরকার। তা হলেই ব্যাঙ্কের ঋণ পাওয়া সম্ভব হবে।  
    view comments
    বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
    Education Loan: এডুকেশন লোন পাওয়ার জন্য কী কী নথিপত্র লাগবে?
    Next Article
    advertisement
    West Bengal Weather Update: ধীরে ধীরে ঠান্ডা বাড়বে রাজ্যে, কতটা নামবে পারদ? সপ্তাহান্তে আরও কমে যেতে পারে তাপমাত্রা
    ধীরে ধীরে ঠান্ডা বাড়বে রাজ্যে, কতটা নামবে পারদ? সপ্তাহান্তে আরও কমে যেতে পারে তাপমাত্রা
    • ধীরে ধীরে ঠান্ডা বাড়বে রাজ্যে

    • কতটা নামবে পারদ?

    • সপ্তাহান্তে আরও কমে যেতে পারে তাপমাত্রা

    VIEW MORE
    advertisement
    advertisement