জীবনের পথে মনের মানুষ চেনা দায়? কাজে আসুক সংখ্যাতত্ত্ব, সংখ্যাই বুঝিয়ে দেবে ঠিক কেমন সঙ্গী অথবা সঙ্গিনী হয়ে উঠতে পারেন জীবনের সকল ভালোবাসার আশ্রয়।
ব্যাপারটা অনেকটা রাশি মিলিয়ে জোটক খোঁজার মতোই। তফাতের মধ্যে এখানে কাজ করবে জন্মতারিখ। দেখে নেওয়া যাক, সংখ্যাতত্ত্ব মতে যাঁদের সংখ্যা ৩, তাঁদের জন্য কোন সংখ্যা সঙ্গী/সঙ্গিনী রূপে আদর্শ হতে পারে বা পারে না।
এই জায়গায় এসে একটা কথা বলে রাখা উচিত। জন্মতারিখ অনুযায়ী হিসেব-নিকেশ করে সংখ্যাতত্ত্বের ক্ষেত্রে ভাগ্যগণনা করা হয়ে থাকে। যেমন ধরে নেওয়া যাক, কারও জন্মতারিখ ১১। এক্ষেত্রে তাঁর জন্মগত সংখ্যা হবে ১+১= ২। ফলে তাঁকে সংখ্যাতত্ত্বের #২-এর গণনা দেখতে হবে। অর্থাৎ নিজের জন্মতারিখের যোগফল হিসেব করে সংখ্যাতত্ত্বের গণনা করা হয়।
এই হিসেবে সংখ্যা ৩ রূপে গণ্য হবেন কারা? যাঁদের জন্ম ৩, ১২, ২১ এবং ৩০ তারিখে। এই সংখ্যার অধিপতি গ্রহ বৃহস্পতি। আর একারণেই সংখ্যা ৪-এর জাতক-জাতিকারা, যাঁদের জন্ম ৪, ১৩, ২২ এবং ৩১ তারিখে, তাঁরা সংখ্যা ৩-এর পক্ষে খুব একটা উপযুক্ত নন। কেন?
আপাত ভাবে ৩ সংখ্যাটি নিরপেক্ষ এবং ৪ সংখ্যার জন্য তেমন ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু ৪ সংখ্যা বৃহস্পতির সঙ্গে তেমন বন্ধুত্বপূর্ণ নয়।
৪-এর কাছে জ্ঞানের উৎস হয়ে উঠতে পারে ৩। কিন্তু অনেক সময়ই ৩-এর নির্দেশ মেনে কাজ করতে চায় না ৪।
এর ফলে একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এরা উপযুক্ত নয়। ৩ সংখ্যার জাতক জাতিকা অবিবাহিত হলে অবশ্যই তাঁদের ৪ সংখ্যা এড়িয়ে চলা উচিত।
যদি তাঁরা কোনও ভাবে ব্যবসায়িক অংশীদার হয়ে থাকেন, তবে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা এবং ব্যবসায়িক উন্নতির দিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
৩ এবং ৪ উভয়ই গম দান এবং তুলসীর চারা রোপনে ভাল ফল পেতে পারেন।
যে কোনও সিদ্ধান্ত এঁরা খুব ধীরগতিতে নিয়ে থাকেন।
৪ এবং ৩-এর মধ্যে যদি বৈবাহিক সম্পর্ক হয়ে থাকে তা হলে তাঁদের উচিত, খোলা মনে কথা বলা। এতে বিভ্রান্তি এড়ানো যাবে। অভ্যন্তরীণ অনুভূতিগুলি ভাগ করে নেওয়া যাবে।
রাহু এবং গুরু আচার যেমন রাহু এবং গুরু পুজো নিয়মিত ভাবে অন্তত বছরে একবার করা প্রয়োজন।