Bardhaman News | Sawan 2022: লাঙলে উঠেছিল শিবলিঙ্গ! রয়েছে আঘাতের চিহ্ন! চন্দ্রচূড় শিব মন্দিরে ভক্তের ভিড়!
- Published by:Piya Banerjee
Last Updated:
Bardhaman News | Sawan 2022: চাষ করতে গিয়ে কৃষকের লাঙলে উঠে আসে এই শিব লিঙ্গ! সব মনোস্কামনা সফল করেন তিনি! জানুন
advertisement
1/7

পশ্চিম বর্ধমান জেলায় যতগুলি পুরনো মন্দির রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম আসানসোলের চন্দ্রচূড় শিব মন্দির। জনশ্রুতি রয়েছে চন্দ্রচূড় শিব মন্দির প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো। আবার কারও কারও মতে, চন্দ্রচূড় শিব মন্দিরের বয়স ৩০৭ বছর। তবে এক কৃষক লাঙল চালাতে গিয়ে এই শিবলিঙ্গটি পেয়েছিলেন বলে জানা যায়। শিবের স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই শিব মন্দির তৈরি করা হয়েছিল বহুবছর আগে। পরে কমিটি গঠন করার পর নতুন এই চন্দ্রচূড় মন্দিরটি গঠন করা হয়। (ছবি ও লেখা: Nayan Ghosh)
advertisement
2/7
শ্রাবণ মাসের প্রত্যেক সোমবারে বহু ভক্ত সমাগম হয় চন্দ্রচূড় শিব মন্দিরে। শিবরাত্রিতে বিশাল মেলার আয়োজন করা হয় এই মন্দিরে। তবে প্রত্যেক সোমবার শ্রাবণ মাসে এই মন্দিরে বহু সংখ্যক ভক্তদের সমাগম হয়। বিগত দু'বছর করোনার জন্য বন্ধ থাকায়, চলতি বছরে পূর্ণ্যার্থীদের আনাগোনা আরও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। চন্দ্রচূড় শিব মন্দির নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানারকম কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। এই মন্দির স্থাপন, প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে পূজোর রীতিনীতি, পূণ্য লাভ - সমস্ত কিছু নিয়েই ভক্তদের মধ্যে একাধিক বিশ্বাস বিরাজ করে। (ছবি ও লেখা: Nayan Ghosh)
advertisement
3/7
জানা যায়, কয়েকশো বছর আগে স্থানীয় এক বাসিন্দা রামশরণ চক্রবর্তী মাঠে লাঙল দিয়েছিলেন। সে সময়ই লাঙলের ধাক্কায় শিবলিঙ্গটি উঠে আসে। সেই শিবলিঙ্গটি মাটি থেকে উঠে আসার পরে, সেদিন রাতেই ওই কৃষক শিবের স্বপ্নাদেশ পান। তখন ছোট মাটির মন্দির তৈরি করে চন্দ্রচূড় শিব মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু হয়। স্থানীয়রা দাবি করেন, মন্দির তৈরির কিছুদিনের মধ্যেই কাশিমবাজারের তৎকালীন রাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দীর নায়েব তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে ওই শিবমন্দিরে নিয়ে যান। সেখানে পুজো দেওয়ার পর শিবের কাছে মনস্কামনা করেন। তারপরেই তাঁর স্ত্রী সুস্থ হয়ে ওঠেন। তখনই তিনি খুশি হয়ে ওই জায়গায় টিনের আটচালা সহ একটি একতলা মন্দির তৈরি করে দেন। (ছবি ও লেখা: Nayan Ghosh)
advertisement
4/7
দীর্ঘদিন সেই মন্দিরে চন্দ্রচূড় মন্দিরের শিবলিঙ্গ পুজো নিতেন। পরে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা মিলে একটি কমিটি গঠন করেন। তারপর সেই কমিটির তত্ত্বাবধানে স্থানীয়দের কাছে চাঁদা এবং সহযোগিতায় বর্তমানের বিশাল মন্দিরটি গড়ে ওঠে ১৯৩৫ সালে। তারপর থেকে সেই মন্দিরই পুজো হয়ে আসছে। বর্তমান মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ৬০ ফুট বলে জানা যায়। বর্তমান চন্দ্রচূড় শিবের মন্দির আসানসোল উত্তর বিধানসভার সুইডি মৌজায় অবস্থিত। (ছবি ও লেখা: Nayan Ghosh)
advertisement
5/7
আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারাই এই মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। তবে একটি কমিটির মাধ্যমে এই মন্দির পরিচালনা করা হয়। পাশাপাশি সেবাইতরাও এই মন্দিরে বংশ পরম্পরায় পূজা অর্চনা করে আসছেন। সারা বছরই এই মন্দিরে ভক্তদের সমাগম হয়। তবে শিবরাত্রি এবং শ্রাবণ সোমবারে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয় এই মন্দিরে। তাছাড়াও স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই মন্দিরে পুজো দেওয়ার সময় দণ্ডি কাটলে সমস্ত মনস্কামনা পূরণ হয়। এখনও পর্যন্ত চন্দ্রচূড় শিব লিঙ্গে একটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। অনেকের ধারণা, যখন শিবলিঙ্গটি লাঙলে লেগে উঠে এসছিল, তখন সেই ক্ষতচিহ্নটি তৈরি হয়েছিল। যা আজও বিরাজ করছে। (ছবি ও লেখা: Nayan Ghosh)
advertisement
6/7
সোমবারে আসানসোল সহ জেলার বিভিন্ন জায়গার মানুষ, এমনকি আশপাশের রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকেও বহু মানুষের এই মন্দিরে জল ঢালতে আসেন। স্থানীয় দামোদর নদীর ঘাট থেকে এবং অজয় নদীর ঘাট থেকে জল তুলে নিয়ে এসে ভক্তরা শিবের মাথায় জল ঢালেন। অনেকেই সারারাত ধরে অপেক্ষা করেন জল ঢালার জন্য। লম্বা লাইন দেখা যায় মন্দিরে। সে সময় মন্দির পরিচালন কমিটির সদস্য, সেবাইতরা ভীষণ রকম ব্যস্ত থাকেন। তাছাড়া মন্দিরের নিরাপত্তা এবং ভক্তদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। করা হয় প্রসাদ বিতরণ। (ছবি ও লেখা: Nayan Ghosh)
advertisement
7/7
আসানসোল স্টেশন থেকে খুব সহজেই এই মন্দিরে পৌঁছে যাওয়া যায়। জাতীয় সড়ক থেকে অল্প দূরত্বে অবস্থিত এই মন্দির। খুব সহজেই জাতীয় সড়ক বা রেলস্টেশন থেকে এই মন্দিরে পৌঁছে যাওয়া যায়। সারা বছরই এই মন্দির ভক্তদের জন্য খোলা থাকে এবং তাদের আনাগোনা লেগে থাকে। তবে চৈত্র মাসের সংক্রান্তিতে চড়ক উৎসব উপলক্ষে প্রচুর পরিমাণ ভক্তদের সমাগম হয় এই মন্দিরে। পাশাপাশি শ্রাবণ মাসের সোমবারে বহু ভক্ত এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। (ছবি ও লেখা: Nayan Ghosh)
বাংলা খবর/ছবি/পশ্চিম বর্ধমান/
Bardhaman News | Sawan 2022: লাঙলে উঠেছিল শিবলিঙ্গ! রয়েছে আঘাতের চিহ্ন! চন্দ্রচূড় শিব মন্দিরে ভক্তের ভিড়!