‘আর্ট মানে আমার কাছে যুদ্ধ’, পর্দায় ঋত্বিকের স্পর্ধা !
Last Updated:
ঋত্বিক ঘটকের ছবি মানেই রূপক ৷ কখনও বেদনার ৷ কখনও বিচ্ছন্নতার দুঃখ ৷ দুই বাংলার ভাগ হওয়াকে যেন গোটা জীবনই মেনে নিতে পারেনি তিনি ৷ তাই তো ছবির মধ্যে দিয়ে সপাটে বার বার
advertisement
1/4

ঋত্বিক ঘটকের ছবি মানেই রূপক ৷ কখনও বেদনার ৷ কখনও বিচ্ছন্নতার দুঃখ ৷ দুই বাংলার ভাগ হওয়াকে যেন গোটা জীবনই মেনে নিতে পারেনি তিনি ৷ তাই তো ছবির মধ্যে দিয়ে সপাটে বার বার চড় মেরেছে রাজনীতির আঙিনাকে ৷ চড় মেরেছেন ভাবাবেগকে ৷ তাই তো আজও তাঁর উচ্চারিত কথা, বার বার সিনেপ্রেমীদের ভাবিয়ে এসেছে নতুন নতুন করে ৷ ‘তুমি গেছো ৷ স্পর্ধাও গেছে ৷ বিনয় এসেছে ৷’ Photo: Venkatesh Films
advertisement
2/4
চলচ্চিত্র পাগল এক মানুষ ঋত্বিক ঘটক। যুক্ত ছিলেন মঞ্চনাটকের সঙ্গেও। অদ্বৈত মল্লবর্মনের বিখ্যাত উপন্যাস ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে দারুণ প্রশংসিত হন। সেলুলয়েডের ফ্রেমে এঁকেছেন জীবনের চিরায়ত ছবি। বাংলা চলচ্চিত্রকে তিনি তুলে ধরেছেন অনন্য উচ্চতায়। ৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) নন্দিত এই চলচ্চিত্র নির্মাতার ৮৯তম জন্মবার্ষিকী।
advertisement
3/4
পুরো নাম ঋত্বিক কুমার ঘটক। জন্মেছিলেন ঢাকায়, ১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর। বাবার নাম সুরেশ চন্দ্র ঘটক, মা ইন্দুবালা দেবী। পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই শিল্প-সাহিত্যের চর্চা ছিল। বাবা সুরেশ চন্দ্র ঘটক একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হলেও কবিতা ও নাটক লিখতেন।
advertisement
4/4
প্রথম ছবি নির্মাণের পাঁচ বছর পর ১৯৫৭ সালে ঋত্বিক ঘটক নির্মাণ করেন ‘অযান্ত্রিক’। এটিই ঋত্বিকের মুক্তি পাওয়া প্রথম ছবি। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চমকে যায় চলচ্চিত্র বোদ্ধা আর দর্শকেরা। সফল চলচ্চিত্রকার হিসেবে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। এরপর ঋত্বিক নির্মাণ করেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’ (১৯৬০) ‘কোমল গান্ধার’ (১৯৬১) ও ‘সুবর্ণরেখা’ (১৯৬৫)। ১৯৬৫ সালে সুবর্ণরেখা মুক্তি পাবার পর আট বছরের বিরতি নিয়ে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে এসে নির্মাণ করেন তার বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। এটি বাংলাদেশ- ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়। অদ্বৈত মল্লবর্মণের ধ্রুপদ উপন্যাস থেকে নেওয়া এ ছবিটি পেয়েছিল ব্যাপক প্রশংসা। এরপর ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায় ঋত্বিকের শেষ ছবি ‘যুক্তিতক্ক আর গপ্পো’। কাহিনীর ছলে তিনি নিজের কথা বলে গেছেন এ ছবিতে। ছবিটিতে নিজের রাজনৈতিক মতবাদকেও দ্বিধাহীনভাবে প্রকাশ করেছেন। এরপরই ঋত্বিক ঘটক মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। প্রায় তিন বছর মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মানসিক ভারসাম্য হারানো অবস্থাতেই এই কৃতি চলচ্চিত্রকার ১৯৭৬-এর ৬ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৫০ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন। ১৯৬৯ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৭৫ সালে ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ কাহিনীর জন্য ভারতের জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। ঋত্বিক ঘটক নির্মিত চলচ্চিত্র : নাগরিক (১৯৫২/ মুক্তি : ১৯৭৭), অযান্ত্রিক (১৯৫৭), বাড়ি থেকে পালিয়ে (১৯৫৮), মেঘে ঢাকা তারা (১৯৬০), কোমল গান্ধার (১৯৬১), সুবর্ণরেখা (১৯৬১), তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩), যুক্তি তক্কো গপ্পো (১৯৭৪)